নোয়াখালীর চৌমুহনীতে জামিনে বেরিয়ে প্রতিশোধ নিতেই মোহাম্মদ আয়মন (১৮) নামের জুতা ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিসহ তিনজনকে আটক করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চৌমুহনীর ডিবি রোডের ভাই ভাই স্পোর্টস দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ আয়মন বেগমগঞ্জ উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ডের গনিপুর গ্রামের খালাসি বাড়ির মো. নুরনবীর ছেলে। তিনি চৌমুহনীর ডিবি রোডের ভাই ভাই স্পোর্টসের খোলা জায়গায় জুতা বিক্রি করতেন।
আটকরা হলেন- চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের আব্দুল হাই মিলনের ছেলে মোহাম্মদ পাভেল (২১), বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাকিব (২০) ও আজাদের ছেলে নিরব (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আয়মন চৌমুহনী বাজারে খোলা জায়গায় জুতার ব্যবসা করতেন। রাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে তিন মাস আগে আয়মনের কাছে চাঁদা দাবি করে। তখন আয়মন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ আয়মনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে ইয়াবাসহ আটক করে কারাগারে পাঠায়। তিন মাস জেল খেটে রাকিব গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জামিনে বের হয়।
জামিনে বের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাকিব ও তার সহযোগী পাভেল এবং রিমন শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আয়মনকে চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের হোসেন মার্কেটের সামনে গতিরোধ করে। ওই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আয়মনের গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মূলত থানায় অভিযোগ ও কারাবাস করায় জামিনে বের হয়ে আয়মনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্তও রয়েছে। সে নিজেই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। রোববার বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।