সিএনএম প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক তরুণীকে বাসার ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আটকের নাম-পরিচয় না জানিয়েই পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে আটকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তার পরিচয় জানানো হবে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই তরুণীকে ছাদ থেকে বিল্ডিংয়ের পাশের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে গ্রিণরোডের গ্রিণলাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকতেন তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতা (২০)। তিনি মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় একজনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট জোনের এডিসি ইহসানুল ফেরদৌস।
এডিসি ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি।
মৌমিতার পরিবার অভিযোগ করে বলছে, ঘটনার সময় ছাদে বেশ কয়েকজন ছেলে উপস্থিত ছিল। আশপাশের বিল্ডিংয়ের লোকজনও ছাদে কয়েকজন ছেলেকে দেখেছে। ওই সময় ছাদে থাকা ছেলেগুলোর মধ্যে কেউ হয়তো মৌমিতার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।
পরিবার থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, করোনায় দেশে আসার পর থেকে বিল্ডিংয়ের অন্য ফ্ল্যাটের একটি ছেলে তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। ওই ছেলের পরিবারের লোকজনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তারা কোনো প্রতিকার করেননি। মৌমিতার এই মৃত্যুর সঙ্গে ওই ছেলে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে বলে পরিবার থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া যান মৌমিতা। সেখানে এশিয়া প্যাসিফিক নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। মালয়েশিয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই থাকতেন তরুণী। করোনা মহামারির করণে পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি।
কলাবাগান থানা রহস্যজনক এই মৃত্যুর প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জানিয়ে কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান বলেন, আসলে কি কারণে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে।