1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোটার ছাড়া ভোট চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা রাজধানীর ৩৫ হাজার রিকশাচালক পাচ্ছেন ছাতা ও স্যালাইন ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে

ওরা মানব পাঁচারকারী গড ফাঁদার এদের নিয়ন্ত্রনে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১১.০৫ পিএম
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

ওরা মানব পাঁচারকারী গড ফাঁদার এদের নিয়ন্ত্রনে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি

নিউ পপুলার ও বলাকা হোটেলসহ দেশ ব্যাপী রয়েছে হাজারও পাঁচারকারী।

পবিত্র মাহে রমজানেও থেমে নেই হোটেলের অর্ন্তরালে অসামাজিক কার্যক্রম

খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে।

নারী পাচারকারী, গডফাদার ও তাদের সহায়তাকারী অসাধু পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় পুনরায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সু-পরিকল্পিত ভাবে মানবাধিকার কর্মীকে ক্রিমিনাল সাজাতে ও আওয়ামীলীগ কর্মীকে বিএনপির লোক বানিয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় ভোক্তভোগী মোঃ আলমগীর( সেলিম) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়টুকু লেখালেখি করি এবং দেশ ও জনস্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করি। সময় সময় সরকারের মহুতি উদ্যোগ গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য অনুসন্ধান করে তাহা নির্মূলের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন ও অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে থাকি এবং গণ মাধ্যমকেও দেশের উন্নতির লক্ষ্যের স্বার্থে নানাবিধ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছি। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত দেশের মাদক, ক্যাসিনো (জুয়া), ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অতি উৎসাহিত ব্যক্তিদের গোপন সহায়তায় নানাবিধ অপরাধীদের ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর গোপন সম্পর্ককৃত লালিত পালিত অসাধু পুলিশ সদস্য আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রসহ নানা ধরণের মিথ্যা মামলা, হামলা করে আসছে।

এতে অসাধু কিছু পুলিশ সদস্য, র‍্যাব সদস্য, ডিবি সদস্য, দীর্ঘদিন ধরে একই জোনে ডি.এম.পি-তে চাকরি করায় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে অপরাধীদের সুসম্পর্ক থাকায় তাদের সহায়তা নিয়ে নানাবিধ অপরাধ কর্ম করে ও আমাকে হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এবং অপরাধীরা তাদের অপরাধ করে সৎ দায়িত্বশীল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হাতে বিভিন্ন সময় ধরা পরে এবং তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলাও হয়েছে যাহার বাদী র‍্যাব ও পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন ভুক্তভোগী। দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাবরে সংস্থার জনস্বার্থে দায়েরকৃত নানাবিধ অভিযোগগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে গিয়ে বাস্তবমুখী কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারবার অভিযোগগুলো তুলে নিতে বা ধামাচাপা দিতে বারবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য গোপনে মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার কর্মীদের উপর বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র হয়রানির অপচেষ্টা ও মিথ্যা মামলা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

মহোদয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এদেশে জন্মে ছিল বলেই তার স্বাধীনতার ডাকে তাকে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তি হয়েছে পরাধীনতার আর দেশোদ্রোহীরা মনে করেছিল পিতার বুকের রক্ত ঝরিয়ে তাকে নিঃশেষ করে দিলে এদেশ আবার পাকিস্তান হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু চির নিদ্রায় গেলেও দেশের উন্নয়নের হাল ধরেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশোদ্রোহীরা নানা কৌশলে দেশ ও সমাজকে অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে দিতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে রয়েছে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা এদের জন্য সৎ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণদের কর্ম এলাকায় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। অসাধুরা মানুষকে সেবা দেন। অর্থ যে দিকে সেবা বেশি দেন সেদিকে। নিজেরা রাতারাতি অবৈধ অর্থ উপার্জনের লালসায় সমাজের নানামুখি অপরাধীদের সাথে গোপনের সুসম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের আইন বর্হিভূত নানা কর্মকান্ড করার সুযোগ করে দিচ্ছে। যাহা সরকারের ব্যাপক সুনাম ক্ষতির আশংঙ্কায় রয়েছে। খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগ জট বাঁধে হোটেলে রহস্য জনক মৃত্যু। আবার অনেক সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা ফন্দি ফিকিরের পর লোম হর্ষক নরপিচাশ সন্ত্রাসী খুনিরা নানা স্বার্থ হাসিলের জন্য নারী পুরুষ শিশুকে হত্যা করে নদী নালা ডোবায়, পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে সটকে পরে হত্যাকারীরা। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলে হত্যার রহস্যে জট বাঁধে ২০১০ইং ২৮শে রমজান মাসে নারী পাঁচারকারীদের খপ্পরে পরে গুলশান থানাধীন লর্ডস ইন আবাসিক হোটেলে সিমা নামে এক নারীকে পাঁচারকারীরা কৌশলে এনে আটক করে উপযপুরি দল বেঁধে গণ ধর্ষক করে। এর পর মেয়েটিকে সেখানে পতিতা বানানোর নানা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হোটেল দালালরা মেয়েটিকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশটিকে ও মিথ্যা স্বামী পরিচয় দিয়ে লাভলু নামে এক ব্যক্তি সিমার লাশটিকে নিয়ে গায়েব হয়ে যান। এর মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাহা তৎকালীন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার ও সাড়া মিলে। এক পর্যায়ে নারী পাঁচারকারী দালালরা সংগঠনের তৎপরতা দেখে ২ দিন পর গায়েব হওয়া সিমার লাশ স্বামী পরিচয় দানকারী লাভলুগংরা গুলশান থানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সংস্থার লোকজন লাশটিকে উদ্ধার করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া কবরস্থানে মেয়েটিকে মাটি দেওয়া হয়। আজও সিমার পরিবারের পরিচয় পাওয়া যায় নি।

 

২০১১ সালে এক গার্মেন্টস কর্মী সুমি-১৪ কে মালিবাগ মিরাজ আবাসিক হোটেলে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় নারী পাঁচারকারী দালালরা হোটেলের ভবন হতে ফেলে দিয়ে পাশের বাড়ির গেইটের উপরে থাকা ধাঁরালো ৪টি শুল সুমির বুকের ভিতর দিয়ে এ ফোর ও ফোর হয়ে মেয়েটি কাটা মুরগির মতো ছটফট করে রাস্তায় শত শত পথচারীদের চোখের সামনে ছটফট করে মারা যায়। এ নিয়ে তৎকালীন রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার সহ বেশ কিছু পাঁচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থা জনস্বার্থে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

এছাড়া ২০২৩ সালে যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় শাহিন আবাসিক হোটেলে এক নারী হত্যার শিকার হয়। এমন হত্যা দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায় অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা ঢিলে ঢালা থাকায় সহজেই নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা রাজধীন সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মোটা অংকের সালামি দিয়ে ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করছে। স্থানীয় থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সহজেই ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় হোটেল গুলোকে নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে

 

শত শত দালালদের মাধ্যমে প্রেম, বিয়ে, চাকুরী দেওয়া সহ নানা ফন্দি ফিকির করে দেশের আনাচে-কানাচ হতে মেয়েদের নানা ফাঁদে ফেলে গড ফাঁদারদের নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে এনে প্রথমে নিজেরা ধর্ষণ করে পরবর্তীতে অর্থ কামানোর লালসায় পতিতা ব্যবসায় নানা ফন্দিতে সংগ্রহ করা মেয়েদের নামানো হয়। যদি কেউ বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে না চায় তাহলে নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে টর্চার সেলের রুমগুলোতে আটক করে বিবস্ত্র করে রেখে রুমের বাহির হতে গেটে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। খদ্দের এলে তালা খুলে নানা শারীরিক নির্যাতন পূর্বক পুরুষদের সাথে মিলামেশা করানো হয় তবে বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার হয় ১১ হতে ১৫ বছরের শিশুরা। আবার কাউকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর যারা এক সময় পাঁচারকারী দালালদের বশে আসে তাদের দালালরা এক হোটেল হতে অন্য হোটেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে অর্থ কামানোর জন্য পাঠানো হয়। নাম গোপন রাখা শর্তে যাত্রাবাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন রাজধানী ওয়ারী বিভাগের প্রায় ৫ হতে ৬ শতাধিক নারী পাঁচারকারীরা গড়ে তোলেছে ফাইভ স্টার গ্রুপ। এদের নেতৃত¦ দিচ্ছেন গড ফাদার হিসেবে সদরঘাটের ত্রাশ জাভেল হোসেন পাপন (মোবাইলঃ ০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জামাল (মোবাইলঃ ০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (মোবাইলঃ ০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), বাট্টু সেলিম (মোবাইলঃ ০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), জাবেদ হোসেন মিঠু (মোবাইলঃ ০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), এদের মূল আস্তানা হিসেবে রয়েছে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল তার উল্টো পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল। সায়েদাবাদে রয়েছে নাহিদ, যাত্রাবাড়িতে শাহিন আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসিক হোটেল, বাবুবাজারে রয়েছে বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল, এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর, পটুয়াখালী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এই সিন্ডিকেটের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা।

তবে মূল ঘাঁটি হচ্ছে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেল। সেখানে ফাঁদে পরা মেয়েরা একবার আসলে আর সুশীল সমাজে ভালো ভাবে ফিরে যেতে পারে না। সেখানে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ব্যাপক গোপন নিরাপত্তা, যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি, এম ফরমান আলী উক্ত হোটেলের গড ফাঁদারদের গোপন শোভাকাঙ্খি হওয়ায় গোপনে নিরাপত্ত দিচ্ছে। ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করলে তার আর কোন হয়রানির শেষ থাকে না। অনেকেই একাধিক বার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হোটেল দুটিতে চলা নারী ঘটিত অপকর্ম বন্ধ হয়নি। যারা ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বা কথা বলেছে তারাই বারবার হয়রানির শিকার হয়েছে। দালালদের খপ্পরে পরে যে সকল নারীরা সেখানে আসে ঐ টর্চার সেল হতে দুই একদিন পর বাছাই পূর্বক দেশ বিদেশের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী এক নারী নাম গোপন রাখা স্বত্তে¡ বলেন, নিউ বলাকা, নিউ পপুলার, আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অবস্থান করে হোটেলে খদ্দের ও মেয়ে সংগ্রহ পূর্বক রিসিভ করে রাত দিন অপকর্ম করে সে সকল কিছু তবে গড ফাঁদারদের নামে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ডিএমপির শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ থানাসহ তাদের নামে বে-নামে বিভিন্ন থানায় মানব পাঁচার সহ তাদের নানা ধরনের অপকর্মের দায়ে একাধিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

তবে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা রহস্যজনক কারণে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। যাত্রাবাড়ি হোটেল গুলোর টর্চার সেলে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। রুমগুলোতে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ব্যবসার খদ্দের চাহিদা বাড়াতে দেশ ব্যাপী ইন্টারনেটের মতো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে। গুগলে ইউটিউবে, ফেইসবুকে মতো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নারীদের ছবি ও পাঁচারকারীরা খদ্দের যোগান দাতা দালালদের মোবাইল নাম্বারও ঐ সকল ছবির পাশে দেওয়া থাকে। তবে ইন্টারনেটে যাত্রাবাড়ি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বলে সার্চ দিলেই চলে আসে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে খদ্দের যোগানদাতা দালালদের মোবাইল নাম্বার পথচারীদের মাঝে ছড়াতে দেশ ব্যাপী রাস্তার অলি গলি মেইন রোড কলকারখানা ও অফিস পাড়ার মতো জায়গায় দেখা যায় হোটেলের ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে কিছু যুবক এ রকম হাজার হাজার হোটেল ভিজিটিং কার্ড রাস্তাঘাটে চোখ পড়তেই দেখা যায় ঐ সকল ভিজিটিং কার্ডে শুধু নারী ব্যবসায়ী দালাল ব্যক্তির ছদ্দনাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে। ফোন করলেই লোকজন এসে নিয়ে যায় হোটেল নামে পতিতালয়ে। ঐ সকল পতিতালয়ে গিয়ে অনেক বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ খদ্দের সেখানকার ছিনতাইকারী দালালদের খপ্পরে পরে আটক হয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সৎ ইচ্ছা থাকলে যে কোন সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু রহস্য জনক কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে।

এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই নিজেদের নাম গোপন রাখা স্বত্তে¡ বলেন, নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল-শাহিন, মেঘনাসহ অন্যান্য হোটেলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। কেনানা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভাল করার ইন্সপেক্টর জেলা প্রশাসক, আবাসিক হোটেল রেজিষ্ট্রেশন শাখা কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় পরিবেশ কর্মকর্তা ঢাকা-৫ আসানের এমপি সহ স্থানীয় থানা পুলিশ র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৩ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ কিছু না বলার কারণে উক্ত হোটেল গুলোতে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, নারী পাঁচার সহ নানাবিধ অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া এলাকার সচেতন যুবক, ভদ্র মানুষগুলো ও যাত্রাবাড়ি এলাকার মসজিদ, মাদরাসার সচেতন মানুষগুলো প্রতিবাদ মুখী হয়ে দাড়ালে যাত্রাবাড়ি সহ দেশের আনাচে কানাচে সরকারি অনুমতি বিহীন আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নারী পাঁচার ও অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই কমে যেত। তবে এলাকাবাসী পরিচয় গোপন রেখে অনেকেই বলে স্থানীয় যাত্রাবাড়ি থানার ওসি বি,এম ফরমান আলী হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন সহায়তা করার কারণে সেখানকার অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না। আর এলাকার কেউ কিছু বলতে সাহসও পায় না। এসকল বিষয়ে একটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ হতে বিভিন্ন সময় একাধিক অভিযোগ পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার দেওয়ার পরেও সেখানে অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না।

যে সকল সরকারি দপ্তরে অভিয়োগ প্রেরিত হয়েছে

গত তারিখ ০১/১০/২০২৩ইং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ঢাকা, যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম (ডিএমপি),কমিশনার অনুসন্ধান, দুর্নীতি দমন কমিশন, উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ, বরাবর ২০ পাতায় একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দেই। যাহার বিষয় বিষয় ছিলঃ মানবাধিকার কার্যক্রম বন্ধ করতে মিথ্যা মামলা, হামলা, অপসংবাদ ও সংস্থার অফিস লুটপাট, ডাকাতিসহ নানাবিধ ষড়যন্ত্রকারী নারী গঠিত ও মাদক, জুয়া ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী এবং তাদের সহায়তাকারী পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে।

সরকারি দপ্তরে প্রেরিত জনস্বার্থে অন্যান্য অভিযোগ সমূহ

১। তারিখঃ ৩০/০৬/২০২২ইং, এসএল ৫৮৯, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ২। তারিখঃ ০৫/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩০৫, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৩। তারিখঃ ১৯/০৪/২০২৩ইং, এসএল ২৭২, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৪। তারিখঃ ১৬/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩২৫, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৫। তারিখঃ ০৮/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩০৪, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৬। তারিখঃ ০১/১০/২০২৩ইং, এসএল ৭৩৯, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৭। তারিখঃ ১২/১১/২০২৩ইং, এসএল ৮৪৩, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৮। তারিখঃ ০৮/০৪/২০২৩ইং, এসএল ২৩৬, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৯। তারিখঃ ১২/১১/২০২৩ইং, সিরিভ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ১০। তারিখঃ ২৫/০৫/২০২২ইং,এসএল ৪৪৬ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ১১। তারিখঃ ১৯/০৫/২০২২ইং,এসএল ৪২৭ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১২। তারিখঃ ০২/০৬/২০২২ইং,এসএল ৪৮২ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৩। তারিখঃ ১৬/০৬/২০২২ইং,এসএল ৫৬৯ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৪। তারিখঃ ১৯/১০/২০২৩ইং,এসএল ৭৯০ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৫। তারিখঃ ০৩/১২/২০২৩ইং,আরটি ১৩.৪০ রিসিভকারী সিমা আইজিপি’স কমপ্লেইন পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৬। হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে প্রাপ্ত আবেদন যার বিষয় ধর্ষক ও নারী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ উক্ত সরকারী দপ্তরে বরাবর অভিযোগ দেই।

যে প্রতিবাদ করায় ওসি মাজহার ও ফরমান আলী ষড়যন্ত্র করে

অভিযোগগুলো দেওয়ার আগে ও পরে হোটেল নিউ বলাকা, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), ও জাভেল হোসেন পাপন (০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জাবেদ হোসেন মিঠু (০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), জামাল (০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), বাট্টু সেলিম (০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), পলাশ (০১৭১৯-৩৫৫৯১৬), কিলার শাকিল (০১৭০৯-০৫০৮৯০), ফারুক (০১৮৪৯-২৭৭৭৭৪), বিল্লাল (০১৮১৮-৫৫৮১৮২, ০১৮৭১-৫০৯৫৯৫), ডিপজল (০১৯৪৩-১৫৫২২৭), মুন্না ওরফে সবুজ (০১৯৮৯-৮৮০৫৪৯), ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল হোল্ডিং মালিক খলিল ও তার তিন বোন, একই স্থানে সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলার নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল হোল্ডিং মালিক আজিজ ও তার স্ত্রী সহ তিন শালী হোল্ডিং মালিকগণ নারী পাচারকারী ও নারী ব্যবসায়ী গড ফাদার সাজ্জাদ, পাপন, মিঠু, অবৈধ ইনকামে শত শত কোটি টাকার মালিকগংদের হোল্ডিং ভাড়া দিয়ে সবকিছু জানার পরও অবৈধ কাজে নিষেধ না করে গোপনে পরস্পর যোগ সাজসে সহায়তা করে আসছে উক্ত পাচারকারীগণরা ও প্রেম বিয়ে চাকুরী দেওয়াসহ মেয়েদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে উক্ত নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা হোটেলে এনে আটক করে বা জিম্মি করে প্রথমে নিজেরা গণধর্ষণ করে এক পর্যায়ে অন্যান্য দালালরা নিজেরা বা খদ্দর সংগ্রহ করে নানাধরনের শারীরিক নির্যাতন পূর্বক বিভিন্ন পুরুষ খদ্দের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করায় এবং গোপন ক্যামেরায় ভিডিও স্টিল ছবি তুলে রাখে এবং খদ্দের চাহিদা বাড়াতে বিভিন্ন স্টাইলে তোলা ছবিগুলো গুগল ইন্টারনেটে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে ছড়িয়ে দেয় এক পর্যায়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে ঐ সকল মেয়েদের নানা কৌশলে পরিবারের কাছে যাওয়ার সকল পথ বন্ধ করে দেয়। উক্ত পপুলার ও বলাকায় আনা নবাগত মেয়েদের কিছুদিন নানা নির্যাতন পূর্বক আটক রাখার পর দালালদের বশে এনে নানাবিধ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নতুন কৌশল করে ইন্টারনেটে ছবি ছাড়ার সাথে চাহিদা মোতাবেক খদ্দেরদের সাথে যোগাযোগ করতে দালালদের মোবাইল নাম্বার ও দেওয়া থাকে ঐ সকল নারী পাচারকারী ও খদ্দের সংগ্রহকারী দালালদের মোবাইলে ফোন করে খদ্দেরদের চাহিদা মোতাবেক প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত যেমন ধরনের মেয়ে দরকার চাওয়া মাত্রই খদ্দেরদের সাথে দেখা করে খদ্দের নিয়ে আসেন তাদের পতিতা ব্যবসার আবাসিক হোটেল এর অর্ন্তরালে পতিতালয়গুলোতে দালালদের মোবাইল নাম্বার ১। ইমরান, (মোবাইলঃ ০১৭২৬-২৬৩০২৬) ২। সুলতান, (মোবাইলঃ ০১৬০৯-৩০৯২১৬) ৩। রসিদ, (মোবাইল ঃ ০১৭২৭-০৮১৬৯০) ৪। সুলতান-২, (মোবাইলঃ ০১৭৩৮-১৮৭৬২৮) ৫। ইমরান-২ (মোবাইলঃ ০১৩১৯-০৭০৩৩৩) ৬। ইমরান-৩, (মোবাইল ঃ ০১৩২৭-২৭০০৭২) ৭। মাহিম, (মোবাইলঃ ০১৯৯৮-৩৫৩৬২৭) ৮। সুলতান-৩, (মোবাইলঃ ০১৯৩২-৫৫৮৭২৫) ৯। রাকিব, (মোবাইলঃ ০১৭৩৮-৭২১৮০৭) ১০। রাকিব, (মোবাইল ঃ ০১৯৯২-৪৭১১৬৩) ১১। ফাইম, (মোবাইলঃ ০১৩৩১-৪০১৪২৫) ১২। মিহিন, (মোবাইলঃ ০১৭১৮-২৬৪৪৫০) ১৩। হুমাউন, (মোবাইলঃ ০১৮৩৪-৯৮৬৯৬৯)১৪। নিরব, মোবাইল ঃ ০১৭১৭-৩৪২৫৮৮১৫। মহিদুল, (মোবাইলঃ ০১৮২৬-৪৫১৬৩১) ১৬। আপন, (মোবাইল ঃ ০১৯১১-৯৩০১৩০১৭)। সুমন, মোবাইল ঃ ০১৭২০২৪৩২৩৪ ১৮। আবজাল, (মোবাইল ঃ ০১৭৯০-৬৪০৯৯৪) ১৯। তোফাজেল, (মোবাইলঃ ০১৭১১-৬৭৪৮৯৮২০)। তারেক, (মোবাইলঃ ০১৯২০-৪০১৫৬৬২১)। আনোয়ার, (মোবাইলঃ ০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭) ২২। জামাল, (মোবাইলঃ ০১৭০৬-৯৬৫২৯) ২৩। অভি ভাই, (মোবাইলঃ ০১৯২৪-২৬৪২৩৫) ২৪। নাসির (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৮৭৬৫৯২০) ২৫। নাসির-২ (মোবাইলঃ ০১৭২৫-৭২৯২২৭) ২৬। নাসির-৩ (মোবাইলঃ ০১৮১৭-২৭১৪৪৫), ২৭। মানিক, (মোবাইলঃ ০১৮৪৬-৮১৩১২৯), ২৮। ইউসুফ, (মোবাইলঃ ০১৭২১-৬১৭৯৩৯) ২৯। সুমন, (মোবাইলঃ ০১৭২০২-৪৩২৩৪) ৩০। সুমন-২ (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৫৫৮১৮২), ৩১। মনির, (মোবাইলঃ ০১৭০৪৬০৫২১৪) ৩২। তারেক (০১৬০২-৮৮২৫৩৩), ৩৩। ইউসুফ রিপন (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৪৮৩৩৫৯), ৩৪। মোঃ আনোয়ার (০১৭৭৪-৯০০৬৩৯), ৩৫। শাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪) ৩৬। কোটিপতি সবুজ (০১৭২৬-৬৪০১৭৫), ৩৭। কামাল (০১৯১৩-৭৮১৩১৭), ৩৮। মানিক (০১৭১৬-৯০০৩৩৬), ৩৯। রনি/ডালিম (০১৬৮৩-১৫৮২৯৮) ৪০। জসিম (০১৮৬৪-৭০৫৯৫৯) ৪১। শফিক (০১৩০২-১২১২৯৫), ৪২। শাওন (০১৩৮৬-৮৩৫৩৭) ৪৩। টুন্ডা আনোয়ার (০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭), ৪৪। মহিলা দালাল মাহি (০১৭৪৩-৪৭২৮৪), ৪৫। নূর আলম (০১৭১৬-৮৬৩৯৮৫), ৪৬। আনোয়ার ওরফে তারা (০১৩৩০-০১৫৮০৬), ৪৭। সাগর (০১৩১৬-৮১১৬১০), ৪৮। শাহিনূর (০১৯৪৫-৪৪৮৬৩৮) ৪৯। নাদির (০১৭২৫-৭২৯২২৭) ৫০। সজিব (০১৩২০-৮১৮১৬৪) ৫১। বরহান (০১৭৭৯-৯৯৬২৯৮) ৫২। গণেশ (০১৭৮৫-০২৮৮৮৫), ৫৩। মোঃ শাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪) ৫৪। শফিক (০১৯৯৯-৮৩৪৪০১), ৫৫। নিলয় (০১৮১৭-০৩৭৪৭৫) ৫৬। হাবিব (০১৬০০-৯০৫৬০৯), ৫৭। ডলার (০১৭৬৪-৪৯১৩৯৪) ৫৮। টালাশ (০১৯৩৪-২৬৬৫১৬) ৫৯। রবি ভাই (০১৯৮৪-৭৭৮৮০৪), ৬০। মকবুল (০১৯৮৮-৬৫৮৪৬৩) ৬১। হোসেন ভাই (০১৬০০-১৫৮৪৩১) ৬২। কনক (০১৮৮৬-৪২৩১১১), ৬৩। ডালিম (০১৯১৪-৫৯০৭৫৯), ৬৪। সবুজ (০১৩০৫-২৭৭৭৪৪), ৬৫। সজিব (০১৭৩২-৪৮৭৮২২), ৬৬। সাগর (০১৯৮৮-৩৬৬১৮৩), ৬৭। খান (০১৩২২-৩৫৫৬০২), ৬৮। দাদন (০১৮৩০৫-৫০৮৮০), ৬৯। নয়ন (০১৮৭৮-৬৫২৭৮০) ৭০। সাইদুল (০১৬৩৯-৮৭০৯২১) ৭১। সাইফুল (০১৯৫০-৩৪৫৫০৮) ৭২। স্বাধীন (০১৬৭৭-৩২৮৭০০) ৭৩। সখি (০১৭২৭-৩২৫৪০৬), ৭৪। শফি (০১৯২৬-৮৪১১৭১), ৭৫। ইমরান (০১৩২৮-০৬০৯১৬) ৭৬। বাদশা (০১৩১৯-২৫৯৫৫৫) ৭৭। মামুন (০১৭৩৯-৪২৮৪০৮) ৭৮। শুটার ইমরান (০১৩২৫-৮৮১৬০৩) ৭৯। আকাশ (০১৮১৪-৫৭১৬২৩), ৮০। সূর্য (০১৩১৯-২৫৯৫৫৫) ৮১। আনোয়ার (০১৭৭২-০৮৭১০২) ৮২। আলাউদ্দিন (০১৭২৫-৭৬০১৯৬) ৮৩। রাজ (০১৬১৬-৭৭১৩৭৯), ৮৪। চাঁদ ভাই (০১৭৯৯-২৪৫১৮৯), ৮৫। বরকত ভাই (০১৮১৮-৪৬৯৫৫৭) ৮৬। নাসির (০১৬১০-০৪৫০৭৫) ৮৭। কাজল (০১৮৪৫-৫৩৯৫৭৫) ৮৮। দোলা (০১৩৩২-৬৩৩৩৭৬), ৮৯। সুমন ভাই (০১৯৫২-৬০৬৪৩০), ৯০। মিলন (০১৮৯৬-৩৩০৭৫৫) ৯১। জিকু (০১৮৬৩-১১৩৫১০) ৯২। ফরিদ (০১৬২৭-৫৮৮১৩৩), ৯৩। ছোট সাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪), ৯৪। এমদাদ (০১৭৭২-৮৬৮৯৮০), ৯৫। বিজয় ভাই (মোবাইলঃ ০১৯৬৬-৪৮৫০১৪), ৯৬। রবি ৯৭। জসিম ৯৮। হান্নান ৯৯। নোয়াব ১০০। হারুন (০১৬৭২-১২১৩০৯) ১০১। হায়াত ১০২। সালেক (০১৫৩৩-০০২০০৩) ১০৩। তেল মনির, ২৭৩, ধোলাইপাড় ও নারী সদস্য ১০৪। মলিনা আক্তার জুুঁই ১০৫। সাথী, ১০৬। লিজা ১০৭। আনোয়ারা ১০৮। আঙ্গুরী ১০৯। বেবী, ১১০। রানী ১১১। রনি (০১৭৯১-০৩২০২৮), ১১২। জব্বার ভাই (০১৭২৮-৩১৬৬৪৬) ১১৩। সুজন ভাই (০১৯১০-৬৯১০২৪) ১১৪। দুলাল ভাই (০১৭৮০-১৫২২৬৬) ১১৫। সিদ্দিক ভাই (০১৭৩১-৮৫৫৯২১), ১১৬। কনক ভাই (০১৮৮৬-৪২৩১১১), ১১৭। নিরব ভাই (০১৯৬৬-১৪৫১৮৭), ১১৮। মধু ভাই (০১৭২৫-১২১২৩০), ১১৯। মুন্না ভাই (০১৬২৬-১০২২৫৫), ১২০। কাসেম ভাই (০১৮১৪-৪৭৮৫০৩) সহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়শতাধিক দালাল ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ী উক্ত নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে নিরাপদ আস্তানা বানিয়ে সেখানে রয়েছে। গডফাদার দালালরা নতুন সংগ্রহ করা শিশু, কিশোরী, যুবতী মেয়েদের সেখান হতে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে নিয়ে মেয়েদের কৌশলে জিম্মি করে দালালদের বশে আনা কিছু মেয়েকে নিয়ে উক্ত নারী ব্যবসায়ী ও পাচারকারী দালালদের গোপনে সহায়তাকারী ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল), বিপি নং-৭৬০২০৩৪৫০৭ ও তার বন্ধু বিএম ফরমান আলী (বিশ^াস) বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ তারা রাতারাতি অবৈধ কালো টাকা কামানোর লালসায় নারী পাঁচারকারী মাদক কারবারী,ক্যাসিনো জুয়ারস্পট ব্যবসায়ী, বিভিন্ন চাঁদাবাজ, অবৈধ পেট্রোল অক্টেন বিক্রেতা, ভেজাল পণ্য তৈরিকারী ব্যক্তিবর্গ, ছিনতাইকারীসহ নানাবিধ অপরাধীদের সাথে গোপন সু-সম্পর্ক করে নিজেদের অপশক্তি বল প্রয়োগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারী ও মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ সাজ্জাদগংদের পক্ষ নিয়ে আমাকে নানা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে অভিযোগ গুলো তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে বাধ্য করতে চেষ্টা করে আসছিল।

পাঁচার হওয়া নারীদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে ষড়যন্ত্রের শিকার

অত্র সংস্থার বরাবরে ভুক্তভোগী এক মেয়ের একটি অভিযোগপত্র পাই উক্ত অভিযোগের বিষয় ছিল- ধর্ষক ও নারী পাঁচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। উক্ত অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্থার অনুসন্ধানী কর্মীগণ সহ আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যাপক খোঁজখবর নেই কিন্তুু অভিযোগকারীকে অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নাই। যেহেতু উক্ত অভিযোগে নারী পাঁচারকারী কবির ও মিরাজ নামে ব্যক্তিদ্বয়ের উল্লেখ করেছে ঐ ব্যক্তি একজন আর্ন্তজাতিক নারী পাঁচারকারী। তাই সংস্থার কর্মীগণ বিভিন্ন ভাবে নানা জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা ও পতিতালয় ব্যাপক সোর্সের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযোগে উল্লেখিত পাঁচারকারীর নাম মোঃ হুমায়ুন কবির খান ডাকনাম মিরাজ, পিতাঃ আব্দুল মান্নান খান, সাং-সরমহল, গৌড়িপাশা, থানাঃ নলসিটি, জেলাঃ ঝালকাঠি, বর্তমান সাং-সামিউল্লাহ প্লাজা, ৫ম তলা, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল, থানা যাত্রাবাড়ি, জেলা ঢাকা। নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল এর অর্ন্তরালে পতিতালয় নারী সরবরাহকারী দালাল কবিরের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারীদের যাত্রাবাড়ি বলাকা ও পপুলার হোটেল নামে পতিতালয়ে মেয়েদের নানা কৌশলে নিয়ে আসে। সেখানে তার দলে বেশ কিছু মধ্য বয়স্ক নারীও রয়েছে। তাদের দিয়ে সংগ্রহ করা নবাগত মেয়েদের শারীরিক নির্যাতন সহ নানা কৌশল এ পতিতালয়ে বহিরাগত পুরুষদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করানো হয়। তার দলে মেয়েদের দিয়ে নানা ভাবে বুঝ পরামর্শ ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে অবৈধ পথে ভারতের বোম্বে, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুর, পুনে, মহারাষ্ট্রে ও কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা বাসা-বাড়ি, আবাসিক হোটেল পতিতালয়ে নিয়ে গিয়ে ঐ দেশি পতিতা ব্যবসায়ী পাঁচারকারী এজেন্টদের কাছে অনেক টাকা মূল্যে পাঁচার করে নিয়ে যাওয়া মেয়েদের বিক্রি করে দিয়ে আসে। কবিরগং দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় এজেন্টদের কাছে তার অনেক সুনাম রয়েছে। ইন্ডিয়াতে কবিরের হিন্দু নাম শংকর। তার দ্বারা শত শত প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের পতিতা ব্যবসার জন্য কবির ওরফে মিরাজগংরা পাঁচার করেছে। তার ৮-১০টি স্ত্রী রয়েছে। তারা কেউ দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস, কলকারখানায় কাজ করে কবিরের ব্যবসা চাঙ্গা রাখতে কবিরকে মেয়ে

সংগ্রহ করে দেয়। আবার কেউ ভারতে অবৈধ পথে কবিরের নির্দেশে মেয়েদের নিয়ে যায়। যাহা কবিরের দায়িত্ব পালন করে থাকে। আর এ ব্যবসার গড ফাদার হিসেবে কবিরের সিনিয়র সহায়তাকারী তার পাঁচার ব্যবসার পার্টনার সাজ্জাদ, শুক্কুর, জামাল, সাইদুল, বাট্টু সেলিম, পাপন, মিঠু, শাকিল সহ পত্রে উল্লেখিত ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া ব্যক্তিগণ তবে যে সকল মেয়েদের ইন্ডিয়া পাঠানো হয় তারা অবৈধ পথে যাওয়ার ফলে বৈধতা না থাকায় সহজেই পালিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসতে পারে না। অনেক মেয়ে ভারতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ধরা পরে অবৈধ হওয়ার ফলে দিনের পর দিন ভারতের বিভিন্ন জেলে রয়েছে। কেউ দেশে আসতে চাইলেও অবৈধ হওয়ার কারণে আসতে পারে না। অভিযোগে উল্লেখিত মেয়েটিও কবিরের দ্বারা পাঁচার হয়েছে। পাঁচারকারীদের দ্বারা পাঁচার হওয়া ভারত হতে বহু কষ্টে পালিয়ে আসা বিভিন্ন মেয়েদের কাছ হতে জানতে পারি।

অনুসন্ধানের সময় জানতে পারি

১। পাচারকারী কবিরগংদের জিম্মি দশায় থাকা ঈশা, জন্ম তারিখ-০২/০৬/১৯৯৬ইং, জন্ম নিবন্ধন নং-১৯৯৬১৬২২৩৫০০১৮৪২৬, পিতা-মোঃ আবুল কাশেম, মাতাঃ বিবি রহিমা, সাং-ফকিরাগুনা, বড়াইছড়ি, থানা-কাপ্তাই, জেলা-রাঙ্গামাটি। উক্ত ঈশা জানায় সে মিরপুরের একটি গার্মেন্টস এ হেলপার হিসাবে কাজ করত। ঈশাকে বেশি বেতন পাইয়ে দেওয়ার ও অপারেটর হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে লিজা , বয়স-২২, ঈশাকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলকায় এনে উক্ত পাচারকারীদের কাছে এনে কৌশলে বিক্রি করে দেয়। এরপর নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন পূর্বক ঈশার ইচ্ছার বিরুদ্ধে উক্ত হোটেলে রুমে আটক রেখে বিভিন্ন পুরুষ দ্বারা দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। তাদের কাছ হতে পালাতে চাইলে ঈশা ঈশাকে দিয়ে করানো বিভিন্ন পুরুষের সাথে যৌন মেলামেশার ভিডিও ও স্টিল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। সাজ্জাদ ও কবিরগংরা ও উল্টো সাজানো মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয় দালালরা এক পর্যায় সেখান হতে অন্য জায়গায় নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে ঈশাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দালালরা তাকে হুমকি দেয় তাদের কথা না শুনলে বিদেশে পাচার করে দিবে। দালালদের কাছে এমন বহু মেয়ে আছে অনেকেই পাচার হয়ে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে রয়েছে । ২। ঝুমা ওরফে রুনা আক্তার, বয়স-৩২, পিতা-আব্দুল জলিল শেখ, সাং-বনগাঁ, থানা- কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, মেয়েটিকে কবিরগংরা প্রেমের প্রলভনে ফেলে বিয়ে করার নামে মেয়েটি সহজ সরল বোকা প্রকৃতির হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আনোয়ারা ও রানী কবিরগংরা ফুসলিয়ে ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট, ৪র্থ তলা, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলে এনে আটক করে কিছুদিন রাখে। এক পর্যায়ে দুই দিন পর বিয়ের নামে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। ৩। নূরে যা, বয়স-১৭, পিতা-নূরনবী, মেয়েটির বাড়ি রংপুর গাইবান্ধা তাকে উক্ত পাচারকারী ইউসুফ রিপন প্রেমের প্রলোভনে নিউ বলাকা হোটেলের ৪নং রুমে এনে আটক করে রাখে। নানা ভয়ভীতি দেখাইয়া বিভিন্ন হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে রিপনগংদের অন্যান্য সদস্য দ্বারা জিম্মি করে উক্ত পাচারকারীরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করাচ্ছে। ৪। সোয়া, বয়স-১২, মেয়েটির সাথে সংক্ষিপ্ত কথা বলে জানা যায় তাকে নিয়ে আসা লিজা, রানী, আনোয়ারা গংরা তাকে দিয়ে জোর পূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে নিউ পপুলার সহ দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে, উক্ত আশাগংরা পাহারা দিয়ে রেখে সোয়াকে বিভিন্ন পুরুষ মানুষের সাথে নির্যাতন পূর্বক যৌন মেলামেশা করায়। সোয়া অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় পুরুষদের নির্যাতন সহ্য করতে না পারলে আশাগংরা রুমে দাড়িয়ে থেকে নানা ভয়ভীতি মারধর এর ফলে পুরুষদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করায়। ৫। খাদিজা, বয়স-২০, নামের এক মেয়ে জানায় তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা কাজের সন্ধানে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকায় রানীর সাথে পরিচয় হয় এক পর্যায় রানী তার শিশু সন্তান বাবুকে জিম্মি করে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে খাদিজাকে দিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। খাদিজা খারাপ কাজ করতে না চাইলে তাকে নানা ধরনের নির্যাতন করে এবং তার শিশু সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে পতিতা বানিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো জানা যায়। এছাড়াও আরোও বহু প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত মেয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন কায়দায় মানব পাচারকারী দালালরা পতিতা ব্যবসার জন্য খুলনা বানী শান্তা, পটুয়াখালী, যশোর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি দৌলদিয়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর পতিাতলয় সহ ও দেশ বিদেশের পতিতালয় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায়, পাঁচার করছে। পতিতালয় গুলোতে অসংখ্য প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত শিশু কিশোরী মেয়ে মানুষ দালাল ও সর্দারনীদের জিম্মি দশায় রয়েছে। ঐ সকল মেয়েরা বাহিরের আলোর মুখ দেখতে পায় না বা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করারও সুযোগ দেয় না পতিতালয়ের সর্দারনী বা পাচারকারী দালালরা। এমতাবস্থায় কবিরের সাথে দেখা পাওয়ার জন্য কাজলা বৌ-বাজার এলাকায় যাই। তার সাথে দেখা করে বাংলাদেশ হতে মেয়েদের যেন পাঁচার না করে এবং তার সিন্ডিকেট দ্বারা পাঁচার হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজলা এলাকায় যাই। সেখানে যাওয়ার পর কবিরের সাথে দেখা হলে কথা বলার এক পর্যায় কবিরগং আমাকে বলে এসকল নিয়ে যেন আমি বেশি বাড়াবাড়ি না করি আমি তাদের কথায় রাজি না হলে

ছিনতাই কারীকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিয়ে বাদী বানিয়ে ভুক্তভোগীর নামে মামলাঃ

১। গত ১৬/১২/২০২৩ইং তারিখ হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংগঠনের নারী পাঁচার বিরুদ্ধি (অপরাধ অনুসন্ধান) কার্যক্রম সূত্রে যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলা বৌবাজার দিয়ে কুতুবখালী যাওয়ার পথে আমার গতিরোধ করে ৪/৫ জন যুবক। তারা আমার গলায় ধারালো ছুরা ঠেকিয়ে পেয়াজের আড়ৎ এর গলির ভিতর ভাসমান নাজমার মাদক স্পটে নিয়ে আমার গলার একভরি ওজনের একটি স্বর্ণের পেঁচ চেইন ও নগদ ২২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাকে উল্লেখিত সরকারী দপ্তরে আমার দেওয়া অভিযোগগুলো বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে আমাকে তুলে নিতে বলে। সময় ৩ দিন বেঁধে দেয়। নয়ত আমি যেন ঢাকা শহর ছেড়ে চলে যাই। এমতাবস্থায় আমাকে তারা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে আমি গলি হতে বের হয়ে রাস্তায় এসে সন্ধ্যা ৫.৫০ মিনিট আনুমানিক সময় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে আমার ঘটনার পরিচয় জানাই। ৯৯৯ হতে অজ্ঞাতনামা অপারেটর তাৎক্ষণিক যাত্রাবাড়ি থানার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসার এর সাথে কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেন। ডিউটি অফিসার আমার সবকিছু শোনার পর এলাকায় টহলরত ডিউটি অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম, বিপি নং-৭৬৯৬০২২৫৩০ এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ঃ ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭ আমাকে দেন। এরপর ৯৯৯ হতে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে ৬.১৪ মিনিটের সময় যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসার এর মোবাইল নং-০১৩২০-০৪০৫১৬ নাম্বার আমার ব্যবহৃত ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বারে পাঠান। ৯৯৯ এর আমার কমপ্লিন কল নং-ঈঋঝ ৪৭৪৭৮০২৯ নম্বরটিও আমার ব্যবহৃত নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে ৯৯৯ পাঠান। এরপর উক্ত এসআই রফিকুল ইসলাম এর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইলঃ ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭, অজ্ঞাতনামা আরেকটি নাম্বারে আমার ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে একাধিক বার কথাবলার পর ঘটনা স্থলে এসে আমার ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ঘটনা স্থল হতে দুই ছিনতাইকারীকে উপস্থিত রফিকুল ইসলামের সাথে আসা তার সঙ্গিয় ও ফোর্স অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চেইন নিয়ে যাওয়া আরো একজন ছিনতাইকারী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী শুক্কুর আলীকে সনাক্তমতে গ্রেফতার করে এবং সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক সুইটি, প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী জামাল,আলম, বাদশা, রাজিয়া, ভিক্ষুক রোকেয়া, ভিক্ষুক সালমাসহ প্রায় ৪০ হতে ৫০ জনের মতো উপস্থিত স্বাক্ষী নেয় পুলিশ। এর পর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ৩ ছিনতাইকারীকে যাত্রাবাড়ি থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। আর আমাকে এসআই রফিকুল ইসলাম ছিনতাই হয়ে যাওয়া চেইনের ক্যাশ মেমো নিয়ে আসতে বলে।

তখন আমি মালিকানা মেমো আনতে গেলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর-০১৮৬৫-৮১০১৫৪ এসআই রফিকুল ইসলামেরব্য বহৃত ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭ নাম্বারসহ বিভিন্ন নাম্বার হতে রফিক প্রায় আনুমানিক ৪০ মিনিট পর ফোন করে আমাকে তাড়াতাড়ি যাত্রাবাড়ি থানায় আসতে বলে। যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ডাকতেছে বলে জানায়।

যাত্রাবাড়ি থানায় যাওয়ার পর যা ঘটল

এক পর্যায়ে আমি আনুমানিক রাত ৯ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ি থানায় যাই। থানার বাহিরের গেইটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে দেখতে পাই। তখন তাদের সাথে আমি থানার গেইটের পশ্চিম পাশে থানার সিসি ক্যামেরার নিচে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। ঐ মুহুর্তে পুনরায় এসআই রফিক আমার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ এই নাম্বারে কল দেয়। তার নাম্বার হতে তখন আমি থানার গেইটে আছি বললে এসআই রফিকুল ইসলাম থানা হতে গেইটে এসে গেইটে বসানো জনসাধারণ থানায় প্রবেশ রেজিষ্ট্রার খাতায় ডিউটিরত কনস্টেবল দিলীপকে দিয়ে খাতায় আমার নাম লেখায়। আমাকে থানার দ্বিতীয় তলায় রফিক সাথে করে নিয়ে আমার সাথে যাওয়া আরো দুইজনকে আমাদের ওসি তদন্ত সাহেবের রুমে বসায়। কথাবার্তার এক পর্যায় আমার কাছ হতে চেইনের কাগজপত্র নেয় এসআই রফিক। ঐ কাগজ যাত্রাবাড়ি থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ কে দেখানোর কথা বলে তদন্ত এর রুমে আমাদের বসিয়ে রেখে তিনি ওসির রুমে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর যাত্রাবাড়ির ওসি তদন্ত আজহার ওসি অপারেশন, সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম এর পার্সোনাল পিএস আমার পূর্বে চলমান অভিযোগ এ উল্লেখিত সাজ্জাদ পাপনগং সহ ও চিহ্নিত পতিতালয়, হাজী ইউনুস সুপার মার্কেট ৮২/এ, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল চতুর্থ তলা ও সামিউল্লাহ প্লাজায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল সায়েদাবাদ আল হায়াত ও আল জাকির ভবন যাত্রাবাড়ি শাহিন, মেঘনাসহ আরো কয়েকটি ঐ সকল আবাসিক হোটেলের অন্তরালে পতিতা ব্যবসা ও নারী পাচার পরিচালনাকারী ও নারী পাচারকারী একাধিক গডফাঁদার নারী পাচারকারী দালাল ব্যক্তিদের থানায় উপস্থিত করে তারা আমাকে দেখিয়ে।

অপেশা দারিত্ব আচরণ পূর্বক ওসি ফরমান আলী যা বললেন

ওসি ফরমানউল্লাহ বলে সালাকে অনেক দিন পর পাইছি। পূর্বে আমি মতিঝিল, গুলশান থাকাকালে ঐ এলাকার সর্বস্ত নারী ব্যবসায়ীদের সাথে আমার নামে আইজিপিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করছে ওর জন্য আমার প্রায় ১০০ কোটি টাকা মাসোহারা ইনকাম এর ক্ষতি হইছে। এরপর বলে দেশের নারীরা পাঁচার বা পতিতা হলে শালা তোর কি আসে যায়? তোরে অনেক দিন পর পাইছি এবার অভিযোগ করার মজা বুঝাইয়া দেব। ওকে যে ভাবে মনে চায় ওর নামে অভিযোগ দাও। একাধিক মামলা হবে এ শালার নামে। এ বলে আমাকে তিন ওসি মিলে থানা হাজতে অন্যান্য উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের রাখতে বলে এবং এসআই রফিককে নির্দেশ দেন ছিনতাইকারীদের ছেড়ে দাও আর তাদের ভিতর হতে একজনকে বাদী বানিয়ে ওর বিরুদ্ধে-ই ছিনতাই মামলা নাও। আর একটা চাক্কু দিয়া দিও। ঐ মুহুর্তে নারী পাচারকারীরা বলে শালা টাকা কামাইমু আর তিন ওসি স্যারের পিছে ঢালমু তোরে আর জেল হতে বের হতে দিমু না। কত মামলা খাইতে পারিস এবার মজা বুঝবি। তুই পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করছস তা ও আবার যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি মাজাহার স্যারের নামে। এসআই রফিক উপস্থিত কনস্টেবল আনোয়ার সহ কয়েকজনকে দিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় আমার ফ্যামিলির কারো সাথে যোগাযোগ করার সুযোগটি পর্যন্ত দেয় নাই। এক পর্যায়ে থানা হাজতে আমাকে অমানবিক নির্যাতন পূর্বক রেখে দেয়।

যাত্রাবাড়ি থানা হাজতে যা ঘটল

রাত ১১ টার পর হতে লকাপে এসআই রফিক অজ্ঞাতনামা কয়েকজন অফিসার এসে বলে ভাই যদি সম্ভব হয় তাহলে ক্ষমতাসীন কোন লোক দিয়ে তদবির করান নয়ত আপনাকে রাতে অস্ত্র উদ্ধারের নামে হত্যার মতো কোন ঘটনা আপনার সাথে হইতে পারে। আপনাকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে এরপর আমার লকাপের সামনে আসে যাত্রাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত আমার তিনি এসে আমাকে বলে পরিবারের সাথে কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা যদি আনতে পারেন আপনাকে ডিএমপি এ্যাক্টে আদালতে কালকে পাঠানো হবে সামান্য জরিমানা দিয়ে চলে আসবেন আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি মন্ত্রনালয় সহ যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি মাজহারের বিরুদ্ধে ও পপুলার বলাকা নামক আবাসিক হোটেলসহ যত ধরনের অভিযোগ করেছেন তাহা সরকারি দপ্তরে গিয়ে তুলে নিয়ে আসবেন। তখন আমি ওসি তদন্তকে বলি যে আমার কাছে তো এত টাকা নাই। ঐ মুহুর্তে তদন্ত বলে যা পারেন রাতে আনান। বাকি টাকা সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তি করে আস্তে আস্তে দিয়ে দিবেন। ওসি ফরমান স্যার ভালো মানুষ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন। এমতাবস্থায় আমি লকাপ ইনচার্জ মন্নান নামে এক পুলিশ সদস্যকে দেখিয়ে দিয়ে যান। আমার পরিবারের কেউ টাকা নিয়ে এলে যেন আমি তার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে দেই। এমতাবস্থায় আমি তাদের দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় পরের দিন ১৭/১২/২০২৩ইং সকালে কোর্টের আসামী নেওয়ার গাড়ি যাত্রাবাড়ি থানায় আসলে উক্ত মন্নানগং আমাকে জিজ্ঞেস করে টাকার খবর কি? তখন আমি বলি খবরতো ফোনে এসআই রফিকের মাধ্যমে পাঠাইছি। তখন আনোয়ার বলে, দুপুর একটা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে। কথা না রাখলে মামল দিয়ে রিমান্ডে এনে মজা বুঝাবে।

আদালতে পাঠানোর পর

এমতাবস্থায় পুলিশ আমাকে অন্যান্য হাজতিদের সঙ্গে কোর্টের গাড়িতে করে বেলা ১২ ঘটিকার সময় নিয়ে যায়। কোর্টগারদে নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গারদের লকাপে সেখানকার প্রতিপক্ষ গ্রহণ করল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের এক কনস্টেবল লকাপের বাহিরে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ি থানার ওসি আপনার কাগজে সাইন করে নাই। আপনি থানায় কি ঝামেলা বানাইছেন। এমতাবস্থায় আমার কোন লোকজন ঐ দিন টাকা না দেওয়ায় প্রায় ২ ঘটিকা সময় পর্যন্ত অপেক্ষার পর যাত্রাবাড়ি থানা হতে মোটর সাইকেলে করে এক পুলিশ সদস্য দিয়ে আমার নামে ছিনতাই মামলা সহ চারটি মামলা পাঠান। এক পর্যায়ে জানতে পারি এসআই রফিকের গ্রেফতার করা আমার অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ও কাজলার মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুরদেরকে ছেড়ে দিয়ে শুক্কুরকে বাদী বানিয়ে আমার নামে দ্রæত বিচার আইনে ছিনতাই মামলা পাঠিয়েছেন। ঐ মামলায় আমাকে গ্রেফতার দেখায় এবং আমার কাছে নাকি একটি ছোরাও পেয়েছে এবং সেটি উদ্ধার দেখিয়েছে মামলায়। প্রায় ২ ঘন্টা পর কোর্ট হাজতের লকাপে আমাকে দেয় এক পর্যায়ে আদালতকে মিথ্যা ভুল বুঝিয়ে নাটকীয় মামলায় আমাকে ২ দিন রিমান্ডে আনে।

থানায় রিমান্ডে আনার পর যত হুমকি

যাত্রাবাড়ি থানায় আনার পর ১৭/১২/২০২৩ই ং তারিখ আনুমানিক রাত ১২টা ৩০ ঘটিকার সময় থানার ওসি ফরমানউল্লাহ বিশ^াস থানা লকাপে এসে আমার সাথে কথা বলে তাদের দাবীকৃত টাকা চান এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি রাজনৈতিক কোন দল করি। তখন আমি ও আমার সপরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দল করি ভোটার হতেই নৌকা প্রতীকে ভোট দেই। আর আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তখন ওসি ফরমান আলী বলে ওসি তদন্ত তোর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাইছে এটাকি তোর কাছে বেশি হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজনে কিস্তি করে নাও মাসে মাসে দিয়ে দিও। নয়ত মামলা খেতে খেতে জীবনটা শেষ হয়ে যাবে। বাড়িঘর আর মানবাধিকার গিরি আর সাংবাদিকতা কিছুই থাকবে না।

এখনও সময় আছে সিদ্ধান্ত নাও। এই বলে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে বলে দেশের নারী পাচারকারী সাজ্জাদ, পাপনদের সহ ওসি মাজহারের বিরুদ্ধে ও আমার বিরুদ্ধে যত ধরনের অভিযোগ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় রয়েছে তাহা যেন তুলে নেই। আর ৮২/এ, চতুর্থ তলা, নিউ পপুলার ও সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলার নিউ বলাকা নারী ব্যবসায়ী পতিতালয় এর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যদি কোন অভিযোগ দেই আর তার কারণে যদি যাত্রাবাড়ি এলাকার হোটেলের নারী পাচার ব্যবসা বন্ধ হয় তাহলে মাসে ৩০ লক্ষ টাকা একেক হোটেলের অবৈধ ইনকাম এই ক্ষতিপূরণ আমার গুনতে হবে নয়ত সারাজীবন জেলে জেলে কাটাতে হবে। আর কোন ফাঁক ফোকরে বের হয়ে এলে হত্যার পর লাশ গুম করে ফালানো হবে। বাংলাদেশের কোন থানায় মামলাও হবে না। যদি হয় তাহলে অপমৃত্যু মামলা হবে তুই ন্যায়বিচার টুকুও পাবি না। কেননা আমি ডিএমপির ওসিদের এসোসিয়েশনের সভাপতি আর মাজহারুল ইসলাম সেক্রেটারি। আমাদের কথা আইজিপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সহ অনেক বড় বড় নেতারা শুনে ও আমাদের চিনে। তাছাড়া আমি প্রধানমন্ত্রীর এলাকার আত্মীয় স্বজন আমরা গোপালগঞ্জের উঁচু শ্রেণীর বিশ^াস বংশের লোক।

টর্চারের ভয় দেখিয়ে নগদ এবং কিস্তিতে ঘুষ, চাঁদা দাবি পুলিশের

নানা ধরনের হুমকি দিয়ে তিনি যাওয়ার পর আসে এসআই রফিক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সে এসে বলে, তাকে ওসি তদন্ত ও অপারেশন পাঠাইছে আপনাকে বলতে ২ দিন রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আমি ১ দিন রেখে আপনাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি আমাকেও ওসি স্যারদের কিছু বকশিশ দেন নয়ত রাতেই থানার তৃতীয় তলার চর্চার সেলে নিয়ে আপনার মানবাধিকারগিরি শিখিয়ে দেওয়া

হবে। তখন আমি বলি ছিনতাইকারীদের কাছ হতে আমার উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের চেইনটি পুলিশদের নিয়ে যেতে বলি। আর ফ্যামিলির লোক দেখিয়ে দেই তাদের কাছে আমার মানিব্যাগ, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিতে বলি এবং ৩ কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকার চাঁদা দেওয়ার জন্য আমার এক আত্মীয়কে পুলিশকে পরিচয় করিয়ে দেই এবং পুলিশের ষড়যন্ত্র হতে বাঁচতে নিরুপায় হয়ে তাকে টাকা দিতে বলি। আমার ঐ আত্মীয় দুইবারে এসআই রফিককে কিস্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টাকা দেয়।

যে মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানো হলো

এক পর্যায়ে ১৯/১২/২০২৩ইং পুলিশের চাঁদাবাজির কিস্তির টাকা দিতে দেরি হওয়ায় যাত্রাবাড়ি থানার রাজনীতির বিভিন্ন পুরনো মামলাগুলোতে আমাকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে আমি আওয়ামীলীগ দল করা স্বত্তে¡ও বিএনপি দলীয় জামাত শিবির সহ নারী পাচারকারীদের সন্তুষ্ট করতে আমাকে একের পর এক মোট ৪টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ফরওয়ার্ডিং পাঠায় প্রত্যেকটি মামলার ফরওয়াডিং এ পূর্ব মাজহার এর দেওয়া প্রমাণিত না হওয়া মামলাগুলো ও উক্ত ফরওয়ার্ডি এ গেয়ে দেয় উক্ত মামলাগুলোতে আমি অভিযুক্ত দেখানো হয় যাহা মিথ্যা তথ্য আদালতকে পাঠায় এবং মামলায় আমার একাধিক নাম ও পিতার নাম উল্লেখ করে যাতে করে আদালতে জামিন চাওয়া হলে বিচারক আমাকে ক্রিমিনাল মনে করে সহজে জামিন না দেয় যে যড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছেঃ (১) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-২৩, তারিখঃ ০৭/১২/২০২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনরে ১৫(৩) ২৫/ডি, তদন্ত কর্মকর্তা হীরামন বিশ^াস, বিপি নং-৯২২০২২৭১৯৮, (২) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৫৭, তারিখঃ ১৭/১২/২০২৩ইং, ধারা আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ দ্রæত বিচার ২০০২ এর ধারা ৪/৫ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বিপি নং-৯৬৯৬০২২৫৩০ (৩) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৮৮, তারিখঃ ২৩/১০/২০২৩ইং, ধারা ১৪৩,১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩০৭,৩ ২৫,৩৭৯, ৪২৭, ১০৯ প্যানাল কোর্ট ১৮৬০, বাদী গিয়াসউদ্দিন, পরিচয়পত্র নং-৮২৪২৬৮৫৬৬৪, জন্ম তারিখঃ ০১/১০/১৯৬১ইং, তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ এসআই বিপি নং-৮৯১৮২২৫১৩৪, (৪) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৩৯, তারিখঃ ১৪/১১/২০২৩ইং, ধারা ১৫ (৩), ২৫/ডি, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা বদরুল হাসান, বিপি নং-৮৩০২০০৫৬১৬, আর পুলিশের চাঁদাবাজি কিস্তির টাকা দিয়ে দিলে মামলা পাঠানো বন্ধ হবে এ বলে, ১৯/১২/২০২৩ইং তারিখে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে এসআইকে ২ কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দিলে ৪টি মামলার পরে আর কোন মামলা পাঠায়নি। এক পর্যায়ে ১৩/০২/২০২৪ইং তারিখ আমি মামলাগুলোতে জামিনে মুক্ত হয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ওসি ফরমান আলী ও মাজহারুল ইসলাম তারা আমাকে মামলা দিয়ে নারী পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের খুশি করায় উক্ত পাচারকারী নারী ব্যবসায়ীরা ২ ওসিকে খুশিতে এক সাথে ওমরা হজ্জে সৌদি আরব পাঠিয়েছে।

 

মানব পাচারকারীদের মুখে ২ ওসির প্রশংসা ও আমাকে হুমকি

এমতাবস্থায় গত ২৫/০২/২০২৪ইং তারিখ সকাল ৯ ঘটিকায় রায়শা বাজার এক মামলার হাজিরা সূত্রে কোর্ট কাচারী এলাকায় সাজ্জাদ ও সাইদুলগংদের সাথে আমার দেখা হলে কথা বলার এক পর্যায়ে সাজ্জাদ, পিতাঃ জাহাঙ্গীর তারা হুমকির সুরে বলে ওসি মাজহারুল ইসলাম ও ফরমান আলী তারা এসআই থাকাকালে নারী ব্যবসায়ী নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলেই থাকত। সেই হতে স্যারদের চিনি। তাছাড়া আমাদের হোটেলগুলো নিরাপদে রাখতে স্যারদের ২০% লভ্যাংশের টাকা দেই। মাজাহার ও ফরমান আলী স্যার আমাদের কথা না শুনে কি আপনার কথা শুনবে তাছাড়া স্যারদের মনোরঞ্জনের জন্য পার্সোনাল ফুর্তি করতে সুন্দরী মেয়ে লাগে। তাই স্যারেরা সম্মান রক্ষার্থে অন্য কোথাও যায় না। আমরা স্যারদের দেখে রাখি বিনিময়ে স্যাররা আমাদের খেয়াল রাখে। আপনি আলমগীর সেলিম আমাদের নারী ঘটিত ব্যবসা নিয়ে বাড়াবাড়ি কইরেন না তাহলে মান সম্মান আর জীবন দুটোই হারাবেন। ফরমান ও মাজহার স্যারদের অনেক ক্ষমতা তারা ডিএমপি ওসিদের নেতা। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন তাহলে বাংলাদেশের যে কোন থানার যে কোন ওসিকে ফোন করে দিবে আপনার নামে একের পর এক মামলা হবে।

ওসি ফরমান আলীর চাঁদাবাজির কৌশল

সাজ্জাদ ও সাইদুলগণদের সাথে আসা কয়েকজন নারী ব্যবসায়ী কথা বলার ছলে তথ্য দেয় যে, ওসি ফরমান আলীর বডিগার্ড মাহফুজ একজন পুলিশ সদস্য। তার কাছে থাকা মোবাইল নম্বর-০১৯৬৬-৮৯৬০৯৮ উক্ত সিম দিয়ে বডিগার্ড মাহফুজকে দিয়ে ফরমান আলী যখন যে থানায় পোস্টিং হয় যেমন মতিঝিল, গুলশান, যাত্রাবাড়ি থানা সহ ডিএমপির বিভিন্ন নারী পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোর সিন্ডিকেট, জুয়ারস্পট সহ নানাবিধ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ হতে উক্ত নাম্বার সহ প্রায় আরো ৪টি মোবাইল সিম রয়েছে যেগুলো দিয়ে অন্য মানুষের নামে নিবন্ধিত। উক্ত সিম গুলো দিয়ে ফরমান আলী মাহফুজকে দিয়ে কথা বলিয়ে ঘুষ, চাঁদার এককালীন, সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক টাকা উত্তোলন করে। মাহফুজের উক্ত সিম ইন্টারনেটে একটি কৌশল করিয়ে রেখেছে এনড্রয়েড সেটের টু কলারে তার ০১৯৬৬-৮৯৬০৯৮ নাম্বারে সার্চ দিলে বা যে কেউ এনড্রয়েড মোবাইল সেট হতে মাহফুজকে কল দিলে উক্ত ব্যক্তির সেটে ভেসে উঠে লেখা মাহফুজ ভাই গুলশান থানার ওসি। যাহা ফরমান আলী কৌশল করে এবং কারসাজি করে রেখেছে যাতে চাঁদার টাকা অপরাধীদের কাছ হতে পেতে দেরী না হয় সময় মতো চাহিদা মোতাবেক পেয়ে যায়। ওসি ফরমান আলী যখন যেখানে যায় ঐ বডিগার্ড মাহফুজকে বদলি করিয়ে সেখানে নিয়ে যায়। এমন বডিগার্ড মাজহারুল ইসলাম কাজলেও বডিগার্ড, গাড়ির ড্রাইভার, একাধিক পিয়ন রয়েছে। যাদেরকে দিয়ে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ হতে টাকা পয়সা তুলে এবং তাদের একাধিক সিম ও রয়েছে। উক্ত মাহফুজের সিমের কল লিস্ট দ্রæত বের করে আনলে সত্যতা পাওয়া যাবে। উক্ত দুই ওসির ইনকামের অর্থ তারা গোপনে আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন কায়দায় অবৈধ ইনকামের শত শত কোটি টাকা নামে বেনামে রেখেছে। ডিএমপি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি ফ্ল্যাট বাড়ি নামে বেনামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাহা অতি গোপনে নিরপেক্ষ সঠিক তদন্ত করে জনসম্মুখে এনে সরকারি কোষাকারে অবৈধ অর্থগুলো দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরী প্রয়োজন।

সততা উদঘাটনে পুংখানুপুংখ তদন্তের সুপারিশ

মামলাগুলোতে আসল ঘটনা গোপন করে আমাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ফাসানো হয়েছে তার আসল সত্যতা পাওয়া যাবে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতারের সময় ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ভয়েজ কল রেকর্ড, এবং যাত্রাবাড়ি থানার সিসি ফুটেজ, কোর্ট লকাপের সিসি ফুটেজ থানা হতে মামলার ফরওয়ার্ডিং এর পাঠানোর সময় গড়মিল, মামলার ঘটনার সময়ের মামলা রেকর্ড করা, সাবেক যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মফিজুল ইসলাম ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা চার মামলার পৃথক এসআই ও তাদের সঙ্গী ও ফোর্সগনদের জবানবন্দি মামলাগুলোতে দেখানো ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম কিনা? তা আমার ব্যবহৃত মোবাইল সিম ০১৮৬৫-৮১০১৫৪, ০১৯৭৭-৯৯৩৯৯৩ সিম কললিস্ট যাচাই পূর্বক তদন্ত করা ও ঘটনা স্থলের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সিসি ফুটেজ যাচাই পূর্বক ও আমি উক্ত মামলাগুলোর আসামীদের সাথে কোন দিন চলাফেরা বা তাদের সাথে আমার চেনা জানা ফোনে বা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে কথা বার্তা দেখা শোনা আছে কিনা? এবং আমি বা আমার পরিবার কোন দিন আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল ছাড়া অন্য কোন দল বিএনপি করেছি কিনা? তা খতিয়ে দেখা ও দ্রæত বিচার মামলায় উদ্ধার দেখানো ছুড়া (চাকু)র গায়ে আমার হাতের ছাপ কিনা সিআইডির ল্যাবে যাচাই পূর্বক চাকুর আসল মালিক বের করে ঐ মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

প্রকাশ থাকে যে

আমাকে হত্যা, গুম বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ যে কোন ক্ষতি সাধনের জন্য ভবিষ্যতে দায়ী থাকবে ১। নারী ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধীদের গোপন সহায়তাকারী ওসি মাজহার ২। ওসি ফরমান আলী ৩। নারী ব্যবসায়ী জাভেল হোসেন পাপন ৪। জাবেদ হোসেন মিঠু ৫। সাজ্জাদ ৬। জামাল ৭। সরকার জামাল ৮। কবির খান ৯। মিরাজ ১০। শাকিল ১১। সাইদুল ১২। পলাশ ১৩। সবুজ ১৪। অত্র অভিযোগে উল্লেখিত মোবাইল সিম নাম্বার দেওয়া ব্যক্তিদ্বয় সহ পূর্বের পত্রের উল্লেখিত অভিযোগে ব্যক্তিদ্বয় কেননা অবৈধ ঘুষ, চাঁদার টাকা কামানোর লালসায় নানাবিধ অপরাধীদের গোপনে সহযোগিতা করে আসায় আর আমি নানাবিধ অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর লিখিত আবেদন অভিযোগ পত্র বিভিন্ন সময়ে সরকারী দপ্তরে দিয়ে থাকি বিধায় দুই ওসি মাজহার ও ফরমান আমার উপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ওসি মাজহার ও ফরমান আলী উক্ত নারী ঘটিত ব্যবসায়ী পাপন ও মিঠুগংদের সহ দেশের আনাচে কানাচে দুই ওসির রয়েছে অপরাধ জগতের নানা ধরনের অস্ত্রধারী কিলার ও ছোট বড় শত শত নারী পুরুষ মানব পাচারকারী ও সন্ত্রাসী মাস্তান দাগী দোষী অপরাধী। আমি জেল হতে বের হয়ে আসার পর হতে উক্ত পত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় সহ সাজ্জাদ, মিঠু ও পাপনগংরা মাজহার ও ফরমান আলীর গোপন নির্দেশ ও সহায়তায় আমাকে হত্যা বা গুম করা সহ নানামুখী মিথ্যা মামলার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিধায় আমার যে কোন ক্ষতি সাধন হলে দায়ী থাকবে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় পাপন, মিঠু, সাজ্জাদগং গোপনে ও প্রকাশে আমার নানাবিধ ক্ষতি সাধন করবে প্রায় সময়ই এমন হুমকি ও দিয়ে আসছে বিধায়ই তারা দায়ী থাকবে ।

দুই ওসি ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ীরা আমাকে যে কারনে হত্যা করতে চায়

আমাকে মামলা, হামলা ও হত্যা সহ নানা ষড়যন্ত্রের কারণ হচ্ছে তারা এক সময় আর্থিক অস্বচ্ছল ছিল। পুলিশে চাকুরী নেওয়ার পর হতে ধীরে ধীরে ওসি মাজহার নানাবিধ অপরাধীদের অতি গোপনে সংগঠিত করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এক পর্যায়ে নারীদের মানবাধিকার রক্ষায় নারায়ণগঞ্জ টানবাজার ও ঢাকা ইংলিশ রোড কান্দুপট্টি পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়। ঐ সময় ডিএমপির কিছু নারী ব্যবসায়ী দালাল কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুর রোডে আবাসিক হোটেল ছোট মাসনবী ও বড় মাসনবী এবং ছোট কেরাউন বড় কেরাউন ঐ সময় পতিতালয়গুলো বন্ধ হলে সুবিধা বঞ্চিত কিছু পতিতালয়ের দালাল উক্ত হোটেলগুলোতে আস্তানা করে কৌশলে গোপনে সর্বাত্ম ম্যানেজ করে হোটেলের অন্তরালে মিনি পতিতালয় চালু করে দালালদের মধ্যে উক্ত পাপন, মিঠু, সাইদুল, জামাল, সোহেল, সাজ্জাদের পিতা, জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে হোটেলে খদ্দের ও নারী সংগ্রহকারী স্টাফ হিসাবে চাকুরী করত। ঐ সময় ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর ছাত্র জীবন ছিল। ঐ হোটেলে ছিল মাজহার ও ফরমান এর মাঝে মধ্যেই যাতায়াত। সেই পরিচয় সূত্রে, এক সময় পুলিশে চাকুরী পাওয়ার পর উক্ত সাজ্জাদ ও জামালগংদের সাথে গোপনে গভীর সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের দিয়ে দেশ বিদেশে নারী ব্যবসা ও মানব পাচার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। আর আমি বহু আগে হতেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থায় নারী পাচার বিরুদ্ধি কার্যক্রম করে আসছিলাম। তাই আমাকে ওরা বারবার হত্যার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একশ্রেণী নারী ব্যবসায়ী মানব পাচারকারী গড ফাদার পাপন, মিঠু ৫ হতে ৬শত নারী পুরুষ দালাল নিয়ন্ত্রন করে ডিএমপির যাত্রাবাড়ির ডেমরা, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলশান, এয়ারপোর্ট সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় ঐ সকল নারী ব্যবসায়ীদের দিয়ে বিভিন্ন ভবন দালান, ভাড়া করিয়ে সেখানে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করিয়ে তিন ক্যাটাগরিতে মেয়ে মানুষ দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য হোটেলের অর্ন্তরালে পতিতালয় স্থাপন করিয়া সরকারি অনুমতি ছাড়া অবৈধ অর্থ কামনোর লালসায় মেতে উঠে। সারাদেশে অধিকাংশ আবাসিক হোটেল পতিতালয়ে পরিনত হয়ে উঠেছে। যে সকল হোটেলে নারীদের জবর দস্তিভাবে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন পূর্বক মেয়েদের পতিতা বানানো হয় ও দেশ বিদেশের পতিতালয়গুলোতে বিক্রি করে দেওয়া হয় ঐ সকল অপরাধ কর্ম স্থান ও ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ মূলক দেশ ও জনস্বার্থে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে লিখিত আবেদন করে আসছি। মাঝে মধ্যে নাকি তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঊর্ধ্বতন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চাপের মুখে পরে নানাবিধ ক্ষতি সাধন হয় তাই আমাকে তারা এবার হত্যার পরিকল্পনা করছে। ওসি মাজহার ও ফরমান আলী সহ নারী পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের ধারনা আমাকে হত্যা করা হলে বা অবৈধ দ্রব্যাদী বা মিথ্যা সাজানো নাটকীয় মামলা দিয়ে সারা জীবন জেলে রাখতে পারলে তাদের নারী ঘটিত, মাদকসহ অবৈধ নানাবিধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে না। মহোদয় আমি বারবার আপনাদের বরাবর পত্রে আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আসছি। কিন্তু নিরাপত্তা পাচ্ছি না। যার কারণ হচ্ছে অপরাধীদের অপরাধকর্ম স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা জানার পরেও সরেজমিনে উক্ত অপরাধকর্মগুলো চিরতরে বন্ধ হোক এমন ভূমিকা দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পালন করতে চান না। অপ ক্ষমতাবান, অসাধু পুলিশ সদস্য ও নেতাদের চাপের মুখে পরে ।

যাত্রাবাড়ির ওসি সহ অসাধু পুলিশ সদস্যরা যেভাবে নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করেন।

গত ২২/০৩/২০২৪ইং তারিখ রোকেয়া নামে এক মহিলা কয়েকজন মহিলার সাথে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বলতেছে আল্লায় আমাকে অল্পতে বাঁচাইছে। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে রোকেয়া বলে যাত্রাবাড়ি ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উক্ত ভবন হতে রুমা একজন মেয়ে বয়স আনুমানিক ১৪ বছর দৌড়ে রাস্তায় এসে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। এমন সময় কয়েকজন যুবক এসে টানা হেঁচড়া করে মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বাঁচানোর চেষ্টা করি তখন মেয়েটি জানায় তাকে ক্লিনিকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৮২/এ, ভবনের চতুর্থ তলায় নিউ পপুলার নামক আবাসিক হোটেলে আটকিয়ে কয়েকজন যুবক মিলে জোড় করে গণধর্ষণ করছিল। তাই মেয়েটি নিজের জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালাচ্ছিল। এক পর্যায় ২০-২২ জন যুবক এসে উক্ত মহিলাকে ও হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেঁচড়া করে তখন উক্ত মহিলা নিজেই কোন মতো ঐ যুবকদের হাত থেকে বেঁচে ফিরে এমন সময় অনেক পথচারিরা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল। উক্ত মহিলার কথা শুনার পর আমি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাই। ঐ মুহুর্তে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার-(০১৬৮১-০১৫৪) হতে আনুমানিক সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ৯৯৯ কল করি। কল করে ৯৯৯ কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার অজ্ঞাত নামা ডিউটি অফিসারকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানাই। ডিউটি অফিসার ঘটনা স্থলে কোন পুলিশ পাঠায় নাই। এরপর (দ্বিতীয় বার) পুনরায় ১১ টা ৩০ মিনিট এর সময় আবার একই নাম্বার হতে কল করি। এবারও ৯৯৯ কনফারেন্স এর মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসারকে একই ঘটনার কথা জানাই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুলিশ না আসায় আবার (তৃতীয় বার) এর মতো ৩টা ২২ মিনিট এর সময় একই নাম্বার হতে ৯৯৯ কে সকল ঘটনার বিষয় জানাই। ৯৯৯ এর অজ্ঞাত নামা অপারেটর তৃতীয় বারের মতো যাত্রাবাড়ি থানা ঐ সময়কার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসারকে এবারও কনফারেন্সের মাধ্যমে জানাই উক্ত ডিউটি অফিসার এবারও ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ পাঠায়নি এবং উক্ত মেয়েটিকে উদ্ধারে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় নাই। এরপর আমার একই নাম্বার ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে যাত্রবাড়ি থানার ওসি তদন্ত জাকির এর মোবাইল নং-০১৭১২-৮৫৬৫৬১, এ তদন্ত সাহেবকে ফোন করে ঘটনার বিষয় জানাই। তাতেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় ঘটনা স্থলে কোন পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত না করায় চতুর্থ বারের মতো ৩টা ২৬ মিনিটে আবার ৯৯৯ ফোন দেই। এবার ৯৯৯ লাইন কেটে দিয়ে উনি ব্যাক করে কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ কে ঘটনার বিষয়টি জানাই। নিউ পপুলার হোটেলের নাম শুনতেই তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে তিনি আমার উপর কনফারেন্স ফোনে ক্ষেপে যান কিন্তু অদ্য পর্যন্ত তিনি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে জিম্মি থাকা আটক মেয়েদের উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেন নাই। ওসি আমার সাথে ফোনে অপেশাদারিত্ব আচরণ করেন। ঘটনা শোনার পর ফোনে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। কোন আইনানুগ ব্যবস্থা অদ্য পর্যন্ত নেন নাই। এক পর্যায়ে আমি বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উক্ত নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল অর্ন্তরাল পতিতালয়ে ঐ দিন বিভিন্ন পাচারকারী দালালের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হতে ৬০ জন মেয়েকে দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে নানা প্রলোভন কৌশলে এনে হোটেলের বিভিন্ন রুমে আটক করে রেখে নানা ধরনের নির্যাতন পূর্বক পতিতা বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। যাহা যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম ফরমান আলী পূর্ব হতেই হয়ত জানত। তাই ৯৯৯ এর মাধ্যমে একাধিক বার নির্যাতিত ঘটনা জানানোর পরও জিম্মি থাকা আটক মেয়েদের উদ্ধারে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। উক্ত নিউ পপুলার হোটেলের পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজায় একই ভাড়াটিয়া মালিকের সাজ্জাদ, জামাল, সাইদুল, পাপন, মিঠুগংদের আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার নাম নিউ বলাকা (সাবেক প্রভাতী)। উক্ত হোটেল দুটিতে যে সকল মেয়েরা ১। কণা ২। আয়শা ৩। লামিয়া ৪। সোয়া ৫। রেশমা ৬। সাথী ৭। ঝর্ণা ৮। রিয়া ৯। বর্না ১০। রুপা ১১। শিলা ১২। রিনা ১৩। পারভীন ১৪। বিজলী ১৫। নাসরিন ১৬। পুতুল ১৭। রোমানা ১৮। নিশু ১৯। লাকী ২০। নুসরাত ২১। রেখা ২২। শিউলী ২৩। রিপা ২৪। শান্তা ২৫। মলিনা ২৬। পলি ২৭। ডালিয়া ২৮। স্মৃতি ২৯। মায়া ৩০। পপি ৩১। সুইটি ৩২। হ্যাপী ৩৩। কাজলী ৩৪। কাকলী ৩৫। আমেনা সহ আরো ১৫-২০ জন সেখানে বিভিন্ন সময় আটক জিম্মি থাকা কোন মেয়ে যদি প্রতিবাদ করে বা দালালদের আইনি জটিলতার আশংঙ্কা থাকে তাহলে হোটেল মালিকপক্ষ পাচারকারীরা তাদের সমন্বয়ক স্থানীয় থানার অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের পছন্দমতো দুই একজন মেয়ে তার সাথে কিছু

পাচারকারীদের জিম্মি দশায় নিউ পপুলারে বর্তমানে আটক রয়েছে

খদ্দের মিলিয়ে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে ডিএমপি এ্যাক্ট এর ৭৪ ধারায় গ্রেফতার করে ১০০ ধারা মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করে হোল্ডিং মালিক বা ভবন ভাড়াটিয়া মালিকগংদের বিরুদ্ধে মানব পাচার বা অন্য কোন আইনে মামলা দেওয়া হয় না। উক্ত স্থানে পুনরায় একই কায়দায় পতিতালয় স্থাপন করিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা করে থাকে। স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ এর নারী ঘটিত ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন সুসম্পর্ক থাকায় এ ধরনের অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। আটক মেয়েদের যে কোন সময় দেশ ও বিদেশের অসামাজিক কার্যকলাপ চলা বিভিন্ন পতিতালয়, আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায়, অসামাজিক কাজের জন্য পাচার করা হতে পারে। সেখানে কোন মেয়ে যদি দালালদের কথা না মেনে বা না শোনে তাহলে তাদের টর্চার সেলে নির্যাতনের ফলে কোন না কোন মেয়ের জীবনে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

সুপারিশমালাঃ

(১) মিথ্যা মামলা প্রদানকারী, গ্রহণকারীও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বর্তমান এবং পূর্বে যাত্রাবাড়ি থানায় ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর দেওয়া মিথ্যা সাজানো মামলা গুলো প্রত্যাহার পূর্বক আমার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। (২) যাত্রাবাড়ী ও ডিএমপি সহ দেশব্যাপী নারী পাচারকারী জাভেল হোসেন (পাপন), আবু কালাম (জয়)গংদের সহ দেশ ব্যাপী সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে তাদের সকল আইন বর্হিভুত নারী গঠিত পতিতা, মাদক, জুয়া ব্যবসার মতো অপকর্ম বন্ধ করা সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও গণমাধ্যমে প্রচার করা । (৩) মিথ্যা মামলা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে খোঁজ খবর নেওয়া ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাদের কর্ম দেশদ্রোহী অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা ও জাভেল হোসেন পাপন (৪২), জাবেদ হোসেন মিঠু (৪৬), উভয় পিতাঃ মৃত আতাহার হোসেন, তাদের ঢাকা জেলা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন নাজিরাবাগ মাঠের কোণায় ৭ তলা ভবন ও ওয়াইজ ঘাট সাউথ সিটি মার্কেট এর নীচ তলায় দোকান সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই ভাইয়ের ফ্ল্যাট জমিজমা নামী দামী প্রাইভেট কার জিপ অবৈধ ইনকামে কিনা তারা টোকাই হতে বর্তমানে অর্ধ শতকোটি টাকার মালিক। উক্ত পাপন, মিঠু, সাজ্জাদ, সাইদুল, জামাল, মাজহার, ফরমান আলী গং এর অবৈধ ইনকামের অর্থ সরকারের কোষাগারে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৪) ক্ষমতার অপব্যবহার কারী অপরাধীদের সহায়তা কারী যাত্রাবাড়ী থানার বর্তমান বি, এম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ ও সাবেক মাজহারুল ইসলাম (কাজল) বিপি নং-৭৬০২০৩৪৫০৭ অফিসার ইনচার্জ গংদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৫) যাত্রাবাড়ি থানার মামলার মিথ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে অসত্য সাজানো বক্তব্য দিয়ে একজনের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ও আদালতে সাজানো মামলায় মিথ্যা তথ্য প্রেরণ পূর্বক সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ব্যক্তিবর্গের মুখোশ উন্মোচন করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা (৬) সংস্থার কর্মীগণ অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক তাহা নির্মুলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাবরে যে আবেদন করা হয়ে থাকে উহার ঘটনাস্থল সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৭) নারী, মাদক, চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসায়ী জাভেল হোসেন (পাপন), জয়, সাজ্জাদ, সাইদুল, জামাল, জাবেদ হোসেন মিঠু, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, জুয়েল রানা, সবুজ ওরফে মুন্না পলাশগং সহ নানাবিধ অপরাধীদের গোপন সহায়তাকারী ডিএমপির ওয়ারী ডিভিশনের যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বি.এম ফরমান আলী, ও বর্তমান গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল) ও যাত্রাবাড়ি থানার ইনেসপেক্টর (অপারেশন) ও ইনেসপেক্টর তদন্ত এর অবৈধ সম্পদ ও অর্থের অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৮) দেশ ব্যাপী যে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নানাবিধ অপরাধ টিকিয়ে রাখতে অপরাধ তথ্য অনুসন্ধানকারী মানবাধিকার কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ উক্ত মামলায় সাজানো স্বাক্ষী ও মিথ্যা চার্জশীট দিয়ে যেসকল নানাবিধ হয়রানি করছে। সে সকল অসাধু স্বার্থনিবেসী র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবির অসাধু সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। (৯) হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংস্থার জনস্বার্থে অপরাধ অনুসন্ধান কার্যক্রমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ সহায়তা করা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দপ্তরে প্রেরিত আবেদনের তথ্যের বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত পূর্বক দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। (১০) জনস্বার্থে প্রেরিত আবেদন পত্রের উল্লেখিত ঘটনার বিষয়াদি সরজমিনে সত্যতা যাচাই পূর্বক অপরাধ কর্ম নির্মুল করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (১১) হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংগঠনসহ সকল মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা বিধানসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা করা।

পরবর্তী পদক্ষেপঃ

(ক) যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার নিউ পপুলার, নিউ বলাকা (প্রভাতী), নিউ মেঘনা, আয়শা মনি, শাহীন, আল হায়াত, ফ্যাসিন, রোজ ভিউ, নাহিদ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেলের অন্তরালে অবৈধ মিনি পতিতালয় ও পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর, রাজবাড়ী দৌলদিয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন পতিতালয়ে নারীদের সরকারি আইন বর্হিভূত জিম্মি দশায় বাধ্য করে পাচারকারীদের বন্দিশালায় আটক হওয়া মেয়েদের উদ্বার ও পাচারকারীদের মুখোশ উন্মোচনের যাবতীয় ব্যবস্থা করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দারস্থ হওয়া এবং তাহা নারী ব্যবসায়ী ও পাঁচারকারী দালালদের সমাজে চিহ্নিত করে জনসচেতনা গড়ে তোলতে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা ।

(খ) যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নারী ব্যবসায়ী পতিতালয় হোটেল ও ফ্ল্যাট বাসা হতে জাভেল হোসেন পাপন, জামাল, সাজ্জাদ, সাইদুল, জাবেদ হোসেন মিঠু, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, শাকিল গংরা যে সকল মেয়েদের দেশ বিদেশের পতিতালয়ে বা বিভিন্ন কায়দায় দেহ ব্যবসার জন্য পাচার করছে খোঁজ খবর নিয়ে সে সকল নারীদের তালিকা তৈরি করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রনালয়ে পেশ করা বা তাদের উদ্ধারে দেশ ও জনস্বার্থে আদালতের দারস্থ হওযা। (গ) অপরাধীদের সহায়তা করে যে সকল র‍্যাব, পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স এবং দেশদ্রোহী মাদক কারবারী, চাঁদাবাজ, জুয়া ব্যবসায়ী, ভুয়া র‍্যাব, ডিবি ও ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি, মালিক হয়েছে তাহার তথ্য উৎঘাটন করে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের লিখিত ভাবে তালিকা তৈরি পূর্বক অবগত করা। (ঘ) স্থানীয় অসাধু, যে সকল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা নানাবিধ অপরাধ কর্মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে যে ভাবে অপরাধীদের সহায়তা করে দেশের সৎ, দায়িত্বশীল, কর্মকর্তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করছে ঐ সকল তথ্য উপাত্ত উৎঘাটন পূর্বক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন মহল ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে অনুসন্ধান পত্র প্রেরণ করা, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা ।(ঙ) অপরাধীদের গপ্পরে পরে সমাজে যাহারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, তাদের পাশে দারস্থ হয়ে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার মাধ্যমে আইনী সহায়তা দেওয়া ।(চ) দায়েরকৃত মিথ্যা নাটকীয় মামলার এজাহার হতে আমার নাম কর্তন পূর্বক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত বর্তমান ও পূর্বের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের দারস্থ হওয়া।

মোঃ আলমগীর (সেলিম) উল্লেখিত বিষয়ে প্রেরিত আবেদনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানান পুংখানোপুংখ ভাবে তদন্ত পূর্বক আমার জীবনের নিরাপত্তা বিধান সহ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা হতে আমার নাম প্রত্যাহার করা সহ উল্লেখিত পূর্বে দেওয়া অভিযোগগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে নিউ পপুলার ও বলাকা, মেঘনা, আল জাকির, নাহিদ, শাহিনসহ দেশের অন্যান্য আবাসিক হোটেল নামক পতিতালয়, ফ্ল্যাট বাসায় আটক ও পাচার হওয়া নারীদের উদ্ধার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

পবিত্র মাহে রমজানেও থেমে নেই হোটেলের অর্ন্তরালে অসামাজিক কার্যক্রম

খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে।

নারী পাচারকারী, গডফাদার ও তাদের সহায়তাকারী অসাধু পুলিশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় পুনরায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সু-পরিকল্পিত ভাবে মানবাধিকার কর্মীকে ক্রিমিনাল সাজাতে ও আওয়ামীলীগ কর্মীকে বিএনপির লোক বানিয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় ভোক্তভোগী মোঃ আলমগীর

(সেলিম) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

 

 

কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়টুকু লেখালেখি করি এবং দেশ ও জনস্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করি। সময় সময় সরকারের মহুতি উদ্যোগ গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য অনুসন্ধান করে তাহা নির্মূলের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন ও অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে থাকি এবং গণ মাধ্যমকেও দেশের উন্নতির লক্ষ্যের স্বার্থে নানাবিধ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছি। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত দেশের মাদক, ক্যাসিনো (জুয়া), ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী কয়েকটি চক্র বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অতি উৎসাহিত ব্যক্তিদের গোপন সহায়তায় নানাবিধ অপরাধীদের ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর গোপন সম্পর্ককৃত লালিত পালিত অসাধু পুলিশ সদস্য আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রসহ নানা ধরণের মিথ্যা মামলা, হামলা করে আসছে।

 

এতে অসাধু কিছু পুলিশ সদস্য, র‍্যাব সদস্য, ডিবি সদস্য, দীর্ঘদিন ধরে একই জোনে ডি.এম.পি-তে চাকরি করায় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে অপরাধীদের সুসম্পর্ক থাকায় তাদের সহায়তা নিয়ে নানাবিধ অপরাধ কর্ম করে ও আমাকে হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এবং অপরাধীরা তাদের অপরাধ করে সৎ দায়িত্বশীল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হাতে বিভিন্ন সময় ধরা পরে এবং তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলাও হয়েছে যাহার বাদী র‍্যাব ও পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন ভুক্তভোগী। দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাবরে সংস্থার জনস্বার্থে দায়েরকৃত নানাবিধ অভিযোগগুলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে গিয়ে বাস্তবমুখী কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারবার অভিযোগগুলো তুলে নিতে বা ধামাচাপা দিতে বারবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য গোপনে মানব পাঁচারকারী নারী ঘটিত ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারী সহ নানাবিধ অপরাধীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার কর্মীদের উপর বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র হয়রানির অপচেষ্টা ও মিথ্যা মামলা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

মহোদয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এদেশে জন্মে ছিল বলেই তার স্বাধীনতার ডাকে তাকে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তি হয়েছে পরাধীনতার আর দেশোদ্রোহীরা মনে করেছিল পিতার বুকের রক্ত ঝরিয়ে তাকে নিঃশেষ করে দিলে এদেশ আবার পাকিস্তান হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু চির নিদ্রায় গেলেও দেশের উন্নয়নের হাল ধরেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশোদ্রোহীরা নানা কৌশলে দেশ ও সমাজকে অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে দিতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে রয়েছে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা এদের জন্য সৎ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণদের কর্ম এলাকায় সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। অসাধুরা মানুষকে সেবা দেন। অর্থ যে দিকে সেবা বেশি দেন সেদিকে। নিজেরা রাতারাতি অবৈধ অর্থ উপার্জনের লালসায় সমাজের নানামুখি অপরাধীদের সাথে গোপনের সুসম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের আইন বর্হিভূত নানা কর্মকান্ড করার সুযোগ করে দিচ্ছে। যাহা সরকারের ব্যাপক সুনাম ক্ষতির আশংঙ্কায় রয়েছে। খবরের পাতায় মাঝে মধ্যেই শিরোনামে দেখা যায় নারী ধর্ষণ, পাঁচার,গুম, হত্যা, আটক রেখে পতিতা ব্যবসা ঐ সকল ঘটনার মাঝে মধ্যে কূল কিনারা মিল্লেও অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার রহস্যই থেকে যায়। উন্মোচন হয় না কোন কুল কিনারা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেক ক্ষেত্রে। তবে বেশিরভাগ জট বাঁধে হোটেলে রহস্য জনক মৃত্যু। আবার অনেক সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা ফন্দি ফিকিরের পর লোম হর্ষক নরপিচাশ সন্ত্রাসী খুনিরা নানা স্বার্থ হাসিলের জন্য নারী পুরুষ শিশুকে হত্যা করে নদী নালা ডোবায়, পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে সটকে পরে হত্যাকারীরা। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলে হত্যার রহস্যে জট বাঁধে ২০১০ইং ২৮শে রমজান মাসে নারী পাঁচারকারীদের খপ্পরে পরে গুলশান থানাধীন লর্ডস ইন আবাসিক হোটেলে সিমা নামে এক নারীকে পাঁচারকারীরা কৌশলে এনে আটক করে উপযপুরি দল বেঁধে গণ ধর্ষক করে। এর পর মেয়েটিকে সেখানে পতিতা বানানোর নানা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হোটেল দালালরা মেয়েটিকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশটিকে ও মিথ্যা স্বামী পরিচয় দিয়ে লাভলু নামে এক ব্যক্তি সিমার লাশটিকে নিয়ে গায়েব হয়ে যান। এর মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করেন যাহা তৎকালীন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার ও সাড়া মিলে। এক পর্যায়ে নারী পাঁচারকারী দালালরা সংগঠনের তৎপরতা দেখে ২ দিন পর গায়েব হওয়া সিমার লাশ স্বামী পরিচয় দানকারী লাভলুগংরা গুলশান থানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সংস্থার লোকজন লাশটিকে উদ্ধার করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া কবরস্থানে মেয়েটিকে মাটি দেওয়া হয়। আজও সিমার পরিবারের পরিচয় পাওয়া যায় নি।

 

২০১১ সালে এক গার্মেন্টস কর্মী সুমি-১৪ কে মালিবাগ মিরাজ আবাসিক হোটেলে এনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় নারী পাঁচারকারী দালালরা হোটেলের ভবন হতে ফেলে দিয়ে পাশের বাড়ির গেইটের উপরে থাকা ধাঁরালো ৪টি শুল সুমির বুকের ভিতর দিয়ে এ ফোর ও ফোর হয়ে মেয়েটি কাটা মুরগির মতো ছটফট করে রাস্তায় শত শত পথচারীদের চোখের সামনে ছটফট করে মারা যায়। এ নিয়ে তৎকালীন রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার সহ বেশ কিছু পাঁচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থা জনস্বার্থে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

এছাড়া ২০২৩ সালে যাত্রাবাড়ি থানা এলাকায় শাহিন আবাসিক হোটেলে এক নারী হত্যার শিকার হয়। এমন হত্যা দেশের আবাসিক হোটেল গুলোতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায় অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা ঢিলে ঢালা থাকায় সহজেই নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা রাজধীন সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মোটা অংকের সালামি দিয়ে ভবন ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করছে। স্থানীয় থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সহজেই ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় হোটেল গুলোকে নারী পাঁচারকারী গড ফাঁদাররা আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে

 

শত শত দালালদের মাধ্যমে প্রেম, বিয়ে, চাকুরী দেওয়া সহ নানা ফন্দি ফিকির করে দেশের আনাচে-কানাচ হতে মেয়েদের নানা ফাঁদে ফেলে গড ফাঁদারদের নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে এনে প্রথমে নিজেরা ধর্ষণ করে পরবর্তীতে অর্থ কামানোর লালসায় পতিতা ব্যবসায় নানা ফন্দিতে সংগ্রহ করা মেয়েদের নামানো হয়। যদি কেউ বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে না চায় তাহলে নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে টর্চার সেলের রুমগুলোতে আটক করে বিবস্ত্র করে রেখে রুমের বাহির হতে গেটে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। খদ্দের এলে তালা খুলে নানা শারীরিক নির্যাতন পূর্বক পুরুষদের সাথে মিলামেশা করানো হয় তবে বেশিরভাগ নির্যাতনের শিকার হয় ১১ হতে ১৫ বছরের শিশুরা। আবার কাউকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর যারা এক সময় পাঁচারকারী দালালদের বশে আসে তাদের দালালরা এক হোটেল হতে অন্য হোটেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে অর্থ কামানোর জন্য পাঠানো হয়। নাম গোপন রাখা শর্তে যাত্রাবাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন রাজধানী ওয়ারী বিভাগের প্রায় ৫ হতে ৬ শতাধিক নারী পাঁচারকারীরা গড়ে তোলেছে ফাইভ স্টার গ্রুপ। এদের নেতৃত¦ দিচ্ছেন গড ফাদার হিসেবে সদরঘাটের ত্রাশ জাভেল হোসেন পাপন (মোবাইলঃ ০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জামাল (মোবাইলঃ ০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (মোবাইলঃ ০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), বাট্টু সেলিম (মোবাইলঃ ০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), জাবেদ হোসেন মিঠু (মোবাইলঃ ০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), এদের মূল আস্তানা হিসেবে রয়েছে যাত্রাবাড়ি থানাধীন ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল তার উল্টো পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল। সায়েদাবাদে রয়েছে নাহিদ, যাত্রাবাড়িতে শাহিন আবাসিক হোটেল, মেঘনা আবাসিক হোটেল, বাবুবাজারে রয়েছে বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল, এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর, পটুয়াখালী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে এই সিন্ডিকেটের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা

 

তবে মূল ঘাঁটি হচ্ছে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেল। সেখানে ফাঁদে পরা মেয়েরা একবার আসলে আর সুশীল সমাজে ভালো ভাবে ফিরে যেতে পারে না। সেখানে বর্তমানে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ব্যাপক গোপন নিরাপত্তা, যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি, এম ফরমান আলী উক্ত হোটেলের গড ফাঁদারদের গোপন শোভাকাঙ্খি হওয়ায় গোপনে নিরাপত্ত দিচ্ছে। ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করলে তার আর কোন হয়রানির শেষ থাকে না। অনেকেই একাধিক বার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হোটেল দুটিতে চলা নারী ঘটিত অপকর্ম বন্ধ হয়নি। যারা ঐ হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বা কথা বলেছে তারাই বারবার হয়রানির শিকার হয়েছে। দালালদের খপ্পরে পরে যে সকল নারীরা সেখানে আসে ঐ টর্চার সেল হতে দুই একদিন পর বাছাই পূর্বক দেশ বিদেশের আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী এক নারী নাম গোপন রাখা স্বত্তে¡ বলেন, নিউ বলাকা, নিউ পপুলার, আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অবস্থান করে হোটেলে খদ্দের ও মেয়ে সংগ্রহ পূর্বক রিসিভ করে রাত দিন অপকর্ম করে সে সকল কিছু

তবে গড ফাঁদারদের নামে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ডিএমপির শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ থানাসহ তাদের নামে বে-নামে বিভিন্ন থানায় মানব পাঁচার সহ তাদের নানা ধরনের অপকর্মের দায়ে একাধিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

 

তবে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা রহস্যজনক কারণে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। যাত্রাবাড়ি হোটেল গুলোর টর্চার সেলে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। রুমগুলোতে রয়েছে গোপন ক্যামেরা। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি ব্যবসার খদ্দের চাহিদা বাড়াতে দেশ ব্যাপী ইন্টারনেটের মতো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে। গুগলে ইউটিউবে, ফেইসবুকে মতো সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নারীদের ছবি ও পাঁচারকারীরা খদ্দের যোগান দাতা দালালদের মোবাইল নাম্বারও ঐ সকল ছবির পাশে দেওয়া থাকে। তবে ইন্টারনেটে যাত্রাবাড়ি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বলে সার্চ দিলেই চলে আসে নিউ পপুলার, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলে খদ্দের যোগানদাতা দালালদের মোবাইল নাম্বার পথচারীদের মাঝে ছড়াতে দেশ ব্যাপী রাস্তার অলি গলি মেইন রোড কলকারখানা ও অফিস পাড়ার মতো জায়গায় দেখা যায় হোটেলের ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে কিছু যুবক এ রকম হাজার হাজার হোটেল ভিজিটিং কার্ড রাস্তাঘাটে চোখ পড়তেই দেখা যায় ঐ সকল ভিজিটিং কার্ডে শুধু নারী ব্যবসায়ী দালাল ব্যক্তির ছদ্দনাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে। ফোন করলেই লোকজন এসে নিয়ে যায় হোটেল নামে পতিতালয়ে। ঐ সকল পতিতালয়ে গিয়ে অনেক বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ খদ্দের সেখানকার ছিনতাইকারী দালালদের খপ্পরে পরে আটক হয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সৎ ইচ্ছা থাকলে যে কোন সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু রহস্য জনক কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে।

 

এলাকার গণ্যমান্য অনেকেই নিজেদের নাম গোপন রাখা স্বত্তে¡ বলেন, নিউ পপুলার, নিউ বলাকা, আল-শাহিন, মেঘনাসহ অন্যান্য হোটেলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। কেনানা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভাল করার ইন্সপেক্টর জেলা প্রশাসক, আবাসিক হোটেল রেজিষ্ট্রেশন শাখা কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় পরিবেশ কর্মকর্তা ঢাকা-৫ আসানের এমপি সহ স্থানীয় থানা পুলিশ র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৩ এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউ কিছু না বলার কারণে উক্ত হোটেল গুলোতে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, নারী পাঁচার সহ নানাবিধ অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া এলাকার সচেতন যুবক, ভদ্র মানুষগুলো ও যাত্রাবাড়ি এলাকার মসজিদ, মাদরাসার সচেতন মানুষগুলো প্রতিবাদ মুখী হয়ে দাড়ালে যাত্রাবাড়ি সহ দেশের আনাচে কানাচে সরকারি অনুমতি বিহীন আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নারী পাঁচার ও অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই কমে যেত। তবে এলাকাবাসী পরিচয় গোপন রেখে অনেকেই বলে স্থানীয় যাত্রাবাড়ি থানার ওসি বি,এম ফরমান আলী হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন সহায়তা করার কারণে সেখানকার অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না। আর এলাকার কেউ কিছু বলতে সাহসও পায় না। এসকল বিষয়ে একটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ হতে বিভিন্ন সময় একাধিক অভিযোগ পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার দেওয়ার পরেও সেখানে অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না।

যে সকল সরকারি দপ্তরে অভিয়োগ প্রেরিত হয়েছে

গত তারিখ ০১/১০/২০২৩ইং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ঢাকা, যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম (ডিএমপি),কমিশনার অনুসন্ধান, দুর্নীতি দমন কমিশন, উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ, বরাবর ২০ পাতায় একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দেই। যাহার বিষয় বিষয় ছিলঃ মানবাধিকার কার্যক্রম বন্ধ করতে মিথ্যা মামলা, হামলা, অপসংবাদ ও সংস্থার অফিস লুটপাট, ডাকাতিসহ নানাবিধ ষড়যন্ত্রকারী নারী গঠিত ও মাদক, জুয়া ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী এবং তাদের সহায়তাকারী পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে।

সরকারি দপ্তরে প্রেরিত জনস্বার্থে অন্যান্য অভিযোগ সমূহ

১। তারিখঃ ৩০/০৬/২০২২ইং, এসএল ৫৮৯, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ২। তারিখঃ ০৫/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩০৫, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৩। তারিখঃ ১৯/০৪/২০২৩ইং, এসএল ২৭২, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৪। তারিখঃ ১৬/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩২৫, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৫। তারিখঃ ০৮/০৫/২০২৩ইং, এসএল ৩০৪, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৬। তারিখঃ ০১/১০/২০২৩ইং, এসএল ৭৩৯, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৭। তারিখঃ ১২/১১/২০২৩ইং, এসএল ৮৪৩, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৮। তারিখঃ ০৮/০৪/২০২৩ইং, এসএল ২৩৬, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।৯। তারিখঃ ১২/১১/২০২৩ইং, সিরিভ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ১০। তারিখঃ ২৫/০৫/২০২২ইং,এসএল ৪৪৬ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা। ১১। তারিখঃ ১৯/০৫/২০২২ইং,এসএল ৪২৭ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১২। তারিখঃ ০২/০৬/২০২২ইং,এসএল ৪৮২ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৩। তারিখঃ ১৬/০৬/২০২২ইং,এসএল ৫৬৯ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৪। তারিখঃ ১৯/১০/২০২৩ইং,এসএল ৭৯০ আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৫। তারিখঃ ০৩/১২/২০২৩ইং,আরটি ১৩.৪০ রিসিভকারী সিমা আইজিপি’স কমপ্লেইন পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকা।১৬। হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে প্রাপ্ত আবেদন যার বিষয় ধর্ষক ও নারী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ উক্ত সরকারী দপ্তরে বরাবর অভিযোগ দেই।

যে প্রতিবাদ করায় ওসি মাজহার ও ফরমান আলী ষড়যন্ত্র করে

অভিযোগগুলো দেওয়ার আগে ও পরে হোটেল নিউ বলাকা, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক সাজ্জাদ (মোবাইলঃ ০১৬১৫-২৯৮৮৬১), ও জাভেল হোসেন পাপন (০১৯৩৯-৩১৯১৪১), জাবেদ হোসেন মিঠু (০১৮২৭-১৬৫৬৩৬), জামাল (০১৭১১-৪৪৬২৮৭), সাইদুল (০১৯৩৩-৫৭৮৮৫৯), বাট্টু সেলিম (০১৭৪২-৬৮০৫৬৬), পলাশ (০১৭১৯-৩৫৫৯১৬), কিলার শাকিল (০১৭০৯-০৫০৮৯০), ফারুক (০১৮৪৯-২৭৭৭৭৪), বিল্লাল (০১৮১৮-৫৫৮১৮২, ০১৮৭১-৫০৯৫৯৫), ডিপজল (০১৯৪৩-১৫৫২২৭), মুন্না ওরফে সবুজ (০১৯৮৯-৮৮০৫৪৯), ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল হোল্ডিং মালিক খলিল ও তার তিন বোন, একই স্থানে সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলার নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল হোল্ডিং মালিক আজিজ ও তার স্ত্রী সহ তিন শালী হোল্ডিং মালিকগণ নারী পাচারকারী ও নারী ব্যবসায়ী গড ফাদার সাজ্জাদ, পাপন, মিঠু, অবৈধ ইনকামে শত শত কোটি টাকার মালিকগংদের হোল্ডিং ভাড়া দিয়ে সবকিছু জানার পরও অবৈধ কাজে নিষেধ না করে গোপনে পরস্পর যোগ সাজসে সহায়তা করে আসছে উক্ত পাচারকারীগণরা ও প্রেম বিয়ে চাকুরী দেওয়াসহ মেয়েদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে উক্ত নিউ পপুলার ও নিউ বলাকা হোটেলে এনে আটক করে বা জিম্মি করে প্রথমে নিজেরা গণধর্ষণ করে এক পর্যায়ে অন্যান্য দালালরা নিজেরা বা খদ্দর সংগ্রহ করে নানাধরনের শারীরিক নির্যাতন পূর্বক বিভিন্ন পুরুষ খদ্দের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করায় এবং গোপন ক্যামেরায় ভিডিও স্টিল ছবি তুলে রাখে এবং খদ্দের চাহিদা বাড়াতে বিভিন্ন স্টাইলে তোলা ছবিগুলো গুগল ইন্টারনেটে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে ছড়িয়ে দেয় এক পর্যায়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে ঐ সকল মেয়েদের নানা কৌশলে পরিবারের কাছে যাওয়ার সকল পথ বন্ধ করে দেয়। উক্ত পপুলার ও বলাকায় আনা নবাগত মেয়েদের কিছুদিন নানা নির্যাতন পূর্বক আটক রাখার পর দালালদের বশে এনে নানাবিধ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নতুন কৌশল করে ইন্টারনেটে ছবি ছাড়ার সাথে চাহিদা মোতাবেক খদ্দেরদের সাথে যোগাযোগ করতে দালালদের মোবাইল নাম্বার ও দেওয়া থাকে ঐ সকল নারী পাচারকারী ও খদ্দের সংগ্রহকারী দালালদের মোবাইলে ফোন করে খদ্দেরদের চাহিদা মোতাবেক প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত যেমন ধরনের মেয়ে দরকার চাওয়া মাত্রই খদ্দেরদের সাথে দেখা করে খদ্দের নিয়ে আসেন তাদের পতিতা ব্যবসার আবাসিক হোটেল এর অর্ন্তরালে পতিতালয়গুলোতে দালালদের মোবাইল নাম্বার ১। ইমরান, (মোবাইলঃ ০১৭২৬-২৬৩০২৬) ২। সুলতান, (মোবাইলঃ ০১৬০৯-৩০৯২১৬) ৩। রসিদ, (মোবাইল ঃ ০১৭২৭-০৮১৬৯০) ৪। সুলতান-২, (মোবাইলঃ ০১৭৩৮-১৮৭৬২৮) ৫। ইমরান-২ (মোবাইলঃ ০১৩১৯-০৭০৩৩৩) ৬। ইমরান-৩, (মোবাইল ঃ ০১৩২৭-২৭০০৭২) ৭। মাহিম, (মোবাইলঃ ০১৯৯৮-৩৫৩৬২৭) ৮। সুলতান-৩, (মোবাইলঃ ০১৯৩২-৫৫৮৭২৫) ৯। রাকিব, (মোবাইলঃ ০১৭৩৮-৭২১৮০৭) ১০। রাকিব, (মোবাইল ঃ ০১৯৯২-৪৭১১৬৩) ১১। ফাইম, (মোবাইলঃ ০১৩৩১-৪০১৪২৫) ১২। মিহিন, (মোবাইলঃ ০১৭১৮-২৬৪৪৫০) ১৩। হুমাউন, (মোবাইলঃ ০১৮৩৪-৯৮৬৯৬৯)১৪। নিরব, মোবাইল ঃ ০১৭১৭-৩৪২৫৮৮১৫। মহিদুল, (মোবাইলঃ ০১৮২৬-৪৫১৬৩১) ১৬। আপন, (মোবাইল ঃ ০১৯১১-৯৩০১৩০১৭)। সুমন, মোবাইল ঃ ০১৭২০২৪৩২৩৪ ১৮। আবজাল, (মোবাইল ঃ ০১৭৯০-৬৪০৯৯৪) ১৯। তোফাজেল, (মোবাইলঃ ০১৭১১-৬৭৪৮৯৮২০)। তারেক, (মোবাইলঃ ০১৯২০-৪০১৫৬৬২১)। আনোয়ার, (মোবাইলঃ ০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭) ২২। জামাল, (মোবাইলঃ ০১৭০৬-৯৬৫২৯) ২৩। অভি ভাই, (মোবাইলঃ ০১৯২৪-২৬৪২৩৫) ২৪। নাসির (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৮৭৬৫৯২০) ২৫। নাসির-২ (মোবাইলঃ ০১৭২৫-৭২৯২২৭) ২৬। নাসির-৩ (মোবাইলঃ ০১৮১৭-২৭১৪৪৫), ২৭। মানিক, (মোবাইলঃ ০১৮৪৬-৮১৩১২৯), ২৮। ইউসুফ, (মোবাইলঃ ০১৭২১-৬১৭৯৩৯) ২৯। সুমন, (মোবাইলঃ ০১৭২০২-৪৩২৩৪) ৩০। সুমন-২ (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৫৫৮১৮২), ৩১। মনির, (মোবাইলঃ ০১৭০৪৬০৫২১৪) ৩২। তারেক (০১৬০২-৮৮২৫৩৩), ৩৩। ইউসুফ রিপন (মোবাইলঃ ০১৮১৮-৪৮৩৩৫৯), ৩৪। মোঃ আনোয়ার (০১৭৭৪-৯০০৬৩৯), ৩৫। শাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪) ৩৬। কোটিপতি সবুজ (০১৭২৬-৬৪০১৭৫), ৩৭। কামাল (০১৯১৩-৭৮১৩১৭), ৩৮। মানিক (০১৭১৬-৯০০৩৩৬), ৩৯। রনি/ডালিম (০১৬৮৩-১৫৮২৯৮) ৪০। জসিম (০১৮৬৪-৭০৫৯৫৯) ৪১। শফিক (০১৩০২-১২১২৯৫), ৪২। শাওন (০১৩৮৬-৮৩৫৩৭) ৪৩। টুন্ডা আনোয়ার (০১৭৩৩-৭৬৮০৮৭), ৪৪। মহিলা দালাল মাহি (০১৭৪৩-৪৭২৮৪), ৪৫। নূর আলম (০১৭১৬-৮৬৩৯৮৫), ৪৬। আনোয়ার ওরফে তারা (০১৩৩০-০১৫৮০৬), ৪৭। সাগর (০১৩১৬-৮১১৬১০), ৪৮। শাহিনূর (০১৯৪৫-৪৪৮৬৩৮) ৪৯। নাদির (০১৭২৫-৭২৯২২৭) ৫০। সজিব (০১৩২০-৮১৮১৬৪) ৫১। বরহান (০১৭৭৯-৯৯৬২৯৮) ৫২। গণেশ (০১৭৮৫-০২৮৮৮৫), ৫৩। মোঃ শাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪) ৫৪। শফিক (০১৯৯৯-৮৩৪৪০১), ৫৫। নিলয় (০১৮১৭-০৩৭৪৭৫) ৫৬। হাবিব (০১৬০০-৯০৫৬০৯), ৫৭। ডলার (০১৭৬৪-৪৯১৩৯৪) ৫৮। টালাশ (০১৯৩৪-২৬৬৫১৬) ৫৯। রবি ভাই (০১৯৮৪-৭৭৮৮০৪), ৬০। মকবুল (০১৯৮৮-৬৫৮৪৬৩) ৬১। হোসেন ভাই (০১৬০০-১৫৮৪৩১) ৬২। কনক (০১৮৮৬-৪২৩১১১), ৬৩। ডালিম (০১৯১৪-৫৯০৭৫৯), ৬৪। সবুজ (০১৩০৫-২৭৭৭৪৪), ৬৫। সজিব (০১৭৩২-৪৮৭৮২২), ৬৬। সাগর (০১৯৮৮-৩৬৬১৮৩), ৬৭। খান (০১৩২২-৩৫৫৬০২), ৬৮। দাদন (০১৮৩০৫-৫০৮৮০), ৬৯। নয়ন (০১৮৭৮-৬৫২৭৮০) ৭০। সাইদুল (০১৬৩৯-৮৭০৯২১) ৭১। সাইফুল (০১৯৫০-৩৪৫৫০৮) ৭২। স্বাধীন (০১৬৭৭-৩২৮৭০০) ৭৩। সখি (০১৭২৭-৩২৫৪০৬), ৭৪। শফি (০১৯২৬-৮৪১১৭১), ৭৫। ইমরান (০১৩২৮-০৬০৯১৬) ৭৬। বাদশা (০১৩১৯-২৫৯৫৫৫) ৭৭। মামুন (০১৭৩৯-৪২৮৪০৮) ৭৮। শুটার ইমরান (০১৩২৫-৮৮১৬০৩) ৭৯। আকাশ (০১৮১৪-৫৭১৬২৩), ৮০। সূর্য (০১৩১৯-২৫৯৫৫৫) ৮১। আনোয়ার (০১৭৭২-০৮৭১০২) ৮২। আলাউদ্দিন (০১৭২৫-৭৬০১৯৬) ৮৩। রাজ (০১৬১৬-৭৭১৩৭৯), ৮৪। চাঁদ ভাই (০১৭৯৯-২৪৫১৮৯), ৮৫। বরকত ভাই (০১৮১৮-৪৬৯৫৫৭) ৮৬। নাসির (০১৬১০-০৪৫০৭৫) ৮৭। কাজল (০১৮৪৫-৫৩৯৫৭৫) ৮৮। দোলা (০১৩৩২-৬৩৩৩৭৬), ৮৯। সুমন ভাই (০১৯৫২-৬০৬৪৩০), ৯০। মিলন (০১৮৯৬-৩৩০৭৫৫) ৯১। জিকু (০১৮৬৩-১১৩৫১০) ৯২। ফরিদ (০১৬২৭-৫৮৮১৩৩), ৯৩। ছোট সাকিল (০১৭৭২-৮৮৫৩০৪), ৯৪। এমদাদ (০১৭৭২-৮৬৮৯৮০), ৯৫। বিজয় ভাই (মোবাইলঃ ০১৯৬৬-৪৮৫০১৪), ৯৬। রবি ৯৭। জসিম ৯৮। হান্নান ৯৯। নোয়াব ১০০। হারুন (০১৬৭২-১২১৩০৯) ১০১। হায়াত ১০২। সালেক (০১৫৩৩-০০২০০৩) ১০৩। তেল মনির, ২৭৩, ধোলাইপাড় ও নারী সদস্য ১০৪। মলিনা আক্তার জুুঁই ১০৫। সাথী, ১০৬। লিজা ১০৭। আনোয়ারা ১০৮। আঙ্গুরী ১০৯। বেবী, ১১০। রানী ১১১। রনি (০১৭৯১-০৩২০২৮), ১১২। জব্বার ভাই (০১৭২৮-৩১৬৬৪৬) ১১৩। সুজন ভাই (০১৯১০-৬৯১০২৪) ১১৪। দুলাল ভাই (০১৭৮০-১৫২২৬৬) ১১৫। সিদ্দিক ভাই (০১৭৩১-৮৫৫৯২১), ১১৬। কনক ভাই (০১৮৮৬-৪২৩১১১), ১১৭। নিরব ভাই (০১৯৬৬-১৪৫১৮৭), ১১৮। মধু ভাই (০১৭২৫-১২১২৩০), ১১৯। মুন্না ভাই (০১৬২৬-১০২২৫৫), ১২০। কাসেম ভাই (০১৮১৪-৪৭৮৫০৩) সহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়শতাধিক দালাল ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ী উক্ত নিউ পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে নিরাপদ আস্তানা বানিয়ে সেখানে রয়েছে। গডফাদার দালালরা নতুন সংগ্রহ করা শিশু, কিশোরী, যুবতী মেয়েদের সেখান হতে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল ফ্ল্যাট বাসা পতিতালয়ে নিয়ে মেয়েদের কৌশলে জিম্মি করে দালালদের বশে আনা কিছু মেয়েকে নিয়ে উক্ত নারী ব্যবসায়ী ও পাচারকারী দালালদের গোপনে সহায়তাকারী ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল), বিপি নং-৭৬০২০৩৪৫০৭ ও তার বন্ধু বিএম ফরমান আলী (বিশ^াস) বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ তারা রাতারাতি অবৈধ কালো টাকা কামানোর লালসায় নারী পাঁচারকারী মাদক কারবারী,ক্যাসিনো জুয়ারস্পট ব্যবসায়ী, বিভিন্ন চাঁদাবাজ, অবৈধ পেট্রোল অক্টেন বিক্রেতা, ভেজাল পণ্য তৈরিকারী ব্যক্তিবর্গ, ছিনতাইকারীসহ নানাবিধ অপরাধীদের সাথে গোপন সু-সম্পর্ক করে নিজেদের অপশক্তি বল প্রয়োগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারী ও মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ সাজ্জাদগংদের পক্ষ নিয়ে আমাকে নানা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে অভিযোগ গুলো তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে বাধ্য করতে চেষ্টা করে আসছিল।

পাঁচার হওয়া নারীদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে ষড়যন্ত্রের শিকার

 

অত্র সংস্থার বরাবরে ভুক্তভোগী এক মেয়ের একটি অভিযোগপত্র পাই উক্ত অভিযোগের বিষয় ছিল- ধর্ষক ও নারী পাঁচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। উক্ত অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্থার অনুসন্ধানী কর্মীগণ সহ আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যাপক খোঁজখবর নেই কিন্তুু অভিযোগকারীকে অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নাই। যেহেতু উক্ত অভিযোগে নারী পাঁচারকারী কবির ও মিরাজ নামে ব্যক্তিদ্বয়ের উল্লেখ করেছে ঐ ব্যক্তি একজন আর্ন্তজাতিক নারী পাঁচারকারী। তাই সংস্থার কর্মীগণ বিভিন্ন ভাবে নানা জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা ও পতিতালয় ব্যাপক সোর্সের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযোগে উল্লেখিত পাঁচারকারীর নাম মোঃ হুমায়ুন কবির খান ডাকনাম মিরাজ, পিতাঃ আব্দুল মান্নান খান, সাং-সরমহল, গৌড়িপাশা, থানাঃ নলসিটি, জেলাঃ ঝালকাঠি, বর্তমান সাং-সামিউল্লাহ প্লাজা, ৫ম তলা, নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল, থানা যাত্রাবাড়ি, জেলা ঢাকা। নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল এর অর্ন্তরালে পতিতালয় নারী সরবরাহকারী দালাল কবিরের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারীদের যাত্রাবাড়ি বলাকা ও পপুলার হোটেল নামে পতিতালয়ে মেয়েদের নানা কৌশলে নিয়ে আসে। সেখানে তার দলে বেশ কিছু মধ্য বয়স্ক নারীও রয়েছে। তাদের দিয়ে সংগ্রহ করা নবাগত মেয়েদের শারীরিক নির্যাতন সহ নানা কৌশল এ পতিতালয়ে বহিরাগত পুরুষদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করানো হয়। তার দলে মেয়েদের দিয়ে নানা ভাবে বুঝ পরামর্শ ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে অবৈধ পথে ভারতের বোম্বে, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুর, পুনে, মহারাষ্ট্রে ও কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা বাসা-বাড়ি, আবাসিক হোটেল পতিতালয়ে নিয়ে গিয়ে ঐ দেশি পতিতা ব্যবসায়ী পাঁচারকারী এজেন্টদের কাছে অনেক টাকা মূল্যে পাঁচার করে নিয়ে যাওয়া মেয়েদের বিক্রি করে দিয়ে আসে। কবিরগং দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় এজেন্টদের কাছে তার অনেক সুনাম রয়েছে। ইন্ডিয়াতে কবিরের হিন্দু নাম শংকর। তার দ্বারা শত শত প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের পতিতা ব্যবসার জন্য কবির ওরফে মিরাজগংরা পাঁচার করেছে। তার ৮-১০টি স্ত্রী রয়েছে। তারা কেউ দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস, কলকারখানায় কাজ করে কবিরের ব্যবসা চাঙ্গা রাখতে কবিরকে মেয়ে

সংগ্রহ করে দেয়। আবার কেউ ভারতে অবৈধ পথে কবিরের নির্দেশে মেয়েদের নিয়ে যায়। যাহা কবিরের দায়িত্ব পালন করে থাকে। আর এ ব্যবসার গড ফাদার হিসেবে কবিরের সিনিয়র সহায়তাকারী তার পাঁচার ব্যবসার পার্টনার সাজ্জাদ, শুক্কুর, জামাল, সাইদুল, বাট্টু সেলিম, পাপন, মিঠু, শাকিল সহ পত্রে উল্লেখিত ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া ব্যক্তিগণ তবে যে সকল মেয়েদের ইন্ডিয়া পাঠানো হয় তারা অবৈধ পথে যাওয়ার ফলে বৈধতা না থাকায় সহজেই পালিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসতে পারে না। অনেক মেয়ে ভারতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ধরা পরে অবৈধ হওয়ার ফলে দিনের পর দিন ভারতের বিভিন্ন জেলে রয়েছে। কেউ দেশে আসতে চাইলেও অবৈধ হওয়ার কারণে আসতে পারে না। অভিযোগে উল্লেখিত মেয়েটিও কবিরের দ্বারা পাঁচার হয়েছে। পাঁচারকারীদের দ্বারা পাঁচার হওয়া ভারত হতে বহু কষ্টে পালিয়ে আসা বিভিন্ন মেয়েদের কাছ হতে জানতে পারি।

অনুসন্ধানের সময় জানতে পারি

১। পাচারকারী কবিরগংদের জিম্মি দশায় থাকা ঈশা, জন্ম তারিখ-০২/০৬/১৯৯৬ইং, জন্ম নিবন্ধন নং-১৯৯৬১৬২২৩৫০০১৮৪২৬, পিতা-মোঃ আবুল কাশেম, মাতাঃ বিবি রহিমা, সাং-ফকিরাগুনা, বড়াইছড়ি, থানা-কাপ্তাই, জেলা-রাঙ্গামাটি। উক্ত ঈশা জানায় সে মিরপুরের একটি গার্মেন্টস এ হেলপার হিসাবে কাজ করত। ঈশাকে বেশি বেতন পাইয়ে দেওয়ার ও অপারেটর হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে লিজা , বয়স-২২, ঈশাকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলকায় এনে উক্ত পাচারকারীদের কাছে এনে কৌশলে বিক্রি করে দেয়। এরপর নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন পূর্বক ঈশার ইচ্ছার বিরুদ্ধে উক্ত হোটেলে রুমে আটক রেখে বিভিন্ন পুরুষ দ্বারা দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। তাদের কাছ হতে পালাতে চাইলে ঈশা ঈশাকে দিয়ে করানো বিভিন্ন পুরুষের সাথে যৌন মেলামেশার ভিডিও ও স্টিল ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। সাজ্জাদ ও কবিরগংরা ও উল্টো সাজানো মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয় দালালরা এক পর্যায় সেখান হতে অন্য জায়গায় নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে ঈশাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দালালরা তাকে হুমকি দেয় তাদের কথা না শুনলে বিদেশে পাচার করে দিবে। দালালদের কাছে এমন বহু মেয়ে আছে অনেকেই পাচার হয়ে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে রয়েছে । ২। ঝুমা ওরফে রুনা আক্তার, বয়স-৩২, পিতা-আব্দুল জলিল শেখ, সাং-বনগাঁ, থানা- কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, মেয়েটিকে কবিরগংরা প্রেমের প্রলভনে ফেলে বিয়ে করার নামে মেয়েটি সহজ সরল বোকা প্রকৃতির হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আনোয়ারা ও রানী কবিরগংরা ফুসলিয়ে ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেট, ৪র্থ তলা, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলে এনে আটক করে কিছুদিন রাখে। এক পর্যায়ে দুই দিন পর বিয়ের নামে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। ৩। নূরে যা, বয়স-১৭, পিতা-নূরনবী, মেয়েটির বাড়ি রংপুর গাইবান্ধা তাকে উক্ত পাচারকারী ইউসুফ রিপন প্রেমের প্রলোভনে নিউ বলাকা হোটেলের ৪নং রুমে এনে আটক করে রাখে। নানা ভয়ভীতি দেখাইয়া বিভিন্ন হোটেল ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে রিপনগংদের অন্যান্য সদস্য দ্বারা জিম্মি করে উক্ত পাচারকারীরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করাচ্ছে। ৪। সোয়া, বয়স-১২, মেয়েটির সাথে সংক্ষিপ্ত কথা বলে জানা যায় তাকে নিয়ে আসা লিজা, রানী, আনোয়ারা গংরা তাকে দিয়ে জোর পূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে নিউ পপুলার সহ দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে, উক্ত আশাগংরা পাহারা দিয়ে রেখে সোয়াকে বিভিন্ন পুরুষ মানুষের সাথে নির্যাতন পূর্বক যৌন মেলামেশা করায়। সোয়া অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় পুরুষদের নির্যাতন সহ্য করতে না পারলে আশাগংরা রুমে দাড়িয়ে থেকে নানা ভয়ভীতি মারধর এর ফলে পুরুষদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করায়। ৫। খাদিজা, বয়স-২০, নামের এক মেয়ে জানায় তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা কাজের সন্ধানে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকায় রানীর সাথে পরিচয় হয় এক পর্যায় রানী তার শিশু সন্তান বাবুকে জিম্মি করে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে খাদিজাকে দিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। খাদিজা খারাপ কাজ করতে না চাইলে তাকে নানা ধরনের নির্যাতন করে এবং তার শিশু সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে পতিতা বানিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো জানা যায়। এছাড়াও আরোও বহু প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত মেয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন কায়দায় মানব পাচারকারী দালালরা পতিতা ব্যবসার জন্য খুলনা বানী শান্তা, পটুয়াখালী, যশোর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি দৌলদিয়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর পতিাতলয় সহ ও দেশ বিদেশের পতিতালয় অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায়, পাঁচার করছে। পতিতালয় গুলোতে অসংখ্য প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত শিশু কিশোরী মেয়ে মানুষ দালাল ও সর্দারনীদের জিম্মি দশায় রয়েছে। ঐ সকল মেয়েরা বাহিরের আলোর মুখ দেখতে পায় না বা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করারও সুযোগ দেয় না পতিতালয়ের সর্দারনী বা পাচারকারী দালালরা। এমতাবস্থায় কবিরের সাথে দেখা পাওয়ার জন্য কাজলা বৌ-বাজার এলাকায় যাই। তার সাথে দেখা করে বাংলাদেশ হতে মেয়েদের যেন পাঁচার না করে এবং তার সিন্ডিকেট দ্বারা পাঁচার হওয়া মেয়েদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজলা এলাকায় যাই। সেখানে যাওয়ার পর কবিরের সাথে দেখা হলে কথা বলার এক পর্যায় কবিরগং আমাকে বলে এসকল নিয়ে যেন আমি বেশি বাড়াবাড়ি না করি আমি তাদের কথায় রাজি না হলে

ছিনতাই কারীকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিয়ে বাদী বানিয়ে ভুক্তভোগীর নামে মামলাঃ

১। গত ১৬/১২/২০২৩ইং তারিখ হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংগঠনের নারী পাঁচার বিরুদ্ধি (অপরাধ অনুসন্ধান) কার্যক্রম সূত্রে যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলা বৌবাজার দিয়ে কুতুবখালী যাওয়ার পথে আমার গতিরোধ করে ৪/৫ জন যুবক। তারা আমার গলায় ধারালো ছুরা ঠেকিয়ে পেয়াজের আড়ৎ এর গলির ভিতর ভাসমান নাজমার মাদক স্পটে নিয়ে আমার গলার একভরি ওজনের একটি স্বর্ণের পেঁচ চেইন ও নগদ ২২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাকে উল্লেখিত সরকারী দপ্তরে আমার দেওয়া অভিযোগগুলো বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে আমাকে তুলে নিতে বলে। সময় ৩ দিন বেঁধে দেয়। নয়ত আমি যেন ঢাকা শহর ছেড়ে চলে যাই। এমতাবস্থায় আমাকে তারা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে আমি গলি হতে বের হয়ে রাস্তায় এসে সন্ধ্যা ৫.৫০ মিনিট আনুমানিক সময় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে আমার ঘটনার পরিচয় জানাই। ৯৯৯ হতে অজ্ঞাতনামা অপারেটর তাৎক্ষণিক যাত্রাবাড়ি থানার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসার এর সাথে কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেন। ডিউটি অফিসার আমার সবকিছু শোনার পর এলাকায় টহলরত ডিউটি অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম, বিপি নং-৭৬৯৬০২২৫৩০ এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ঃ ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭ আমাকে দেন। এরপর ৯৯৯ হতে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে ৬.১৪ মিনিটের সময় যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসার এর মোবাইল নং-০১৩২০-০৪০৫১৬ নাম্বার আমার ব্যবহৃত ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বারে পাঠান। ৯৯৯ এর আমার কমপ্লিন কল নং-ঈঋঝ ৪৭৪৭৮০২৯ নম্বরটিও আমার ব্যবহৃত নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে ৯৯৯ পাঠান। এরপর উক্ত এসআই রফিকুল ইসলাম এর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইলঃ ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭, অজ্ঞাতনামা আরেকটি নাম্বারে আমার ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে একাধিক বার কথাবলার পর ঘটনা স্থলে এসে আমার ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ঘটনা স্থল হতে দুই ছিনতাইকারীকে উপস্থিত রফিকুল ইসলামের সাথে আসা তার সঙ্গিয় ও ফোর্স অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চেইন নিয়ে যাওয়া আরো একজন ছিনতাইকারী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী শুক্কুর আলীকে সনাক্তমতে গ্রেফতার করে এবং সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক সুইটি, প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী জামাল,আলম, বাদশা, রাজিয়া, ভিক্ষুক রোকেয়া, ভিক্ষুক সালমাসহ প্রায় ৪০ হতে ৫০ জনের মতো উপস্থিত স্বাক্ষী নেয় পুলিশ। এর পর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ৩ ছিনতাইকারীকে যাত্রাবাড়ি থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। আর আমাকে এসআই রফিকুল ইসলাম ছিনতাই হয়ে যাওয়া চেইনের ক্যাশ মেমো নিয়ে আসতে বলে।

তখন আমি মালিকানা মেমো আনতে গেলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর-০১৮৬৫-৮১০১৫৪ এসআই রফিকুল ইসলামের

ব্যবহৃত ০১৭১৯-৬৯৮৫৭৭ নাম্বারসহ বিভিন্ন নাম্বার হতে রফিক প্রায় আনুমানিক ৪০ মিনিট পর ফোন করে আমাকে তাড়াতাড়ি যাত্রাবাড়ি থানায় আসতে বলে। যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ডাকতেছে বলে জানায়।

যাত্রাবাড়ি থানায় যাওয়ার পর যা ঘটল

এক পর্যায়ে আমি আনুমানিক রাত ৯ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ি থানায় যাই। থানার বাহিরের গেইটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যাওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে দেখতে পাই। তখন তাদের সাথে আমি থানার গেইটের পশ্চিম পাশে থানার সিসি ক্যামেরার নিচে দাড়িয়ে কথা বলছিলাম। ঐ মুহুর্তে পুনরায় এসআই রফিক আমার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ এই নাম্বারে কল দেয়। তার নাম্বার হতে তখন আমি থানার গেইটে আছি বললে এসআই রফিকুল ইসলাম থানা হতে গেইটে এসে গেইটে বসানো জনসাধারণ থানায় প্রবেশ রেজিষ্ট্রার খাতায় ডিউটিরত কনস্টেবল দিলীপকে দিয়ে খাতায় আমার নাম লেখায়। আমাকে থানার দ্বিতীয় তলায় রফিক সাথে করে নিয়ে আমার সাথে যাওয়া আরো দুইজনকে আমাদের ওসি তদন্ত সাহেবের রুমে বসায়। কথাবার্তার এক পর্যায় আমার কাছ হতে চেইনের কাগজপত্র নেয় এসআই রফিক। ঐ কাগজ যাত্রাবাড়ি থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ কে দেখানোর কথা বলে তদন্ত এর রুমে আমাদের বসিয়ে রেখে তিনি ওসির রুমে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর যাত্রাবাড়ির ওসি তদন্ত আজহার ওসি অপারেশন, সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম এর পার্সোনাল পিএস আমার পূর্বে চলমান অভিযোগ এ উল্লেখিত সাজ্জাদ পাপনগং সহ ও চিহ্নিত পতিতালয়, হাজী ইউনুস সুপার মার্কেট ৮২/এ, নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল চতুর্থ তলা ও সামিউল্লাহ প্লাজায় নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল সায়েদাবাদ আল হায়াত ও আল জাকির ভবন যাত্রাবাড়ি শাহিন, মেঘনাসহ আরো কয়েকটি ঐ সকল আবাসিক হোটেলের অন্তরালে পতিতা ব্যবসা ও নারী পাচার পরিচালনাকারী ও নারী পাচারকারী একাধিক গডফাঁদার নারী পাচারকারী দালাল ব্যক্তিদের থানায় উপস্থিত করে তারা আমাকে দেখিয়ে।

অপেশা দারিত্ব আচরণ পূর্বক ওসি ফরমান আলী যা বললেন

ওসি ফরমানউল্লাহ বলে সালাকে অনেক দিন পর পাইছি। পূর্বে আমি মতিঝিল, গুলশান থাকাকালে ঐ এলাকার সর্বস্ত নারী ব্যবসায়ীদের সাথে আমার নামে আইজিপিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করছে ওর জন্য আমার প্রায় ১০০ কোটি টাকা মাসোহারা ইনকাম এর ক্ষতি হইছে। এরপর বলে দেশের নারীরা পাঁচার বা পতিতা হলে শালা তোর কি আসে যায়? তোরে অনেক দিন পর পাইছি এবার অভিযোগ করার মজা বুঝাইয়া দেব। ওকে যে ভাবে মনে চায় ওর নামে অভিযোগ দাও। একাধিক মামলা হবে এ শালার নামে। এ বলে আমাকে তিন ওসি মিলে থানা হাজতে অন্যান্য উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের রাখতে বলে এবং এসআই রফিককে নির্দেশ দেন ছিনতাইকারীদের ছেড়ে দাও আর তাদের ভিতর হতে একজনকে বাদী বানিয়ে ওর বিরুদ্ধে-ই ছিনতাই মামলা নাও। আর একটা চাক্কু দিয়া দিও। ঐ মুহুর্তে নারী পাচারকারীরা বলে শালা টাকা কামাইমু আর তিন ওসি স্যারের পিছে ঢালমু তোরে আর জেল হতে বের হতে দিমু না। কত মামলা খাইতে পারিস এবার মজা বুঝবি। তুই পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করছস তা ও আবার যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি মাজাহার স্যারের নামে। এসআই রফিক উপস্থিত কনস্টেবল আনোয়ার সহ কয়েকজনকে দিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় আমার ফ্যামিলির কারো সাথে যোগাযোগ করার সুযোগটি পর্যন্ত দেয় নাই। এক পর্যায়ে থানা হাজতে আমাকে অমানবিক নির্যাতন পূর্বক রেখে দেয়।

যাত্রাবাড়ি থানা হাজতে যা ঘটল

রাত ১১ টার পর হতে লকাপে এসআই রফিক অজ্ঞাতনামা কয়েকজন অফিসার এসে বলে ভাই যদি সম্ভব হয় তাহলে ক্ষমতাসীন কোন লোক দিয়ে তদবির করান নয়ত আপনাকে রাতে অস্ত্র উদ্ধারের নামে হত্যার মতো কোন ঘটনা আপনার সাথে হইতে পারে। আপনাকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে এরপর আমার লকাপের সামনে আসে যাত্রাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত আমার তিনি এসে আমাকে বলে পরিবারের সাথে কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা যদি আনতে পারেন আপনাকে ডিএমপি এ্যাক্টে আদালতে কালকে পাঠানো হবে সামান্য জরিমানা দিয়ে চলে আসবেন আর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারি মন্ত্রনালয় সহ যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ওসি মাজহারের বিরুদ্ধে ও পপুলার বলাকা নামক আবাসিক হোটেলসহ যত ধরনের অভিযোগ করেছেন তাহা সরকারি দপ্তরে গিয়ে তুলে নিয়ে আসবেন। তখন আমি ওসি তদন্তকে বলি যে আমার কাছে তো এত টাকা নাই। ঐ মুহুর্তে তদন্ত বলে যা পারেন রাতে আনান। বাকি টাকা সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তি করে আস্তে আস্তে দিয়ে দিবেন। ওসি ফরমান স্যার ভালো মানুষ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন। এমতাবস্থায় আমি লকাপ ইনচার্জ মন্নান নামে এক পুলিশ সদস্যকে দেখিয়ে দিয়ে যান। আমার পরিবারের কেউ টাকা নিয়ে এলে যেন আমি তার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে দেই। এমতাবস্থায় আমি তাদের দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় পরের দিন ১৭/১২/২০২৩ইং সকালে কোর্টের আসামী নেওয়ার গাড়ি যাত্রাবাড়ি থানায় আসলে উক্ত মন্নানগং আমাকে জিজ্ঞেস করে টাকার খবর কি? তখন আমি বলি খবরতো ফোনে এসআই রফিকের মাধ্যমে পাঠাইছি। তখন আনোয়ার বলে, দুপুর একটা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে। কথা না রাখলে মামল দিয়ে রিমান্ডে এনে মজা বুঝাবে।

আদালতে পাঠানোর পর

এমতাবস্থায় পুলিশ আমাকে অন্যান্য হাজতিদের সঙ্গে কোর্টের গাড়িতে করে বেলা ১২ ঘটিকার সময় নিয়ে যায়। কোর্টগারদে নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গারদের লকাপে সেখানকার প্রতিপক্ষ গ্রহণ করল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের এক কনস্টেবল লকাপের বাহিরে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ি থানার ওসি আপনার কাগজে সাইন করে নাই। আপনি থানায় কি ঝামেলা বানাইছেন। এমতাবস্থায় আমার কোন লোকজন ঐ দিন টাকা না দেওয়ায় প্রায় ২ ঘটিকা সময় পর্যন্ত অপেক্ষার পর যাত্রাবাড়ি থানা হতে মোটর সাইকেলে করে এক পুলিশ সদস্য দিয়ে আমার নামে ছিনতাই মামলা সহ চারটি মামলা পাঠান। এক পর্যায়ে জানতে পারি এসআই রফিকের গ্রেফতার করা আমার অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ও কাজলার মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুরদেরকে ছেড়ে দিয়ে শুক্কুরকে বাদী বানিয়ে আমার নামে দ্রæত বিচার আইনে ছিনতাই মামলা পাঠিয়েছেন। ঐ মামলায় আমাকে গ্রেফতার দেখায় এবং আমার কাছে নাকি একটি ছোরাও পেয়েছে এবং সেটি উদ্ধার দেখিয়েছে মামলায়। প্রায় ২ ঘন্টা পর কোর্ট হাজতের লকাপে আমাকে দেয় এক পর্যায়ে আদালতকে মিথ্যা ভুল বুঝিয়ে নাটকীয় মামলায় আমাকে ২ দিন রিমান্ডে আনে।

থানায় রিমান্ডে আনার পর যত হুমকি

যাত্রাবাড়ি থানায় আনার পর ১৭/১২/২০২৩ই ং তারিখ আনুমানিক রাত ১২টা ৩০ ঘটিকার সময় থানার ওসি ফরমানউল্লাহ বিশ^াস থানা লকাপে এসে আমার সাথে কথা বলে তাদের দাবীকৃত টাকা চান এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি রাজনৈতিক কোন দল করি। তখন আমি ও আমার সপরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দল করি ভোটার হতেই নৌকা প্রতীকে ভোট দেই। আর আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তখন ওসি ফরমান আলী বলে ওসি তদন্ত তোর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাইছে এটাকি তোর কাছে বেশি হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজনে কিস্তি করে নাও মাসে মাসে দিয়ে দিও। নয়ত মামলা খেতে খেতে জীবনটা শেষ হয়ে যাবে। বাড়িঘর আর মানবাধিকার গিরি আর সাংবাদিকতা কিছুই থাকবে না।

এখনও সময় আছে সিদ্ধান্ত নাও। এই বলে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে বলে দেশের নারী পাচারকারী সাজ্জাদ, পাপনদের সহ ওসি মাজহারের বিরুদ্ধে ও আমার বিরুদ্ধে যত ধরনের অভিযোগ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় রয়েছে তাহা যেন তুলে নেই। আর ৮২/এ, চতুর্থ তলা, নিউ পপুলার ও সামিউল্লাহ প্লাজার ৫ম তলার নিউ বলাকা নারী ব্যবসায়ী পতিতালয় এর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যদি কোন অভিযোগ দেই আর তার কারণে যদি যাত্রাবাড়ি এলাকার হোটেলের নারী পাচার ব্যবসা বন্ধ হয় তাহলে মাসে ৩০ লক্ষ টাকা একেক হোটেলের অবৈধ ইনকাম এই ক্ষতিপূরণ আমার গুনতে হবে নয়ত সারাজীবন জেলে জেলে কাটাতে হবে। আর কোন ফাঁক ফোকরে বের হয়ে এলে হত্যার পর লাশ গুম করে ফালানো হবে। বাংলাদেশের কোন থানায় মামলাও হবে না। যদি হয় তাহলে অপমৃত্যু মামলা হবে তুই ন্যায়বিচার টুকুও পাবি না। কেননা আমি ডিএমপির ওসিদের এসোসিয়েশনের সভাপতি আর মাজহারুল ইসলাম সেক্রেটারি। আমাদের কথা আইজিপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সহ অনেক বড় বড় নেতারা শুনে ও আমাদের চিনে। তাছাড়া আমি প্রধানমন্ত্রীর এলাকার আত্মীয় স্বজন আমরা গোপালগঞ্জের উঁচু শ্রেণীর বিশ^াস বংশের লোক।

টর্চারের ভয় দেখিয়ে নগদ এবং কিস্তিতে ঘুষ, চাঁদা দাবি পুলিশের

নানা ধরনের হুমকি দিয়ে তিনি যাওয়ার পর আসে এসআই রফিক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সে এসে বলে, তাকে ওসি তদন্ত ও অপারেশন পাঠাইছে আপনাকে বলতে ২ দিন রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আমি ১ দিন রেখে আপনাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি আমাকেও ওসি স্যারদের কিছু বকশিশ দেন নয়ত রাতেই থানার তৃতীয় তলার চর্চার সেলে নিয়ে আপনার মানবাধিকারগিরি শিখিয়ে দেওয়া

হবে। তখন আমি বলি ছিনতাইকারীদের কাছ হতে আমার উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের চেইনটি পুলিশদের নিয়ে যেতে বলি। আর ফ্যামিলির লোক দেখিয়ে দেই তাদের কাছে আমার মানিব্যাগ, ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিতে বলি এবং ৩ কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকার চাঁদা দেওয়ার জন্য আমার এক আত্মীয়কে পুলিশকে পরিচয় করিয়ে দেই এবং পুলিশের ষড়যন্ত্র হতে বাঁচতে নিরুপায় হয়ে তাকে টাকা দিতে বলি। আমার ঐ আত্মীয় দুইবারে এসআই রফিককে কিস্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টাকা দেয়।

যে মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানো হলো

এক পর্যায়ে ১৯/১২/২০২৩ইং পুলিশের চাঁদাবাজির কিস্তির টাকা দিতে দেরি হওয়ায় যাত্রাবাড়ি থানার রাজনীতির বিভিন্ন পুরনো মামলাগুলোতে আমাকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে আমি আওয়ামীলীগ দল করা স্বত্তে¡ও বিএনপি দলীয় জামাত শিবির সহ নারী পাচারকারীদের সন্তুষ্ট করতে আমাকে একের পর এক মোট ৪টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ফরওয়ার্ডিং পাঠায় প্রত্যেকটি মামলার ফরওয়াডিং এ পূর্ব মাজহার এর দেওয়া প্রমাণিত না হওয়া মামলাগুলো ও উক্ত ফরওয়ার্ডি এ গেয়ে দেয় উক্ত মামলাগুলোতে আমি অভিযুক্ত দেখানো হয় যাহা মিথ্যা তথ্য আদালতকে পাঠায় এবং মামলায় আমার একাধিক নাম ও পিতার নাম উল্লেখ করে যাতে করে আদালতে জামিন চাওয়া হলে বিচারক আমাকে ক্রিমিনাল মনে করে সহজে জামিন না দেয় যে যড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছেঃ (১) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-২৩, তারিখঃ ০৭/১২/২০২৩, ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনরে ১৫(৩) ২৫/ডি, তদন্ত কর্মকর্তা হীরামন বিশ^াস, বিপি নং-৯২২০২২৭১৯৮, (২) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৫৭, তারিখঃ ১৭/১২/২০২৩ইং, ধারা আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ দ্রæত বিচার ২০০২ এর ধারা ৪/৫ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বিপি নং-৯৬৯৬০২২৫৩০ (৩) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৮৮, তারিখঃ ২৩/১০/২০২৩ইং, ধারা ১৪৩,১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩০৭,৩ ২৫,৩৭৯, ৪২৭, ১০৯ প্যানাল কোর্ট ১৮৬০, বাদী গিয়াসউদ্দিন, পরিচয়পত্র নং-৮২৪২৬৮৫৬৬৪, জন্ম তারিখঃ ০১/১০/১৯৬১ইং, তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ এসআই বিপি নং-৮৯১৮২২৫১৩৪, (৪) যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৩৯, তারিখঃ ১৪/১১/২০২৩ইং, ধারা ১৫ (৩), ২৫/ডি, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা বদরুল হাসান, বিপি নং-৮৩০২০০৫৬১৬, আর পুলিশের চাঁদাবাজি কিস্তির টাকা দিয়ে দিলে মামলা পাঠানো বন্ধ হবে এ বলে, ১৯/১২/২০২৩ইং তারিখে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে এসআইকে ২ কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দিলে ৪টি মামলার পরে আর কোন মামলা পাঠায়নি। এক পর্যায়ে ১৩/০২/২০২৪ইং তারিখ আমি মামলাগুলোতে জামিনে মুক্ত হয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ওসি ফরমান আলী ও মাজহারুল ইসলাম তারা আমাকে মামলা দিয়ে নারী পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের খুশি করায় উক্ত পাচারকারী নারী ব্যবসায়ীরা ২ ওসিকে খুশিতে এক সাথে ওমরা হজ্জে সৌদি আরব পাঠিয়েছে।

 

মানব পাচারকারীদের মুখে ২ ওসির প্রশংসা ও আমাকে হুমকি

এমতাবস্থায় গত ২৫/০২/২০২৪ইং তারিখ সকাল ৯ ঘটিকায় রায়শা বাজার এক মামলার হাজিরা সূত্রে কোর্ট কাচারী এলাকায় সাজ্জাদ ও সাইদুলগংদের সাথে আমার দেখা হলে কথা বলার এক পর্যায়ে সাজ্জাদ, পিতাঃ জাহাঙ্গীর তারা হুমকির সুরে বলে ওসি মাজহারুল ইসলাম ও ফরমান আলী তারা এসআই থাকাকালে নারী ব্যবসায়ী নিউ পপুলার আবাসিক হোটেলেই থাকত। সেই হতে স্যারদের চিনি। তাছাড়া আমাদের হোটেলগুলো নিরাপদে রাখতে স্যারদের ২০% লভ্যাংশের টাকা দেই। মাজাহার ও ফরমান আলী স্যার আমাদের কথা না শুনে কি আপনার কথা শুনবে তাছাড়া স্যারদের মনোরঞ্জনের জন্য পার্সোনাল ফুর্তি করতে সুন্দরী মেয়ে লাগে। তাই স্যারেরা সম্মান রক্ষার্থে অন্য কোথাও যায় না। আমরা স্যারদের দেখে রাখি বিনিময়ে স্যাররা আমাদের খেয়াল রাখে। আপনি আলমগীর সেলিম আমাদের নারী ঘটিত ব্যবসা নিয়ে বাড়াবাড়ি কইরেন না তাহলে মান সম্মান আর জীবন দুটোই হারাবেন। ফরমান ও মাজহার স্যারদের অনেক ক্ষমতা তারা ডিএমপি ওসিদের নেতা। বেশি বাড়াবাড়ি করবেন তাহলে বাংলাদেশের যে কোন থানার যে কোন ওসিকে ফোন করে দিবে আপনার নামে একের পর এক মামলা হবে।

ওসি ফরমান আলীর চাঁদাবাজির কৌশল

সাজ্জাদ ও সাইদুলগণদের সাথে আসা কয়েকজন নারী ব্যবসায়ী কথা বলার ছলে তথ্য দেয় যে, ওসি ফরমান আলীর বডিগার্ড মাহফুজ একজন পুলিশ সদস্য। তার কাছে থাকা মোবাইল নম্বর-০১৯৬৬-৮৯৬০৯৮ উক্ত সিম দিয়ে বডিগার্ড মাহফুজকে দিয়ে ফরমান আলী যখন যে থানায় পোস্টিং হয় যেমন মতিঝিল, গুলশান, যাত্রাবাড়ি থানা সহ ডিএমপির বিভিন্ন নারী পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোর সিন্ডিকেট, জুয়ারস্পট সহ নানাবিধ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ হতে উক্ত নাম্বার সহ প্রায় আরো ৪টি মোবাইল সিম রয়েছে যেগুলো দিয়ে অন্য মানুষের নামে নিবন্ধিত। উক্ত সিম গুলো দিয়ে ফরমান আলী মাহফুজকে দিয়ে কথা বলিয়ে ঘুষ, চাঁদার এককালীন, সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক টাকা উত্তোলন করে। মাহফুজের উক্ত সিম ইন্টারনেটে একটি কৌশল করিয়ে রেখেছে এনড্রয়েড সেটের টু কলারে তার ০১৯৬৬-৮৯৬০৯৮ নাম্বারে সার্চ দিলে বা যে কেউ এনড্রয়েড মোবাইল সেট হতে মাহফুজকে কল দিলে উক্ত ব্যক্তির সেটে ভেসে উঠে লেখা মাহফুজ ভাই গুলশান থানার ওসি। যাহা ফরমান আলী কৌশল করে এবং কারসাজি করে রেখেছে যাতে চাঁদার টাকা অপরাধীদের কাছ হতে পেতে দেরী না হয় সময় মতো চাহিদা মোতাবেক পেয়ে যায়। ওসি ফরমান আলী যখন যেখানে যায় ঐ বডিগার্ড মাহফুজকে বদলি করিয়ে সেখানে নিয়ে যায়। এমন বডিগার্ড মাজহারুল ইসলাম কাজলেও বডিগার্ড, গাড়ির ড্রাইভার, একাধিক পিয়ন রয়েছে। যাদেরকে দিয়ে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ হতে টাকা পয়সা তুলে এবং তাদের একাধিক সিম ও রয়েছে। উক্ত মাহফুজের সিমের কল লিস্ট দ্রæত বের করে আনলে সত্যতা পাওয়া যাবে। উক্ত দুই ওসির ইনকামের অর্থ তারা গোপনে আত্মীয় স্বজন সহ বিভিন্ন কায়দায় অবৈধ ইনকামের শত শত কোটি টাকা নামে বেনামে রেখেছে। ডিএমপি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি ফ্ল্যাট বাড়ি নামে বেনামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাহা অতি গোপনে নিরপেক্ষ সঠিক তদন্ত করে জনসম্মুখে এনে সরকারি কোষাকারে অবৈধ অর্থগুলো দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরী প্রয়োজন।

সততা উদঘাটনে পুংখানুপুংখ তদন্তের সুপারিশ

মামলাগুলোতে আসল ঘটনা গোপন করে আমাকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ফাসানো হয়েছে তার আসল সত্যতা পাওয়া যাবে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ও তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতারের সময় ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ভয়েজ কল রেকর্ড, এবং যাত্রাবাড়ি থানার সিসি ফুটেজ, কোর্ট লকাপের সিসি ফুটেজ থানা হতে মামলার ফরওয়ার্ডিং এর পাঠানোর সময় গড়মিল, মামলার ঘটনার সময়ের মামলা রেকর্ড করা, সাবেক যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মফিজুল ইসলাম ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা চার মামলার পৃথক এসআই ও তাদের সঙ্গী ও ফোর্সগনদের জবানবন্দি মামলাগুলোতে দেখানো ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম কিনা? তা আমার ব্যবহৃত মোবাইল সিম ০১৮৬৫-৮১০১৫৪, ০১৯৭৭-৯৯৩৯৯৩ সিম কললিস্ট যাচাই পূর্বক তদন্ত করা ও ঘটনা স্থলের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সিসি ফুটেজ যাচাই পূর্বক ও আমি উক্ত মামলাগুলোর আসামীদের সাথে কোন দিন চলাফেরা বা তাদের সাথে আমার চেনা জানা ফোনে বা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে কথা বার্তা দেখা শোনা আছে কিনা? এবং আমি বা আমার পরিবার কোন দিন আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল ছাড়া অন্য কোন দল বিএনপি করেছি কিনা? তা খতিয়ে দেখা ও দ্রæত বিচার মামলায় উদ্ধার দেখানো ছুড়া (চাকু)র গায়ে আমার হাতের ছাপ কিনা সিআইডির ল্যাবে যাচাই পূর্বক চাকুর আসল মালিক বের করে ঐ মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

প্রকাশ থাকে যে

আমাকে হত্যা, গুম বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ যে কোন ক্ষতি সাধনের জন্য ভবিষ্যতে দায়ী থাকবে ১। নারী ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধীদের গোপন সহায়তাকারী ওসি মাজহার ২। ওসি ফরমান আলী ৩। নারী ব্যবসায়ী জাভেল হোসেন পাপন ৪। জাবেদ হোসেন মিঠু ৫। সাজ্জাদ ৬। জামাল ৭। সরকার জামাল ৮। কবির খান ৯। মিরাজ ১০। শাকিল ১১। সাইদুল ১২। পলাশ ১৩। সবুজ ১৪। অত্র অভিযোগে উল্লেখিত মোবাইল সিম নাম্বার দেওয়া ব্যক্তিদ্বয় সহ পূর্বের পত্রের উল্লেখিত অভিযোগে ব্যক্তিদ্বয় কেননা অবৈধ ঘুষ, চাঁদার টাকা কামানোর লালসায় নানাবিধ অপরাধীদের গোপনে সহযোগিতা করে আসায় আর আমি নানাবিধ অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর লিখিত আবেদন অভিযোগ পত্র বিভিন্ন সময়ে সরকারী দপ্তরে দিয়ে থাকি বিধায় দুই ওসি মাজহার ও ফরমান আমার উপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ওসি মাজহার ও ফরমান আলী উক্ত নারী ঘটিত ব্যবসায়ী পাপন ও মিঠুগংদের সহ দেশের আনাচে কানাচে দুই ওসির রয়েছে অপরাধ জগতের নানা ধরনের অস্ত্রধারী কিলার ও ছোট বড় শত শত নারী পুরুষ মানব পাচারকারী ও সন্ত্রাসী মাস্তান দাগী দোষী অপরাধী। আমি জেল হতে বের হয়ে আসার পর হতে উক্ত পত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় সহ সাজ্জাদ, মিঠু ও পাপনগংরা মাজহার ও ফরমান আলীর গোপন নির্দেশ ও সহায়তায় আমাকে হত্যা বা গুম করা সহ নানামুখী মিথ্যা মামলার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিধায় আমার যে কোন ক্ষতি সাধন হলে দায়ী থাকবে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় পাপন, মিঠু, সাজ্জাদগং গোপনে ও প্রকাশে আমার নানাবিধ ক্ষতি সাধন করবে প্রায় সময়ই এমন হুমকি ও দিয়ে আসছে বিধায়ই তারা দায়ী থাকবে ।

দুই ওসি ও নারী ঘটিত ব্যবসায়ীরা আমাকে যে কারনে হত্যা করতে চায়

আমাকে মামলা, হামলা ও হত্যা সহ নানা ষড়যন্ত্রের কারণ হচ্ছে তারা এক সময় আর্থিক অস্বচ্ছল ছিল। পুলিশে চাকুরী নেওয়ার পর হতে ধীরে ধীরে ওসি মাজহার নানাবিধ অপরাধীদের অতি গোপনে সংগঠিত করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এক পর্যায়ে নারীদের মানবাধিকার রক্ষায় নারায়ণগঞ্জ টানবাজার ও ঢাকা ইংলিশ রোড কান্দুপট্টি পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়। ঐ সময় ডিএমপির কিছু নারী ব্যবসায়ী দালাল কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুর রোডে আবাসিক হোটেল ছোট মাসনবী ও বড় মাসনবী এবং ছোট কেরাউন বড় কেরাউন ঐ সময় পতিতালয়গুলো বন্ধ হলে সুবিধা বঞ্চিত কিছু পতিতালয়ের দালাল উক্ত হোটেলগুলোতে আস্তানা করে কৌশলে গোপনে সর্বাত্ম ম্যানেজ করে হোটেলের অন্তরালে মিনি পতিতালয় চালু করে দালালদের মধ্যে উক্ত পাপন, মিঠু, সাইদুল, জামাল, সোহেল, সাজ্জাদের পিতা, জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে হোটেলে খদ্দের ও নারী সংগ্রহকারী স্টাফ হিসাবে চাকুরী করত। ঐ সময় ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর ছাত্র জীবন ছিল। ঐ হোটেলে ছিল মাজহার ও ফরমান এর মাঝে মধ্যেই যাতায়াত। সেই পরিচয় সূত্রে, এক সময় পুলিশে চাকুরী পাওয়ার পর উক্ত সাজ্জাদ ও জামালগংদের সাথে গোপনে গভীর সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের দিয়ে দেশ বিদেশে নারী ব্যবসা ও মানব পাচার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। আর আমি বহু আগে হতেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থায় নারী পাচার বিরুদ্ধি কার্যক্রম করে আসছিলাম। তাই আমাকে ওরা বারবার হত্যার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একশ্রেণী নারী ব্যবসায়ী মানব পাচারকারী গড ফাদার পাপন, মিঠু ৫ হতে ৬শত নারী পুরুষ দালাল নিয়ন্ত্রন করে ডিএমপির যাত্রাবাড়ির ডেমরা, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলশান, এয়ারপোর্ট সহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় ঐ সকল নারী ব্যবসায়ীদের দিয়ে বিভিন্ন ভবন দালান, ভাড়া করিয়ে সেখানে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করিয়ে তিন ক্যাটাগরিতে মেয়ে মানুষ দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য হোটেলের অর্ন্তরালে পতিতালয় স্থাপন করিয়া সরকারি অনুমতি ছাড়া অবৈধ অর্থ কামনোর লালসায় মেতে উঠে। সারাদেশে অধিকাংশ আবাসিক হোটেল পতিতালয়ে পরিনত হয়ে উঠেছে। যে সকল হোটেলে নারীদের জবর দস্তিভাবে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন পূর্বক মেয়েদের পতিতা বানানো হয় ও দেশ বিদেশের পতিতালয়গুলোতে বিক্রি করে দেওয়া হয় ঐ সকল অপরাধ কর্ম স্থান ও ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ মূলক দেশ ও জনস্বার্থে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে লিখিত আবেদন করে আসছি। মাঝে মধ্যে নাকি তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঊর্ধ্বতন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চাপের মুখে পরে নানাবিধ ক্ষতি সাধন হয় তাই আমাকে তারা এবার হত্যার পরিকল্পনা করছে। ওসি মাজহার ও ফরমান আলী সহ নারী পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের ধারনা আমাকে হত্যা করা হলে বা অবৈধ দ্রব্যাদী বা মিথ্যা সাজানো নাটকীয় মামলা দিয়ে সারা জীবন জেলে রাখতে পারলে তাদের নারী ঘটিত, মাদকসহ অবৈধ নানাবিধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে না। মহোদয় আমি বারবার আপনাদের বরাবর পত্রে আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আসছি। কিন্তু নিরাপত্তা পাচ্ছি না। যার কারণ হচ্ছে অপরাধীদের অপরাধকর্ম স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা জানার পরেও সরেজমিনে উক্ত অপরাধকর্মগুলো চিরতরে বন্ধ হোক এমন ভূমিকা দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পালন করতে চান না। অপ ক্ষমতাবান, অসাধু পুলিশ সদস্য ও নেতাদের চাপের মুখে পরে ।

যাত্রাবাড়ির ওসি সহ অসাধু পুলিশ সদস্যরা যেভাবে নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করেন।

গত ২২/০৩/২০২৪ইং তারিখ রোকেয়া নামে এক মহিলা কয়েকজন মহিলার সাথে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বলতেছে আল্লায় আমাকে অল্পতে বাঁচাইছে। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে রোকেয়া বলে যাত্রাবাড়ি ৮২/এ, ইউনুস সুপার মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উক্ত ভবন হতে রুমা একজন মেয়ে বয়স আনুমানিক ১৪ বছর দৌড়ে রাস্তায় এসে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। এমন সময় কয়েকজন যুবক এসে টানা হেঁচড়া করে মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বাঁচানোর চেষ্টা করি তখন মেয়েটি জানায় তাকে ক্লিনিকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৮২/এ, ভবনের চতুর্থ তলায় নিউ পপুলার নামক আবাসিক হোটেলে আটকিয়ে কয়েকজন যুবক মিলে জোড় করে গণধর্ষণ করছিল। তাই মেয়েটি নিজের জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালাচ্ছিল। এক পর্যায় ২০-২২ জন যুবক এসে উক্ত মহিলাকে ও হোটেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেঁচড়া করে তখন উক্ত মহিলা নিজেই কোন মতো ঐ যুবকদের হাত থেকে বেঁচে ফিরে এমন সময় অনেক পথচারিরা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল। উক্ত মহিলার কথা শুনার পর আমি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাই। ঐ মুহুর্তে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার-(০১৬৮১-০১৫৪) হতে আনুমানিক সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ৯৯৯ কল করি। কল করে ৯৯৯ কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার অজ্ঞাত নামা ডিউটি অফিসারকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানাই। ডিউটি অফিসার ঘটনা স্থলে কোন পুলিশ পাঠায় নাই। এরপর (দ্বিতীয় বার) পুনরায় ১১ টা ৩০ মিনিট এর সময় আবার একই নাম্বার হতে কল করি। এবারও ৯৯৯ কনফারেন্স এর মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার ডিউটি অফিসারকে একই ঘটনার কথা জানাই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুলিশ না আসায় আবার (তৃতীয় বার) এর মতো ৩টা ২২ মিনিট এর সময় একই নাম্বার হতে ৯৯৯ কে সকল ঘটনার বিষয় জানাই। ৯৯৯ এর অজ্ঞাত নামা অপারেটর তৃতীয় বারের মতো যাত্রাবাড়ি থানা ঐ সময়কার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসারকে এবারও কনফারেন্সের মাধ্যমে জানাই উক্ত ডিউটি অফিসার এবারও ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ পাঠায়নি এবং উক্ত মেয়েটিকে উদ্ধারে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় নাই। এরপর আমার একই নাম্বার ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে যাত্রবাড়ি থানার ওসি তদন্ত জাকির এর মোবাইল নং-০১৭১২-৮৫৬৫৬১, এ তদন্ত সাহেবকে ফোন করে ঘটনার বিষয় জানাই। তাতেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় ঘটনা স্থলে কোন পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত না করায় চতুর্থ বারের মতো ৩টা ২৬ মিনিটে আবার ৯৯৯ ফোন দেই। এবার ৯৯৯ লাইন কেটে দিয়ে উনি ব্যাক করে কনফারেন্সের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ কে ঘটনার বিষয়টি জানাই। নিউ পপুলার হোটেলের নাম শুনতেই তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে তিনি আমার উপর কনফারেন্স ফোনে ক্ষেপে যান কিন্তু অদ্য পর্যন্ত তিনি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে জিম্মি থাকা আটক মেয়েদের উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেন নাই। ওসি আমার সাথে ফোনে অপেশাদারিত্ব আচরণ করেন। ঘটনা শোনার পর ফোনে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। কোন আইনানুগ ব্যবস্থা অদ্য পর্যন্ত নেন নাই। এক পর্যায়ে আমি বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উক্ত নিউ পপুলার আবাসিক হোটেল অর্ন্তরাল পতিতালয়ে ঐ দিন বিভিন্ন পাচারকারী দালালের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হতে ৬০ জন মেয়েকে দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে নানা প্রলোভন কৌশলে এনে হোটেলের বিভিন্ন রুমে আটক করে রেখে নানা ধরনের নির্যাতন পূর্বক পতিতা বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। যাহা যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম ফরমান আলী পূর্ব হতেই হয়ত জানত। তাই ৯৯৯ এর মাধ্যমে একাধিক বার নির্যাতিত ঘটনা জানানোর পরও জিম্মি থাকা আটক মেয়েদের উদ্ধারে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। উক্ত নিউ পপুলার হোটেলের পাশেই সামিউল্লাহ প্লাজায় একই ভাড়াটিয়া মালিকের সাজ্জাদ, জামাল, সাইদুল, পাপন, মিঠুগংদের আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার নাম নিউ বলাকা (সাবেক প্রভাতী)। উক্ত হোটেল দুটিতে যে সকল মেয়েরা ১। কণা ২। আয়শা ৩। লামিয়া ৪। সোয়া ৫। রেশমা ৬। সাথী ৭। ঝর্ণা ৮। রিয়া ৯। বর্না ১০। রুপা ১১। শিলা ১২। রিনা ১৩। পারভীন ১৪। বিজলী ১৫। নাসরিন ১৬। পুতুল ১৭। রোমানা ১৮। নিশু ১৯। লাকী ২০। নুসরাত ২১। রেখা ২২। শিউলী ২৩। রিপা ২৪। শান্তা ২৫। মলিনা ২৬। পলি ২৭। ডালিয়া ২৮। স্মৃতি ২৯। মায়া ৩০। পপি ৩১। সুইটি ৩২। হ্যাপী ৩৩। কাজলী ৩৪। কাকলী ৩৫। আমেনা সহ আরো ১৫-২০ জন সেখানে বিভিন্ন সময় আটক জিম্মি থাকা কোন মেয়ে যদি প্রতিবাদ করে বা দালালদের আইনি জটিলতার আশংঙ্কা থাকে তাহলে হোটেল মালিকপক্ষ পাচারকারীরা তাদের সমন্বয়ক স্থানীয় থানার অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের পছন্দমতো দুই একজন মেয়ে তার সাথে কিছু

পাচারকারীদের জিম্মি দশায় নিউ পপুলারে বর্তমানে আটক রয়েছে

খদ্দের মিলিয়ে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে ডিএমপি এ্যাক্ট এর ৭৪ ধারায় গ্রেফতার করে ১০০ ধারা মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করে হোল্ডিং মালিক বা ভবন ভাড়াটিয়া মালিকগংদের বিরুদ্ধে মানব পাচার বা অন্য কোন আইনে মামলা দেওয়া হয় না। উক্ত স্থানে পুনরায় একই কায়দায় পতিতালয় স্থাপন করিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ ব্যবসা করে থাকে। স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ এর নারী ঘটিত ব্যবসায়ীদের সাথে গোপন সুসম্পর্ক থাকায় এ ধরনের অপকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। আটক মেয়েদের যে কোন সময় দেশ ও বিদেশের অসামাজিক কার্যকলাপ চলা বিভিন্ন পতিতালয়, আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসায়, অসামাজিক কাজের জন্য পাচার করা হতে পারে। সেখানে কোন মেয়ে যদি দালালদের কথা না মেনে বা না শোনে তাহলে তাদের টর্চার সেলে নির্যাতনের ফলে কোন না কোন মেয়ের জীবনে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

সুপারিশমালাঃ

(১) মিথ্যা মামলা প্রদানকারী, গ্রহণকারীও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বর্তমান এবং পূর্বে যাত্রাবাড়ি থানায় ওসি মাজহার ও ফরমান আলীর দেওয়া মিথ্যা সাজানো মামলা গুলো প্রত্যাহার পূর্বক আমার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। (২) যাত্রাবাড়ী ও ডিএমপি সহ দেশব্যাপী নারী পাচারকারী জাভেল হোসেন (পাপন), আবু কালাম (জয়)গংদের সহ দেশ ব্যাপী সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে তাদের সকল আইন বর্হিভুত নারী গঠিত পতিতা, মাদক, জুয়া ব্যবসার মতো অপকর্ম বন্ধ করা সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও গণমাধ্যমে প্রচার করা । (৩) মিথ্যা মামলা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে খোঁজ খবর নেওয়া ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাদের কর্ম দেশদ্রোহী অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা ও জাভেল হোসেন পাপন (৪২), জাবেদ হোসেন মিঠু (৪৬), উভয় পিতাঃ মৃত আতাহার হোসেন, তাদের ঢাকা জেলা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন নাজিরাবাগ মাঠের কোণায় ৭ তলা ভবন ও ওয়াইজ ঘাট সাউথ সিটি মার্কেট এর নীচ তলায় দোকান সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই ভাইয়ের ফ্ল্যাট জমিজমা নামী দামী প্রাইভেট কার জিপ অবৈধ ইনকামে কিনা তারা টোকাই হতে বর্তমানে অর্ধ শতকোটি টাকার মালিক। উক্ত পাপন, মিঠু, সাজ্জাদ, সাইদুল, জামাল, মাজহার, ফরমান আলী গং এর অবৈধ ইনকামের অর্থ সরকারের কোষাগারে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৪) ক্ষমতার অপব্যবহার কারী অপরাধীদের সহায়তা কারী যাত্রাবাড়ী থানার বর্তমান বি, এম ফরমান আলী বিপি নং-৭৫০১০৩৪৫৩৬ ও সাবেক মাজহারুল ইসলাম (কাজল) বিপি নং-৭৬০২০৩৪৫০৭ অফিসার ইনচার্জ গংদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৫) যাত্রাবাড়ি থানার মামলার মিথ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে অসত্য সাজানো বক্তব্য দিয়ে একজনের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ও আদালতে সাজানো মামলায় মিথ্যা তথ্য প্রেরণ পূর্বক সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ব্যক্তিবর্গের মুখোশ উন্মোচন করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা (৬) সংস্থার কর্মীগণ অপরাধ অনুসন্ধান পূর্বক তাহা নির্মুলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাবরে যে আবেদন করা হয়ে থাকে উহার ঘটনাস্থল সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৭) নারী, মাদক, চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসায়ী জাভেল হোসেন (পাপন), জয়, সাজ্জাদ, সাইদুল, জামাল, জাবেদ হোসেন মিঠু, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, জুয়েল রানা, সবুজ ওরফে মুন্না পলাশগং সহ নানাবিধ অপরাধীদের গোপন সহায়তাকারী ডিএমপির ওয়ারী ডিভিশনের যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ বি.এম ফরমান আলী, ও বর্তমান গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল) ও যাত্রাবাড়ি থানার ইনেসপেক্টর (অপারেশন) ও ইনেসপেক্টর তদন্ত এর অবৈধ সম্পদ ও অর্থের অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৮) দেশ ব্যাপী যে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নানাবিধ অপরাধ টিকিয়ে রাখতে অপরাধ তথ্য অনুসন্ধানকারী মানবাধিকার কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ উক্ত মামলায় সাজানো স্বাক্ষী ও মিথ্যা চার্জশীট দিয়ে যেসকল নানাবিধ হয়রানি করছে। সে সকল অসাধু স্বার্থনিবেসী র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবির অসাধু সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। (৯) হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংস্থার জনস্বার্থে অপরাধ অনুসন্ধান কার্যক্রমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ সহায়তা করা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দপ্তরে প্রেরিত আবেদনের তথ্যের বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত পূর্বক দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। (১০) জনস্বার্থে প্রেরিত আবেদন পত্রের উল্লেখিত ঘটনার বিষয়াদি সরজমিনে সত্যতা যাচাই পূর্বক অপরাধ কর্ম নির্মুল করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (১১) হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন সংগঠনসহ সকল মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা বিধানসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা করা।

পরবর্তী পদক্ষেপঃ

(ক) যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার নিউ পপুলার, নিউ বলাকা (প্রভাতী), নিউ মেঘনা, আয়শা মনি, শাহীন, আল হায়াত, ফ্যাসিন, রোজ ভিউ, নাহিদ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেলের অন্তরালে অবৈধ মিনি পতিতালয় ও পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, যশোর, রাজবাড়ী দৌলদিয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন পতিতালয়ে নারীদের সরকারি আইন বর্হিভূত জিম্মি দশায় বাধ্য করে পাচারকারীদের বন্দিশালায় আটক হওয়া মেয়েদের উদ্বার ও পাচারকারীদের মুখোশ উন্মোচনের যাবতীয় ব্যবস্থা করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দারস্থ হওয়া এবং তাহা নারী ব্যবসায়ী ও পাঁচারকারী দালালদের সমাজে চিহ্নিত করে জনসচেতনা গড়ে তোলতে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা ।

 

(খ) যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নারী ব্যবসায়ী পতিতালয় হোটেল ও ফ্ল্যাট বাসা হতে জাভেল হোসেন পাপন, জামাল, সাজ্জাদ, সাইদুল, জাবেদ হোসেন মিঠু, হুমায়ুন কবির ওরফে মিরাজ, শাকিল গংরা যে সকল মেয়েদের দেশ বিদেশের পতিতালয়ে বা বিভিন্ন কায়দায় দেহ ব্যবসার জন্য পাচার করছে খোঁজ খবর নিয়ে সে সকল নারীদের তালিকা তৈরি করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রনালয়ে পেশ করা বা তাদের উদ্ধারে দেশ ও জনস্বার্থে আদালতের দারস্থ হওযা। (গ) অপরাধীদের সহায়তা করে যে সকল র‍্যাব, পুলিশ সদস্য ও তাদের সোর্স এবং দেশদ্রোহী মাদক কারবারী, চাঁদাবাজ, জুয়া ব্যবসায়ী, ভুয়া র‍্যাব, ডিবি ও ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি, মালিক হয়েছে তাহার তথ্য উৎঘাটন করে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের লিখিত ভাবে তালিকা তৈরি পূর্বক অবগত করা। (ঘ) স্থানীয় অসাধু, যে সকল আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা নানাবিধ অপরাধ কর্মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে যে ভাবে অপরাধীদের সহায়তা করে দেশের সৎ, দায়িত্বশীল, কর্মকর্তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করছে ঐ সকল তথ্য উপাত্ত উৎঘাটন পূর্বক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন মহল ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে অনুসন্ধান পত্র প্রেরণ করা, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা ।(ঙ) অপরাধীদের গপ্পরে পরে সমাজে যাহারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, তাদের পাশে দারস্থ হয়ে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার মাধ্যমে আইনী সহায়তা দেওয়া ।(চ) দায়েরকৃত মিথ্যা নাটকীয় মামলার এজাহার হতে আমার নাম কর্তন পূর্বক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত বর্তমান ও পূর্বের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের দারস্থ হওয়া।

মোঃ আলমগীর (সেলিম) উল্লেখিত বিষয়ে প্রেরিত আবেদনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানান পুংখানোপুংখ ভাবে তদন্ত পূর্বক আমার জীবনের নিরাপত্তা বিধান সহ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা হতে আমার নাম প্রত্যাহার করা সহ উল্লেখিত পূর্বে দেওয়া অভিযোগগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে নিউ পপুলার ও বলাকা, মেঘনা, আল জাকির, নাহিদ, শাহিনসহ দেশের অন্যান্য আবাসিক হোটেল নামক পতিতালয়, ফ্ল্যাট বাসায় আটক ও পাচার হওয়া নারীদের উদ্ধার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com