1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু চিরন্তন সত্য — জিএম জামাল

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি-নির্যাতন বন্ধে ডিএমপির নীতিমালা

  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২.০২ পিএম
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

নারী সদস্যদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রণয়ন করেছে ‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও যৌন নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা ও কর্মপন্থা ২০২১’।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদর দফতরের গাইডলাইনস অনুসরণ করে ডিএমপির সব বিভাগে নারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এই নীতিমালা ও কর্মপন্থা প্রণীত হয়।

এ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা মহানগর এলাকার সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের প্রতি সংবেদনশীলতা ও তাদের অধিকারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নারী ও শিশুর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি। পুলিশের সর্ববৃহৎ এই ইউনিটে বর্তমানে দুই হাজারের অধিক নারী সদস্য কর্মরত। জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য নিরাপদ ও অধিকতর সহনশীল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বদ্ধপরিকর।’

‘সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন ৫৯১৬/২০০৮-এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদর দফতরের গাইডলাইনস অনুসরণ করে এ নীতিমালা ও কর্মপন্থা প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিএমপিতে কর্মরত সকল নারী সদস্যের হয়রানিমুক্ত নিরাপদ কর্মপরিবেশে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস’, যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।

হাইকোর্টের নির্দেশনায় নীতিমালা ও কর্মপন্থা প্রণয়ন

উল্লিখিত নির্দেশনার আলোকে ‘ডাইরেক্টিভস ইন দ্য ফরম অব গাইডলাইনস’-এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ১১১নং অনুচ্ছেদের মর্মার্থ অনুযায়ী যতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে উপর্যুক্ত আইন প্রণয়ন না হবে ততদিন পর্যন্ত সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে এ গাইডলাইনস অনুসরণ ও পালন বাধ্যতামূলক।

ওই নির্দেশনার আলোকে ডিএমপির সকল ইউনিটে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ ও যৌন নির্যাতন বন্ধে একটি কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদে দুই হাজারের অধিক নারী সদস্য রয়েছেন এবং কর্মরত নারী ও পুরুষের অনুপাত প্রায় ১:১০।

পুলিশ সদর দপ্তরের গাইডলাইনের আলোকে ডিএমপির সকল বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য, নন পুলিশ, সিভিল স্টাফ অথবা প্রেষণে কিংবা চুক্তিভিত্তিক বা অন্য কোনোভাবে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও যৌন নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান সম্পাদন ও সুপারিশ প্রদানসহ যৌন হয়রানি ও যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধকল্প এই নীতিমালায় প্রণীত হয়েছে।

নীতিমালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এই নীতিমালা ও কর্মপন্থা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাভুক্ত বিভাগসমূহের সকল পর্যায়ে কর্মরত নারী সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি হতে সুরক্ষা প্রদান। যৌন হয়রানি সম্পর্কে ডিএমপিতে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলা। যৌন হয়রানিমূলক আচরণ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত সকল সদস্যকে বিরত রাখা।

অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে একটি অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি গঠন করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্য কমিটির গঠনতন্ত্র হবে নিম্নরূপ –

(ক) কেন্দ্রীয় অভিযোগ গ্রহণ কমিটি : অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান পরিচালনা ও সুপারিশের জন্য জেন্ডার ব্যালেন্সের ভিত্তিতে ডিএমপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘কেন্দ্রীয় অভিযোগ গ্রহণ কমিটি’ গঠন করা হবে।

কমিটিতে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) সভাপতি, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার সদস্য সচিব, সদর দফতর ও প্রশাসনের উপ-পুলিশ কমিশনার সদস্য, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের বিভাগীয় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সদস্য এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও জেন্ডার বিষয়ক এনজিওর একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন।

বিভাগীয় অভিযোগ গ্রহণ কমিটি

কেন্দ্রীয় অভিযোগ গ্রহণ কমিটি ব্যতীত ডিএমপির আওতাধীন ৫৭টি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেন্ডার ব্যালেন্সের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র ‘বিভাগীয় অভিযোগ গ্রহণ কমিটি’ গঠন করবে।

অ্যাড হক কমিটি

অভিযোগ গ্রহণ কমিটির কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করা হলে তা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত সদস্যকে বাদ দিয়ে নতুন সদস্য করে একটি অ্যাড হক কমিটি (অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি) গঠন করবেন। কমিটির সভাপতি হবেন অভিযুক্ত ব্যক্তি অপেক্ষা ঊর্ধ্বতন পদে আসীন কোনো ব্যক্তি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com