সিএনএম প্রতিনিধিঃ
নারায়নগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর করোনা যোদ্ধা খ্যাত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ সহ এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি নামক এক নারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর,বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কূৎসা রটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি (৪০) বাদী হয়ে রোববার রাতে কাউন্সিলর খোরশেদ ও আর,টি,এন ফেরদৌসি আক্তার রেহানা কে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফতুল্লা থানার ৩২১ নং উত্তর চাষাড়ার মৃত মোঃ জহিরুল হকের মেয়ে।
আসামী করা হয়েছে মাসদাইর শেরে বাংলা নগরের মৃত শাহালম খন্দকারের পুত্র মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে খোরশেদ ও সস্তাপুর এলাকার আর,টি,এন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বাদী নারায়নগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সি,এনজি অনার্স এসোসিয়েনের সভাপতি এবং গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও বিজেএমইর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। খোরশেদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় ছেলেবেলা থেকে। ইতিপূর্বে বাদীর একটি বিবাহ হয়েছিলো। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সেই ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতো। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০২০ আগস্ট মাসের ২ তারিখে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরস্থ এস, এস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসাথে রাত্রি যাপনসহ শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সঙ্গে সম্পূর্ণ রুপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় সে ব্যবসায়ীক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে খোরশেদ তার ফেইসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটায়। এর একদিন পর ২৫ এপ্রিল আট,টি,এন, ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তাকে রাস্তার মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেইসবুক লাইভে বলেন। এই দুটো বিষয়ই দুবাই থাকাকালীন অবস্থায় তিনি তার এক বান্ধবীর নিকট থেকে জানতে পেরে পরবর্তীতে তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে।