ইউক্রেনের দুই প্রান্তের দু’টি পৃথক শহরে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম শহর দু’টিতে হামলা শুরু করল রুশ সামরিক বাহিনী।
এদিকে হামলা শুরুর পর ওই শহর দু’টি থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের খবর পওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার (১১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনীয় টিভি ও সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লুতস্ক এবং পূর্বাঞ্চলীয় দিনিপরো শহরে কিছুক্ষণ আগে হামলা শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী। দিনাইপার নদীর তীরে অবস্থিত দিনিপরো শহরটি মধ্য-পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রধান দুর্গ বলে পরিচিত।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হলেও শুক্রবারের আগপর্যন্ত শহর দু’টিতে রুশ সেনাদের হামলা করতে দেখা যায়নি। এদিকে এই দুই শহরে রুশ হামলা ও বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়।
এদিকে লুতস্ক শহরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বিবিসি ইউক্রেন জানিয়েছে, শহরের একটি বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এছাড়া শহরের একটি কারখানায়ও রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। মূলত ওই কারখানাটিই একমাত্র জায়গা যেখানে নির্দিষ্ট যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনগুলো মেরামত করা যায়।
বিবিসি ইউক্রেন আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ওই কারখানাটি কৌশলগত সম্পদের তালিকায় ছিল।
এদিকে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন লুতস্ক শহরের মেয়র। এসময় নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থানের পরামর্শ দেন।
দিনিপরো শহরে রুশ হামলায় নিহত ১
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিনিপরো শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ মার্চ) এই অঞ্চলটিতে প্রথমবারের মতো হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। হামলা শুরুর পর সেখানে একজনের মৃত্যুর তথ্য সামনে এলো।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দিনিপরো অঞ্চলের নোভোকোদাতস্কি জেলায় একজন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস (এসইএস) জানিয়েছে, ‘সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে… শহরে তিনবার বিমান হামলা হয়। হামলার সময় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র একটি কিন্ডারগার্টেন এবং একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত হানে।’
এছাড়া শহরের একটি জুতার কারখানায়ও হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। হামলার পর দুইতলা ওই কারখানায় আগুন ধরে যায়।