সিএনএম প্রতিনিধিঃ
হাজার কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এন এম সফিকুর রহমান (৫৯) ও তার স্ত্রী কাজী সামছুল নাহার মিনাকে (৫৪) রাজধানীর কলাবাগান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।গত বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে র্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ও রিয়েল স্টেট ব্যবসার আড়ালে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই দম্পত্তি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফিকুর রহমান ২০০২ সালে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এটি চালু করে তিনি লোকজনের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে ‘আইসিএল রিয়েল স্টেট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে জমিজমা ও আবাসন খাতে ব্যবসা শুরু করেন।
র্যাব জানায়, ব্যবসায়ও তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ভুক্তভোগীরা তাঁর নামে থানায় এবং আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করে। কিন্তু তিনি ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতেন। ফলে ভুক্তভোগীরা আর কোনো পদক্ষেপ নিতে সাহস পেতেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালতে তাদের দুজনের সাজা হয়ে যায়। তাদের নামে একাধিক ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে তারা পলাতক হয়ে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতি দুই-তিন মাস অন্তর অন্তর বাসা বদলানোসহ একের পর এক মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে থাকেন তাঁরা।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলা ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করতে মাঠে নামে। আসামি এইচ এন এম সফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় দুইটি সিআর (সাজা) ওয়ারেন্ট এবং পল্টন ও চৌদ্দগ্রাম থানায় মোট ১৯টি ওয়ারেন্টসহ ছয়টি নিয়মিত মামলা ও খিলক্ষতে থানায় একটি নিয়মিত মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী কাজী সামছুন নাহার মিনার নামে পল্টন থানায় তিনটি ওয়ারেন্ট ও চৌদ্দগ্রাম থানায় ছয়টি নিয়মিত মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার দম্পতি এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী এঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।