1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু চিরন্তন সত্য — জিএম জামাল

দেশকে ২০৪১ সালের আগে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১.৪৪ পিএম
  • ২৭৪ বার পড়া হয়েছে

সিএনএম ২৪ডটকমঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ গঠনে সকলকে দেশপ্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য তাঁর সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বর্তমানে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই নিজেদেরকে দেশপ্রেমিক ও নির্ভীক হিসেবে গড়ে তুলবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের আগে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরের বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বিশ্বায়নের এ যুগে যেকোন দেশের জন্য একটি পেশাদার বিমান বাহিনী অপরিহার্য। তিনি একটি আধুনিক ও চৌকষ বিমান বাহিনী গড়ে তোলায় তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন এজন্য ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। সেখান থেকে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরো দৃঢ় হয় সেজন্য তাঁর সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টানা কয়েক মেয়াদের সরকার পরিচালনায় আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বের অর্থনীতির গতিকে স্থবির করে দিলেও তাঁর সরকার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই এই অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে সরকার মুজিববর্ষের অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করতে পারলেও সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন শহরের সব সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিতকরণ এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এবং চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা, সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি-এই সব কিছু নিয়েই আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যার সুফল বাংলাদেশ অবশ্যই পাবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের মানুষের জন্য এটাই আমাদের উপহার থাকবে, প্রতিটি গৃহহারা মানুষ ঘর পাবে, প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে এবং সকলে উন্নত জীবন পাবে, বলেন তিনি।
এ সময় তিনি করোনার টিকা প্রহণ করা হলেও মাস্ক ব্যবহার করা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত বিষয়গুলো মেনে চলতে দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিমান বাহিনী প্রধান মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদানের লক্ষে ইউনিট কমান্ডেরগণের হাতে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। বিমান বাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ ও জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুদূর প্রসারী কর্মপরিকল্পনা ও দূরদৃষ্টিকে সামনে রেখেই তাঁর সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তাঁর সরকার বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছে মিগ-২৯সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইটার বিমান, সর্বাধুনিক অ্যাভিওনিক্স সমৃদ্ধ পরিবহন বিমান, ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ বিমান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার ডিফেন্স রাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন নতুন ঘাঁটি, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণে উৎকর্ষ আনতে বিমান বাহিনী একাডেমির জন্য এই ঘাঁটিতে নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’। মহাকাশ গবেষণা, দেশের বিমান বাহিনী এবং বেসামরিক বিমানকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি ‘বঙ্গবন্ধুু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’।
তিনি বলেন, এই সকল কার্যক্রম বিমান বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশে ও দেশের বাইরে এক সম্মানজনক অবস্থায় উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে সেক্ষেত্রেও বিমান বাহিনীকে উপযুক্ত করে আমরা গড়ে তুলছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাথে এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারও নির্মাণ করেছি।’
তিনি বলেন,‘ আমার একটা আকাঙ্খা আছে এই বাংলাদেশেই একদিন আমরা যুদ্ধ বিমান তৈরী করতে পারবো। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা এবং আমাদের আকাশসীমা সংরক্ষিত রাখার কাজটা আমরা নিজেরাও যাতে করতে পারি সেইভাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা এ ব্যাপারে সাফল্য অর্জন করবো বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল ষ্ট্যান্ডার্ড পাওয়া ইউনিট দু’টির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, পতাকা হল জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। ১১ স্কোয়াড্রন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুচারুভাবে সম্পন্ন করে আসছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহের সামরিক বৈমানিকগণকেও এই স্কোয়াড্রন সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ স্কোয়াড্রন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সম্মুখ সারির নিবেদিত আক্রমণাত্মক স্কোয়াড্রন। এই স্কোয়াড্রন এফটি-৬ এবং এ-৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে এই স্কোয়াড্রনে সংযুক্ত হয় ৪র্থ প্রজন্মের ইয়াক-১৩০ কম্ব্যাট ট্রেইনার বিমান, যা ২১ স্কোয়াড্রনকে আকাশ সীমা প্রতিরক্ষার দায়িত্বে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এই স্কোয়াড্রন আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চলের সর্বোচ্চ শেষ সীমানায় পর্যবেক্ষণ মিশন পরিচালনা করে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
সরকার প্রধান বলেন, ১১ স্কোয়াড্রনকে বৈমানিকদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানে এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আজ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান করা হলো।
তিনি ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং দেশ সেবার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেলেন, তার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যখন দায়িত্ব পালন করেন আমি মনে করি আপনারা সব সময় যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মান মর্যাদা যেন সবসময় বৃদ্ধি পায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখে আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
বিমান বাহিনীর জনসেবামূলক কর্মকান্ডের ও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,বিমান বাহিনী তার মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি সব সময়ই জাতির গঠনমূলক কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং বিমান বাহিনীর এ কার্যক্রম বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভুত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া লোকজনকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। লেবাননে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা প্রেরণ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা আত্মত্যাগ, কর্তব্য নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনছে সম্মান ও মর্যাদা, যা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আপনারা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবেন-এটাই আমার প্রত্যাশা।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com