অন্যের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে এলিট ফোর্স র্যাব। গ্রেপ্তার দুজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। ঢাকার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল।
শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে র্যাব-৪ সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি একজন নারী ভুক্তভোগী র্যাব-৪ বরাবর অভিযোগ করেন, সাভারের কাউন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক আছমা খানম এবং তার স্বামী শহিদুল ইসলাম এলাকার বিভিন্ন দরিদ্র নারীকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে ত্রাণ ও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এরপর বিভিন্ন ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তারা আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
র্যাব জানায়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি দল ঢাকার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসমা খানম শিল্পী (৩৮) ও তার স্বামী মো. শহিদুল ইসলামকে (৫২) গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে স্বর্ণের তৈরি একটি চুড়ি, দুটি কানের দুল, ৫৫টি পাশ বই, ভুক্তভোগীদের ৫০টি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, তিনটি চেকবই, ছয়টি রেজিস্টার ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা র্যাবের কাছে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাভার থানাধীন মধ্য কাউন্দিয়া এলাকার সাধারণ নারীদের বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং ব্যবসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল
আছমা খানম নানা কৌশলে অল্প বয়সী মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করাসহ মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া, এমনকি নারী পাচারের কাজে জড়িত বলেও দাবি করেন র্যাব কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।