সিএনএমঃ
বিয়ের সপ্তাহ না যেতেই শ্বশুরবাড়িতে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েন নববধূ। সেদিনও স্ত্রীর পেটে ব্যথা বাড়তে থাকলে ক্লিনিকে নেন স্বামী। করা হয় আলট্রাসনোগ্রাম। আর রিপোর্ট বের হতেই অবাক হন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জানতে পারেন নববধূর পেটে ৯ মাসের সন্তান। করতে হবে সিজার। তবে স্বাভাবিকভাবেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন এ নববধূ।
ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার মদনা গ্রামের। রোববার রাতে উপজেলার মডার্ন ক্লিনিকে সন্তান প্রসব করেন ওই নববধূ। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্বামীর পরিবারে।
প্রসূতির বাড়ি দর্শনা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামে। তার স্বামী মদনা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। ২৫ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় কন্যাসন্তান প্রসব করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ের পেটে সন্তানের বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি স্বজনদের। আর মেয়েপক্ষ প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ছেলের পরিবারের।
পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু সাইদ মিটু বলেন, ২৫ আগস্ট মেয়েটির বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে আসার পর কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এ নববধূ। ঘটনার দিন রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নববধূর পেটে ব্যথা শুরু হলে দর্শনা মডার্ন ক্লিনিকে নেন স্বামী। সেখানেই তার আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। রিপোর্ট বের হলে জানতে পারেন মেয়েটির পেটে ৯ মাসের বাচ্চা রয়েছে। পরে ওই রাতেই স্বাভাবিকভাবে কন্যাসন্তান প্রসব করেন ২৫ দিন আগে বিয়ে হওয়া এ মেয়েটি।
ছেলের বাবা বলেন, মেয়ের পরিবার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছি। নবজাতক ও মা দুজনই ক্লিনিকে রয়েছেন। তারা সুস্থ হলেই বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।