সিএনএম প্রতিবেদকঃ
চার দফা দাবিতে করোনাকালে হয়ে যাওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করলে শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো সহিংস আন্দোলনে বিশ্বাস করি না। আমরা আমাদের নায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন আমাদের কর্মসূচি পালন করব।
শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার মধ্যে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিস্টার ফি ও অতিরিক্ত ফি প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেরই ঝরে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় ও সেমিস্টার ফি আদায় চরম অমানবিকতার পরিচয়। অবিলম্বে সেমিস্টার ফি ও অতিরিক্ত ফি মওকুফের দাবি জানান তারা।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক গ্রুপ করে সেখানে নিজেদের দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন তারা।
গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ কয়েক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন তারা।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চার বছরের ডিপ্লোমা করানো হয়। চার বছরে মোট আটটি সেমিস্টার। আগস্ট মাসে ভর্তি হয়ে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত (আগস্ট-জানুয়ারি) সেমিস্টার অনুষ্ঠিত হয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই ধারায় বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।
করোনার কারণে প্রায় ১১ মাস ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে তারা দুই সেমিস্টার পিছিয়ে পড়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কাছে চারটি দাবি জানিয়েছেন তারা।
দাবিগুলো হলো- ইতোমধ্যে এক বছরের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দেওয়া। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত ক্লাস শুরু এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া। সব ধরনের অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার করা এবং প্রাইভেট পলিটেকনিকে সেমিস্টার ফি অর্ধেক করা এবং ডুয়েটসহ সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে তা চলতি বছরের মধ্যে কার্যকর করা।
একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করতে গেলে কদম ফোয়ারার কাছে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। পরে তারা ব্যারিকেডের ভেতরেই বিক্ষোভ করেন।