ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামকে নিয়ে সংবাদ না করায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই সংগঠনেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার হলের ১১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফারহান তানভীর নাসিফ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি এফ আর হল ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলামের রাজনীতি করেন।
রিয়াজুল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। মারধরের শিকার সাংবাদিক রিফাত হক অনলাইন পোর্টাল ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিফাত জানান, গত ১১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে অনশনরত মহিউদ্দিন রনির অনশন ভাঙাতে যান ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘রনির অনশন ভাঙালেন ঢাবি ভিসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, সংবাদে জয়ের নাম কেন ‘হাইলাইট’ করা হয়নি, সেটি নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফারহান তানভীর নাসিফ আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। ওইদিন ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি। পরে গতকাল (বুধবার) এফ আর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের একটি লেখা প্রকাশ করে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস । মুনেম শাহরিয়ার ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
রিফাত অভিযোগ করেন, মুনের লেখা প্রকাশ করায় সেটি নিয়ে আজ আমাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করে নাসিফ। সে বলে, ‘তুই রিয়াজুল ইসলাম ভাইয়ের (সভাপতি) গ্রুপে থাকিস, আর লেখা পাবলিশ করিস অন্য গ্রুপের নেতার (সাধারণ সম্পাদকের)। নিজের গ্রুপের নেতাদের কোনো নিউজ করিস না কেন?’ এক পর্যায়ে সে বলে, ‘তুই যদি আমার জুনিয়র হইতি তাহলে তোরে লাথি মেরে হল থেকে বের করে দিতাম’। আমি এমন কথার প্রতিবাদ করায় নাসিফ আমার তলপেটে লাথি মারে। পরে বুকে আর মুখে উপর্যুপরি ঘুষি মারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসিফ বলেন, এমন কিছু হয়নি। দুই বন্ধুর মাঝে কিছু বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমরা খুনসুটি করি, পরক্ষণে আবার মিলে যাই।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমি দুজনকে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছি এবং অভিযুক্তকে সতর্ক করে দিয়েছি।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অর্থাৎ ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক রিফাত হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, তদন্তে দোষ প্রমাণ হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।