লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় কেতকীবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ফেসবুক লাইভে এসে লাঠিপেটা করার ঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্য জয়কে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান রংপুর র্যাব-১৩-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশীর আহমেদ।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করা হয়। জয় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকিবাড়ি গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ১ জুন দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় চলাকালীন সিফাত, জয়সহ মাহবুব কেতকীবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে প্রবেশ করে কিছু শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে তারা শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান লিখনের ওপর চড়াও হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ নিয়ে পরদিন ২ জুন দুপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সালিস বৈঠকে বসেন। সেখানে সবার উপস্থিতিতে অভিযুক্ত হামলাকারীদের নাম বলে মেহেদি হাসান লিখন। পরে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা করে দেন চেয়ারম্যান।
এ ঘটনার জেরে ২ জুন সন্ধ্যায় ফোন করে মেহেদি হাসান লিখনকে ডেকে আনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হোসাইনুর রহমান হিরু, দুলু, হাবিবুর রহমান সিফাত ও জয়। পরে সত্য কথা বলায় অভিযুক্ত সহযোগী মাহবুব হোসেনকে ফেসবুক লাইভ চালু করতে বলেন সিফাত। পরে লাঠি দিয়ে মেহেদিকে বেধড়ক মারধর করেন সিফাত ও জয়। মারধর করার সময় মেহেদীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে কেতকীবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় মেহেদীকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা রাকিব হাসান পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশীর আহমেদ বলেন, ওই ঘটনার সব আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে জয়কে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।