কিয়েভ এবং মস্কোর সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিরতি ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘কিয়েভ এবং মস্কোর বাহিনীগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিকরা কাজ করছেন। তারা আমাদের এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে সম্ভাব্য একটি এজেন্ডার কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আমি এটির বাস্তবায়ন চাই। শতভাগ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ অবসানের প্রক্রিয়া, শান্তির প্রক্রিয়া শুরু হোক।’
তবে ইউক্রেনের এই নেতা বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সাথে আলোচনায় পুতিনকে নিয়ে জেরুজালেমেও বসা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রুশ এবং ইউক্রেনীয় আলোচকদের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে পুতিন যে মন্তব্য করেছেন, সেটির উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘তিনি রুশ ফেডারেশনের সংকেত পেয়ে আনন্দিত। গত ১২ বছর ধরে আমি কখনই সংলাপের সম্ভাবনার ব্যাপারে কোনো কথা শুনতে পাইনি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কিয়েভ মনে করে রাশিয়ার সাথে উচ্চ-পর্যায়ের যেকোনো ধরনের আলোচনা নিরপেক্ষ ভূখণ্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এ ধরনের আলোচনার সম্ভাব্য স্থান হিসাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সাথে আলোচনা করেছি। আমি বলেছি, আজ রাশিয়া এবং বেলারুশে বৈঠকে বসা ঠিক নয়। আমি কোনো টেকনিক্যাল মিটিংয়ের কথা বলছি না। আমি নেতাদের বৈঠকের কথা বলছি। আমি কি চিন্তা করতে পারি যে, ইসরায়েল অথবা জেরুজালেম এমন বৈঠকের স্থান হতে পারে? হ্যাঁ, আমি তাই মনে করছি। এবং আমি তাকে সেটাই বলেছি।’
‘‘তবে সেই বৈঠক যদি সফল হয়, তাহলে তার দেশের কিছু ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তার’ প্রয়োজন। চলমান সংঘাত শুধুমাত্র রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পশ্চিমের দৃষ্টিকোণ থেকেও নিষ্পত্তি করা দরকার। এক্ষেত্রে ইসরায়েল জামিনদার হিসাবে কাজ করতে পারে।’’
সূত্র: বিবিসি, আরটি।