দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৬ কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৪ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার ২৪ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৭২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৮ জন মানুষ। আর টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এক কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৯৪২ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারা দেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৩২৩ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৭৪ জনকে। এছাড়া এই সময়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৬৮ জনকে। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৮৩১ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ ১৮ হাজার ২২৮ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৫ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।