সিএনএম ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাবেশের নামে বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃঙ্খলা করে এবং জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে তাহলে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। এত দিন ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।’
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কীভাবে হয়েছে। ১কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো এদেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ ও জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আমরা ৫ বছরে ৫০ দিন ঘরে থাকতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারেনি।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে, যে দিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। শহীদ সিরাজ উদ্দিন ও শহীদ নিজাম উদ্দিন দুইজনেই সাংবাদিক। এই দুইজনকে কিন্তু আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষণা এবং ঢাকা দখলের জন্য এই দিনটি কেন বেছে নিল আমরা জানি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূল ভিত্তি। তিনি বলেছেন, শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা। আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রক্রিয়া পদে পদে বাধার মুখে রয়েছে। কণ্টকাকীর্ণ পথ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।