সিএনএম প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে যাতায়াতের রাস্তা সংস্কার করাকে কেন্দ্র করে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনার কয়েক প্রজাতির ফলদ গাছ কেটে ফেলেছে আপন চাচাতো তিন ভাই এমন অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল মুন্সি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম রুস্তম আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুবেল মুন্সির বাড়ির আঙ্গিনায় রোপিত নারিকেল, কাঠাঁল, আম, লিচুসহ কয়েক প্রজাতির ফলদ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রুবেল মুন্সি অভিযোগ তুলে বলেন, আমাদের বাড়ির সামনের যাতায়াতের ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি মাটি দিয়ে ভরাট করায় আমার চাচা মরহুম ইসহাক মুন্সির তিন ছেলে হুমায়ন কবির, ইয়াছিন, আবু বক্কর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার জায়গাটি তাদের দাবি করে অভিযোগ তুলে আমাদের বাড়িতে এসে ৪টি নারিকেল গাছ, ৩টি আম গাছ, ২টি লিচু গাছ, ২টি কাঁঠালগাছ, ২টি পেপে গাছ ও একটি মরিচ গাছ কেটে ফেলে। আমার পরিবারের সদস্যরা ওই গাছগুলো কাটতে বাধা দিলে নানা বাজে ভাষায় গালমন্দ ও আক্রমণাত্মক আচরণ করাসহ আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও আমাদের বাড়ির জায়গা তাদের দাবী করে সিমানাও মেপে দিয়ে যায়। তারা পূর্বেও এ যাতায়াতের রাস্তাটি হওয়ার সময় বাধা দিয়েছিল কিন্তু আটকাতে পারেনি। এই যাতায়াতের পথটি আমার পরিবার ছাড়াও গ্রামের একাধিক পরিবারের লোকজন ব্যবহার করেন। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার ভাই আবু বক্কর মুঠোফোনে বলেন, আওয়ামিলীগের আমলে জোর পূর্বক ক্ষমতা দেখিয়ে আমার চাচা সফর আলী, তার ছেলে রমজান, রুবেল মুন্সি, লতিফ মুন্সি, বুলবুল মুন্সি, এরা জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে রাস্তা বানায়। তখন এ বিষয়ে আমাদের থানায় অভিযোগ দেয়া ছিল। আমরা বাড়িতে থাকি না সে সুযোগে এখন আবার আ’লীগের প্রভাব খাটিয়ে আবারো সে জায়গার উপর মাটি ফেলেছ। তাই আমার জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করায় আমি সেখানের কিছু গাছ কেটে দেই৷ হত্যার হুমকির বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, এইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা তে বাড়িতেই তো ছিল না।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন বলেন, গতকাল রাতে অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।