চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা। এ সময় ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার ( ৫ মার্চ) চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি বলেন, জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা। আটক মো. জাকির হোসেন (৫০) চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও ফেনীর বিভিন্ন জায়গায় জুতা বিক্রির নামে ইয়াবার কারবারি করতেন। আর হেলাল-তারেক মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম বড় সিন্ডিকেট ছিলেন। তারা ইয়াবা কারবারি করে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকার এক ব্যক্তি জুতার ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টির ওপরে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। নজরদারির একপর্যায় র্যাব জানতে পারে ঘাট ফরহাদ বেগ এলাকায় এক জুতার ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে এনে বিক্রয়ের জন্য মজুদ রেখেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মো. জাকির হোসেন (৫০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার চট্টগ্রামের নুপুর মার্কেটে দিয়া সু স্টোর নামে একটি দোকানও আছে।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার খাটের নিচের ট্রলি ব্যাগের ভেতর থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, জাকির ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার থেকে কম মূল্যে কিনে বেশি মুনাফায় বিক্রির জন্য বাসায় রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, অপর এক অভিযানে কক্সবাজারের উখিয়া এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবাসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে র্যাব জানতে পারে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক সিন্ডিকেটের মূল অভিযুক্ত তারেক তার বাড়ির আঙিনায় মাটির গর্তে ছাইচাপা দিয়ে বিশেষ কৌশলে প্লাস্টিকের বস্তায় মুড়িয়ে ইয়াবা লুকিয়ে রেখেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়া এলাকার ওই বাড়ি থেকে প্রথমে তারেক নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির আঙিনায় মাটির গর্তের ভেতরে রাখা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে হেলাল ও নুরুল আমিন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, আসামিরা মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা সম্রাট নামে পরিচিত। হেলাল-তারেক অপেক্ষাকৃত কম বয়সে ইয়াবার কারবারি করে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। তারা খুব সহজেই তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে যুব সমাজ ও শিশু-কিশোরদের ইয়াবার কারবারে নিয়ে আসছে। ইয়াবা পাচারের জন্য তারা সবসময়ই শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করতেন। হেলাল-তারেক মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের অন্যতম বড় সিন্ডিকেট ছিলেন।