বরিশাল বিভাগের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৭শ কোটি টাকার প্রকল্প তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেক কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, ‘বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্ত করা হবে। এর মাধ্যমে বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জেলার ৪২টি উপজেলার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি সভায় অনুমোদন পেলে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বরিশাল বিভাগের পল্লী এলাকায় আধুনিক নাগরিক সুবিধা স্থাপনে উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ/শক্তিশালী করা, প্রকল্প এলাকায় পল্লী সড়কের ধারণক্ষমতা ও সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি/অকৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হচ্ছে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- উপজেলা সড়কের ১৪.৮৬ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ, ১৩.১১ কিলোমিটার শক্তিশালীকরণ, ৫৪৮.৬৯ কিলোমিটার পুনর্বাসন, ৪০.০৮ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণ ও ৪৬ কিলোমিটার আরসিসি, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কের ৫ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ, ৫ কিলোমিটার শক্তিশালীকরণ, ১৩১.১৯ কিলোমিটার পুনর্বাসন, ২২.০৫ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণ ও ৪ কিলোমিটার আরসিসি, ৪৮৪ মিটার সেতু পুনর্বাসন ও ২৩৪৬ মিটার সেতু পুনর্নির্মাণ, ১৩৪ মিটার কালভার্ট পুনর্বাসন ও ১২৮৯ মিটার কালভার্ট পুনর্নির্মাণ, ৯ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশন ও ২৩.৬০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২৭৫টি বাস-বে নির্মাণ ও ১৭৭টি ইন্টারসেকশন উন্নয়ন, ১ হাজার ৫০০টি ট্রাফিক সাইন, ৪১০০টি গাইড পোস্ট, ১ লাখ ১০ হাজার ৫০০ বর্গমিটার রোড মার্কিং/পেইন্টিং এবং ৭টি অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বরিশাল বিভাগের সব উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ ও পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং স্বল্প/দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া সার্বিকভাবে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস, স্থানীয় জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন তথা আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।