1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মুজিববর্ষ : ২৬ মার্চ বিশেষ কর্মসূচি পালন নিয়ে ভাবছে কমিটি

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২, ৪.০৩ পিএম
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুজিববর্ষের সময় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে পড়েছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। তাই নতুন করে কোনো কর্মসূচি নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে ভাবছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

জানা গেছে, চলতি মাসের (জানুয়ারি) মধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসবে এ কমিটি। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুজিববর্ষ এবং এ সংক্রান্ত দুটি কমিটির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২৬ মার্চ পড়েছে। এটি আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটিতে বিশেষ কোনো কর্মসূচি পালন করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

ওই সদস্য আরও বলেন, নতুন একটি কর্মসূচি পালন করতে হলে আগে থেকেই প্রস্তুতির প্রয়োজন। এছাড়া বাজেটেরও বিষয় আছে। কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালনের পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিববর্ষের সময় বাড়ানো হয়।

গত ৫ জানুয়ারি মুজিববর্ষের সময়কাল চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পাশাপাশি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও ‘জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র মেয়াদও বাড়ানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে নেওয়া কর্মসূচি কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের সময়কাল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল।

‘টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলা আয়োজন, অনলাইন কুইজের পুরস্কার বিতরণ, বিভিন্ন প্রকাশনা মুদ্রণের কাজ সম্পন্ন, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পন্ন, নথিপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি, প্রকাশনাসমূহ সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর, আর্থিক বিষয়াদি নিষ্পন্ন করা, ব্যাংক হিসাব বন্ধ করা, অডিট সম্পাদন ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে মুজিববর্ষের সময়কাল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলো।’

dhakapost
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ১৬ ডিসেম্বর শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা / ছবি- সংগৃহীত

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সময়টা মাত্র বাড়ানো হলো। সামনের কর্মসূচি নিয়ে আমরা কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এ মিটিং চলতি (জানুয়ারি) মাসের মধ্যেই হবে।

‘প্রোগ্রামগুলো কী হবে, সেগুলো আমরা এখনও চূড়ান্ত করিনি। আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে, আমরা সেগুলো করছি।’

তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের অনেকগুলো প্রকাশনা সামনে আসছে। সে কাজগুলো এখন আমরা করছি। বেশকিছু প্রকাশনা একসঙ্গে বের হবে। কিছু ইতোমধ্যে বের হয়েছে। আরও কিছুর কাজ চলছে।’

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কুইজ প্রতিযোগিতা করেছিলাম। কুইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এখনও হয়নি। আমরা এ দুই বছর কী কী কাজ করেছি, সেগুলোর প্রতিবেদন তৈরি করছি। বর্তমানে এসব কাজ চলছে।’

২০২১ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ বিশিষ্ট অতিথিরা অংশ নেন।

‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে প্রতিদিন আলাদা থিম-ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিও ভিজুয়াল ও অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’।

শেষদিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এছাড়া ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড স্কয়ার ও সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

dhakapost
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন (ডান থেকে) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা / ছবি- সংগৃহীত  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়া সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

শপথ : ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।’

‘আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না— দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা অনেক কাজ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রোগ্রামগুলো আমরা করেছি। ১০ দিনব্যাপী যে ঐতিহাসিক প্রোগ্রাম হয়েছে, তা আমাদের দেশে আগে আর হয়নি। এখানে অনেকগুলো দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সরাসরি উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা বাণীও দিয়েছেন। এটা একটা বিশাল অর্জন।’

ড. কামাল আবদুল নাসের আরও বলেন, ‘আমরা করোনার মধ্যেও অনেক বড় প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। পাশাপাশি এটাও সত্য যে, করোনা থাকায় লকডাউন হয়েছে; কিছু প্রোগ্রাম আমরা সেভাবে করতে পারিনি। সেজন্য কিছু সময় পেয়েছি। আশা করছি প্রকাশনাসহ বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারব।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com