ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান যমুনোত্রীগামী একটি বাস খাদে পড়ে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্য প্রশাসনের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাধা রাতুরি জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলা থেকে যমুনোত্রীর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বাসটি। পথমধ্যে উত্তরকাশী জেলার রিকাভু খাদের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় খাদে পড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ২৬ জন।
বাসটিতে মোট ৩০ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। তাদের মধ্যে ২৮ জন তীর্থযাত্রী ও বাকি ২ জন বাসের চালক ও তার সহকারী।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উত্তরাখণ্ড শাখার কর্মকর্তা দেবেন্দ্র পাটোয়াল জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। আহত অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দামতার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই জন এখনও নিখোঁজ আছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনতে বলা হয়েছে উত্তরকাশীর জেলাশাসককে।
এ ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গেও এ বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন ধামি।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ইতোমধ্যে ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছেন শিবরাজ। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী মোদী।