রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মো. হোসেন (১৮) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, পান খাওয়া আবির ও পিঞ্জিরা রাব্বি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজিব পাটোয়ারী বলেন, রায়ের বাজার এলাকায় এলেক্স ইমন ও ডাইল্লা হৃদয়ের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৩ মে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন হোসেন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। হোসেন এলেক্স ইমন গ্রুপের সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এরই জেরে আমরা এলেক্স ইমনকে গ্রেপ্তার করি।
এরপর ডাইল্লা হৃদয় গ্রুপের আসামিদের ধরতে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম টানা চার দিন নেত্রকোণা (মদন), কিশোরগঞ্জ (ইটনা), ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি ছলে ওরফে সালমান দেওয়ান, আরিফ ও হৃদয় ওরফে ডাইল্লা হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল রাতে ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) থেকে পান খাওয়া আবির ও পিঞ্জিরা রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
এসি আরও বলেন, শনিবার ছলে ওরফে সালমান দেওয়ান, আরিফ ও হৃদয় ওরফে ডাইল্লা হৃদয়কে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ডাইল্লা হৃদয় ও আরিফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ছলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদের সবার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে সকালে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন হোসেন। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। আইসিইউ বেড ফাঁকা না থাকায় ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ মে ভোরে মারা যান হোসেন।