সিএনএম প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টকর্মী আমিনুল ইসলাম কালু হত্যাকান্ডে দায়ের করা মামলার রায়ে স্ত্রীসহ ৩জনকে যাবজ্জীবনসহ পৃথক ধারায় কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে নিহতের দন্ডিত স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে পৃথক দুটি ধারার মধ্যে একটিতে মৃত্যুদন্ড ও আরেকটিতে অর্থদন্ডসহ কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন দন্ডিত চার আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষনা করেছেন।
দন্ডিতরা হলো-নিহত আমিনুল ইসলাম কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম(২৭) খুনের সহযোগী আতিকুল ইসলাম আতিক(২৭), মিজানুর রহমান মিতু(২৪) ও পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশ(৩০)।
রায় ঘোষনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রশিকিউটর জাসমীন আহমেদ জানান, রায়ে পলাশকে ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে এবং ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয় জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেছেন। রিক্তা বেগমসহ ৩জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ ৩০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে অর্থদন্ড করা হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে আরো ২ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেছেন। এছাড়াও দন্ডিত এ তিন আসামীকে ২০১ ধারায় আরো ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডসহ ৫হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেছেন।
মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই শামসুল হক জানান, আমিনুল ইসলাম কালু (৩৫) ও রিক্তা বেগমের ১০ বছরের সংসারে ইব্রাহীম(৭) নামে তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। আমিনুল ইসলাম কালু গার্মেন্টে কাজ করত আর তার স্ত্রী রিক্তা বেগম বাসায় রেজাউল করিম পলাশ,আতিকুল ইসলাম আতিক ও মিজানুর রহমান মিতুকে ম্যাচ খাওয়াত। এতে রেজাউল করিম পলাশের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে। এই সম্পর্কে আমিনুলকে হত্যা করে রিক্তা বেগমকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় রেজাউল। এতে রেজাউল তার আরো দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালের ১ মার্চ বিকেলে আমিনুলকে বাসা থেকে ডেকে সোনারগায়ের কাফুরদী এলাকায় নিয়ে জবাই করে হত্যা শেষে লাশ নদীর পাড়ে ফেলে দেয়। ২মার্চ সকালে আমিনুলের মৃতদেহ নদীর পাড় থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।