সিএনএম প্রতিবেদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় আরো ৬টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৫টি মামলা হলো। যেখানে আসামি করা হয়েছে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ৪০টি, আশুগঞ্জ থানায় দুটি, সরাইল থানায় দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
তবে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৩৩ জন। এদের মধ্যে নেই হেফাজতের কোন নেতা বা মাদ্রাসা ছাত্র।
হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় করা মোট ৪৫টির মধ্যে ছয়টি মামলায় ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই ‘অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী’।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৬ মার্চ বঙ্গন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেল স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল স্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষ ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং সমস্ত মালামাল একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রেল লাইনের স্লিপার তুলে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। সিগন্যাল বক্স ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, পৌর মুক্তমঞ্চ এবং পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।