ধর্ষিতা নারী ছদ্মনাম রুমা তিনি “ক্রাইম নিউজ মিডিয়া”কে জানান, বিগত ২৫/০৯/২০২০ইং তারিখে ইসলামী শরা শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিনমুলে মোঃ রুবেল হোসেন, পিতা—জয়নাল আবেদীন, সাং—চরমোহন, পোস্ট—ঘড়িষার, থানা—নড়িয়া, জেলা—শরিয়তপুর এর সাথে আমার বিবাহ হয়।
বিবাহের কিছুদিন সুখে শান্তিতে কাটলেও আস্তে আস্তে আমার উপর নামিয়া আসে যৌতুকের অভিশাপ। বিবাহের কিছুদিন পরে মোঃ রুবেল হোসেন আমার সাথে নানা কৌশল খাটাইয়া আমার নিকট হইতে, আমি বিগত ১০বছর বিদেশের ৩ রাষ্ট্রে ঘুরে চাকুরী করে জমানো প্রায় ১০,০০,০০০/— (দশ লক্ষ) টাকা আমার কাছ হতে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে ২২/১২/২০২০ইং তারিখে আমার ছোট বোনকে ফুসলাইয়া ভুল বুঝাইয়া বিবাহ করেন।
উক্ত বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই মোঃ রুবেল হোসেন ও তার বন্ধুদের কু—প্ররোচনায় আমাকে একবস্ত্রে আমার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দেয়। একপর্যায়ে আমার বোনকেও তাড়াইয়া দেয়। পরবর্তীতে আমি ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকায় যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারামতে সি.আর. ৫৫৩/২০২২ নং মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলা দায়ের করার পর রুবেলগংদের সাথে আমার বিবাহের বিষয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলছিল এমতাবস্থায় তাদের অত্যাচারে নিরুপায় হয়ে আমি গত ০৯-০৮-২০২৩ইং তারিখে রুবেলগংদের বিরুদ্ধে মহা—পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগ দায়ের করার পর উল্লেখিত ব্যক্তিগণ অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাহারা কৌশলে আমার সাথে আপোষ-মীমাংসার কথা বলিয়া রুবেলের সাথে পুনরায় মিলায়াইয়া দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়া আমাকে ঢাকা মহানগর কদমতলী থানাধীন জুরাইন রেল গেইট হতে রুবেলগংরা গত ০৭/০৭/২০২৩ তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৪ ঘটিকায় সময় একটি সি.এন.জিতে করে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়াইয়া কদমতলী থানাধীন একটি ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে প্রথমে একটি রুমে বসায় সেখানে যাওয়ার পর রুবেলগংদের সাথে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন নারী পুরুষ দেখতে পাই। কথাবার্তার এক পর্যায়ে রুবেলগং আমাকে বলে তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা মোকাদ্দমা করে তাদের অনেক ক্ষতি সাধান করেছি।তাই আজ আমাকে মামলার সাধ মিটাইয়া দিবে এই কথা বলিয়া আমাকে মারধর করে এবং জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নানা ভয়-ভীতি দেখাইয়া আমাকে (১) মোঃ রুবেল হোসেন, পিতা-জয়নাল আবেদীন, সাং-চরমোহন, পোস্ট-ঘড়িষার, থানাঃ নড়িয়া, জেলা—শরিয়তপুর (২) মোঃ সাইদ মিয়া (৩৫), পিতা—মকফর মেলকার, মাতা—মালেকা বেগম, গ্রাম—বিঝাারী, পোষ্ট—বিঝারী, থানা—নড়িয়া, জেলা—শরিয়তপুর, বর্তমান ঠিাকানা—হাসনাবাদ বাজার, (৩) আনোয়ার (৪০), পিতা—মুসলেম ব্যাপারী, সাং—ভোজেশ্বর, থানা—নড়িয়া, জেলা—শরিয়তপুর, (৪) হাবিবুল ইসলাম রুবেল (৫২) পিতা—মুসলেম উদ্দীন, মাতা—লুৎফা বেগম, এন.আই.ডি নং—১০১৫৮৬১৫৩৫, পুকুরপাড়, থানা—খিলগাঁও, ডি.এম.পি. ঢাকা, (৫) নুরু পাইক (৩৫), পিতা—আব্দুল মান্নান পাইক, মাতা—হালিমা বেগম, সাং— চামটা, থানা—নড়িয়া, জেলা—শরিয়তপুর, বর্তমানে শ্যামপুর, থানা—কদমতলী, ঢাকা, (৬) আকাশ মিয়া (ছদ্মনাম)(৫৫)গংরা একের পর একজন আমাকে ধর্ষণ করে।
আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিভিন্ন কাগজে আমার সই সাক্ষর নিয়া বাসা থেকে বাহির করিয়া একটি গাড়িতে তুলে উক্ত শ্যামপুর ব্রীজ সংলগ্ন ট্রাক স্টান এলাকায় আমাকে গাড়ির থেকে নামিয়ে তারা চলে যায়। এক পর্যায়ে কদমতলী থানায় গিয়ে একটি মামলা দায়ের করি, যাহার মামলা নং—১৫, ধারা ৭/৯(৩) ২০০০ (সংশোধীত/২০২০)। কদমতলী থানায় মামলা হওয়ার আমাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে পুলিশ ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু মামলার ১নং আসামী রুবেল গ্রেফতার হয়ে জেল—হাজতে থাকলেও অন্যান্য পলাতক আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছেন না মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।