সিএনএম:
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা তালতলা এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতি করা টাকা, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল ও একটি হাইস গাড়ীসহ ছয়জন ভুয়া ডিবি পুলিশকে গ্রেফতার করেছে তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই যে, উপজেলার কাচপুর ইউনিয়নের এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তা ললাটি বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিআরটিসি গাড়ী থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে রূপগঞ্জ গাউসিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই শাহিন মিয়া, এ এস আই ইলিয়াস আহম্মেদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য এশিয়ান হাইওয়ের শিংলাবো ব্রিজে চেক পোস্ট বসিয়ে রাত সাড়ে ১১ টায় বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশি চালিয়ে হাইয়েস গাড়ী ও ভুয়া ডিবি পরিচয় দানকারী শামীম মিয়া, আরিফুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, মিলন মিয়া, রায়হান মিয়াসহ ছয় ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাদের বাড়ি বরিশাল কুমিল্লা, চাদপুর, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। উপস্থিত থেকে একাজের নেতৃত্ব দেন তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাকির রব্বানী।
ইনচার্জ জাকির রব্বানী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ চক্রটি বিভিন্ন এলাকাসহ এই এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মসহ রোড ডাকাতি করে আসছে। আমরা বিভিন্ন ভাবে খোজ খবর নিয়ে মাঠে কাজ করার এক পর্যায়ে গতকাল রাতে তাদের হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা একটি সাদা রংয়ের হাইয়েস গাড়ী, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি ওয়াকিটকি, একটি চাইনিজ কুড়াল, কয়েকটি রাম দা, ৬টি মোবাইল, ডাকাতি করা ৯০ হাজার টাকাসহ ডাকাতি করার জন্য গাড়ী থেকে নামিয়ে অপহরণ করা ভিকটিম স্বর্ন ব্যবসায়ী মিনাল কান্তি রায় সুমনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জেলার আড়াই হাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় স্বর্নের ব্যবসা করেন। গতকাল রাতে ব্যবসা শেষে গোপালদী নিজ বাড়িতে ফিরার জন্য গুলিস্তান থেকে বিআরটিসি বাসে উঠেন। ডাকাতদল তাকে লক্ষ্য করে পিছু নিয়ে মদনপুরের পর ললাটি পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রাস্তায় বাসটিকে থামিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মিনাল কান্তি রায় সুমন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত আহসান উল্লাহ বলেন, ডিবি পরিচয় দিয়ে ডাকাতির ঘঠনায় মামলা নেয়া হয়েছে। জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য মাঠে কাজ করছে পুলিশ।