সিএনএম প্রতিবেদকঃ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা জোড়গাছা ইউনিয়নের দেবর-ভাবীকে অনৈতিক কাজ করার সময় হাতে নাতে আটক করেছে গ্রামবাসী।
পরদিন ভাবী সাবিনা নিজে বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করলে আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুরে আসামি চঞ্চলকে কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন ভেলুর পাড়া গ্রামের আজিমুদ্দিন এর ছেলে আনিসুর রহমানের স্ত্রী সাবিনার ও প্রতিবেশী দেবর হাসান মাহমুদ চঞ্চল (২৭) ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাবিনার স্বামী আনিসুর রহমান ঢাকায় মেঘনা গ্রুপে চাকরি করেন। চাকরীর জন্য সে দীর্ঘ সময় ঢাকায় থাকার কারণে তার স্ত্রী সবিনা প্রতিবেশী বাবলু প্রামানিকের ছেলে চঞ্চলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা সম্পর্কে প্রতিবেশী দেবর–ভাবি।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, বুধবার ( ১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে চঞ্চল সাবিনার বাসায় গিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা এলাকাবাসীর চোখে পড়লে এলাকাবাসী ঘরে ঢুকে চঞ্চলকে অনৈতিক অবস্থায় দেখতে পায়, পরে বাইরে এসে ঘর তালাবন্ধ করে রাখে।
স্থানীয়রা পরদিন সকালে সোনাতলা থানা পুলিশে খবর দিলে এসআই ইয়ামিন ফোর্স সহ ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ঐদিন রাত্রি সাবিনা নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার নং-১০।
বাদী সাবিনা বলেন, চঞ্চলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্ক, অপরদিকে চঞ্চল এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, আমরা এর আগেও সাবিনা ও চঞ্চলের পরকীয়া সম্পর্কের কথা শুনেছি, হাতেনাতে ধরাও পড়েছে।
সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা ঘটনার বিষয়ে জানান, সাবিনা ধর্ষণ মামলা করায় আসামি চঞ্চলকে কোটে প্রেরণ করে সাবিনাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।