সিএনএমঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মসজিদের সিঁড়ির জায়গা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নজির আহম্মেদ নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ঘোলপাশা ইউপির নারায়নপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার (২২ মার্চ) রাতে চার জনের নাম উল্লেখ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এদিকে ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে আশষ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। আহতরা হলেন, আব্দুর রহমান ওরফে মফিজ (৫৫), ও মাসুদ মিয়া (৪২)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার শিক্ষক নজির আহম্মেদ মানুষের কাছ থেকে জায়গায় বন্ধক নিয়ে মহিলা দাখিল মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। পরে সে মাদ্রাসা নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ওই জায়গা দখলে নেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েক বার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠক রায় হয় জায়গা ছেড়ে দেয়ার। কিন্তু সে জায়গা ছেড়ে না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন হুমকি দুমকি দেন শিক্ষক নজির আহম্মেদ। ওই মাদ্রাসার পাশে একটি মসজিদ করেন এলাকাবাসী। যার দ্বিতলায় উঠার জন্য একটি সিঁড়ি নির্মাণ করছেন তারা। এতে বাঁধা দিয়ে দেন শিক্ষক নজির আহম্মেদ। বাঁধা বিষয়টি জানতে চাইলে গেলো ওই গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে মফিজ ও মাসুদ মিয়া এলোপাতাড়ি পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থার আশঙ্কা দেখে কর্মতর ডাক্তার আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত আব্দুর রহমান ওরফে মফিজ বলেন, আমরা মসজিদের সিঁড়ি নির্মাণ করতেছি। এমন সময় বাঁধা দেন শিক্ষক নজির আহম্মেদ। তখন শিক্ষককে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার জন্য গেলে সে আগ থেকে ছাত্রীদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটানর বিচারের দাবি জানাই।
অভিযুক্ত নজির আহম্মেদ মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
চৌদ্দগ্রাম থানার (ওসি) হিলাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনা থানায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরার জন্য পুলিশ কাজ করছেন।