নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারে অভিযানে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরে এ ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে অভিযানের খবরে সোমবার (১৩ জুন) ভোর থেকে আদমজী সড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে মুখোমুখি অবস্থানে যায় তারা। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সড়ক অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, পুলিশের ওপর মসজিদের মুসল্লিদের হামলার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মির্জা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শনিবার (১১ জুন) রাতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১২০/১২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনতে সোমবার
সকালে অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযান ঠেকাতে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। বেলা সাড়ে ১১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নবীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে ভারতে। ভারতের বিষয় ভারতে থাকুক। এ নিয়ে আমরা নিজেদের দেশে বিশৃঙ্খলা না করি। এ কথা শুনে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হলে প্রথমে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তারা জুতা নিক্ষেপ করে। পরে তার ওপর হামলা চালিয়ে গণধোলাই দেন মুসল্লিরা। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হাকীম মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনও আহত হয়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে মসজিদ কমিটির সভাপতির বাসায় নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় উত্তেজিত মুসল্লিরা।