রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক সাহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৩৮ পলাতক আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (১১ মে) বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক আমলি আদালত-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লালমনিরহাটের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জুয়েল হত্যা মামলায় পলাতক ৩৮ আসামি আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন। তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবে শুনানি শেষে তা নাকচ করেন বিচারক। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, জুয়েল হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে হামলা মামলায় এজাহারভুক্ত ৩৮ আসামি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। তারা বেশ কিছু দিন হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। বুধবার সকালে তারা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি মো. রুমেল মিয়াকে আটকের পর ৩৭ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। জামিন পেতে জেলা জজ আদালতে আমরা আপিল করব। এর মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন আরও ১২ জন। তাদের মধ্যে জামিনে রয়েছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজারের বাসকল এলাকায় শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।