প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই ১৪তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন জান্নাতুল নাঈম অনন্যা। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জান্নাতুল নাঈম অনন্যা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ব্যাপারি পাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মনির মেয়ে। ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে জিপিএ ৫.০০ এবং ৪.৮০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এরপর ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
জান্নাতুল নাঈম অনন্যা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বিচারক হব। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তবে আমার আজকের এই জায়গায় আসার পেছনে বাবা-মায়ের অবদান অনেক বেশি। আমার মা আমাকে সব সময় সার্পোট দিয়েছেন। এভাবে সার্পোট না দিলে হয়ত পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, আইনের প্রত্যেকটি বিষয় নিজে নোট করে নিয়েছিলাম। বিখ্যাত লেখকদের বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। সিনিয়রদের কাছ থেকে হেল্প পেয়েছি। মূল আইনগুলো বুঝে বুঝে পড়েছি। সঙ্গে কিছু বিষয় মুখস্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।
সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, পরিশ্রমের পর সফলতার আনন্দটা আসলেই অন্য রকম। সকলের কাছে দোয়া চাই, আমি যেন মানুষকে ন্যায় বিচার দিতে পারি।
দেশের জন্য কাজ করতে চান অনন্যা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নকে আরও বেগমান করতে সুশাসন জোরদার করা জরুরি। সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
যারা সহকারী জজ হতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সিলেবাস অনেক বড় হওয়ায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করে যেতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না। আইনগুলো অবশ্যই গুছিয়ে এবং বুঝে পড়তে হবে। সাধারণ বিষয়গুলো ও আইনের কিছু অংশ মুখস্ত করার ওপর জোর দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা যাতে ভালো হয়, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।