মোবাইল ফোনে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বাবুল খান (৬২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনসহ তিনটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার বাবুল খান রংপুর জেলার বাসিন্দা। তিস্তা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পরিচয়ে গরু নিলামে কেনার প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তিনি রংপুর নগরীর পরশুরাম থানাধীন বুড়িরহাট রোড কোবারু কলেজপাড়া এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন
মঙ্গলবার (৩ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তিস্তা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পরিচয়ে গরু নিলামে বিক্রয়ের জন্য তিস্তা এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ফোন দিয়ে সিডিউল কেনার জন্য সাড়ে চার হাজার- টাকা করে বিকাশে নেন। বাকি টাকা বিকেলে বিজিবি ব্যাটালিয়নে এসে পরিশোধ করে গরু নিয়ে যেতে বলেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যানদের অনেকেই বিজিবি ব্যাটালিয়নে গিয়ে জানতে পারেন নম্বরটি অধিনায়কের নয় এবং এটি প্রতারকচক্রের কাজ।
এ ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল রোববার বিজিবি তিস্তা ব্যাটালিয়ন থেকে হাতিবান্ধা থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১৩ রংপুর বরাবর অধিযাচনপত্রে সহায়তা চান। র্যাব ছায়া তদন্তের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (২ মে) রংপুর নগরীর পরশুরাম থানাধীন কোবারু কলেজপাড়া এলাকায় রাতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেখান থেকে মামলার এজাহারে বর্ণিত মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারী বিজিবির ভূয়া অধিনায়ক পরিচয় দেয়া আসামি বাবুল খানকে মোবাইল ফোন ও সিমকার্ডসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। আসামি বাবুল খানকে মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও গোপন অনুসন্ধান চলছে বলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।