সিএনএমঃ
কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক হিসেবে খ্যাত পাহাড়গুলো এখন শুধুই স্মৃতি ৷ বিগত ৬ মাসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলোও সাবাড় করে দিয়েছে ভূমিখেকোরা। রেজুরকূল ও পিনজিরকূলের একাশের পর থেকে লক্ষাধিক বিরাট আকৃতির বৃক্ষসম্বলিত যেসব পাহাড়গুলো ছিল এখন সেইগুলো অমলিন স্মৃতি। ১ডাম্পার গাড়ি মাটি ১হাজার থেকে ১হাজার ২শ টাকা বিক্রি করে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি। পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় ও ভূমিখেকোরা পাহাড়ের জমিতে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে বিভিন্ন লোকদের কাছে বিক্রি করে অনেক লোক শতকোটি টাকার অবৈধ টাকার মালিক হওয়ার নজিরও কম নেই। সমূদ্র উপকূলীয় এলাকার কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ইনানী বা সমূদ্র উপকূলীয় পাহাড় যা পিনজিরকূল সহ আশেপাশের সকল পাহাড় কেটে সমতল ভূমি হিসেবে এখন বসবাসের উপযোগী করে তুলেছে। এলাকার ভূমি দস্যু, মাটি ব্যবসায়ীরা যারা চিহ্নিত দখলদার বা সন্ত্রাসী তারাই টাকার বিনিময়ে ইতোমধ্যে অবৈধ ভাবে শতাধিক পাহাড় কেটেছে। এই চক্রটি বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মানুষের জমিকে বসবাসযোগ্য করার জন্য পাহাড়ি বালি মাটি চুক্তিতে বিক্রি করে, এছাড়াও নদী, নালা, সরকারী জলাশয় সবই ভরাট করার জন্য তারা চুক্তি করে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি। প্রতিদিন প্রকাশ্যে বীরদর্পে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব গাড়িতে নাম্বার প্লেট না থাকার ব্যাপারে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, এসব গাড়ি প্রভাবশালীদের তাই প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই গাড়ি দিনদুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধ ব্যবসা করতে পারে।