আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির গঠন করা সার্চ কমিটির অধিকাংশ সদস্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাই এই সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কারও নাম প্রস্তাব করবে না বিএনপি।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যের হুকুমে এ হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমরা আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। অর্থাৎ তারা একটা আইন করে নিয়েছে, যেটা সম্পূর্ণভাবে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
সার্চ কমিটি নতুন বোতলে পুরাতন মদ বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতবারও যেভাবে করেছে, ঠিক একইভাবে এবারও শুধু খোলস লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার করার জন্য। যে দেখো আমরা সুন্দরভাবে করছি, সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। তারপর শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে হুদার (সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা) ইসি নিয়োগ করেছে। এ সার্চ কমিটির মধ্যেও বেশিরভাগ লোকই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন তো আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যে সার্চ কমিটি তারা (সরকার) তৈরি করবে, সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। জানি বলেই এ সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার ব্যাপারে না করে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি যদি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয়, এটা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কারণ নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না যদি নির্বাচনকালীন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকে। অর্থাৎ নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
বিএনপি সার্চ কমিটির কাছে কোনো নাম দেবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমাদের কাছে কোনো মূল্য নেই। এটা অর্থহীন। নাম দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। কারণ গতবার ও তার আগের বারের অভিজ্ঞাতা থেকে দেখেছি এইগুলো করে কোনো লাভ হয় না। সরকার যে থাকে, তার যে পছন্দনীয় লোক থাকে, তাকে দিয়ে কমিশন করে।