বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামে আরিফুল ইসলাম হিটলু হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় নিমগাছী ইউনিয়নের বাবু বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফুল ইসলাম হিটলুর (৩৮) পেশা ছিল জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসা। প্রতিবেশী আব্দুল মালেক ছিলেন তার অংশিদার। হিটলুর বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যকে পেটানো, মাদক ও জুয়া আইনে ৮টি মামলা এবং আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে পুলিশ পেটানো ও মাদকদ্রব্য আইনে ২টি মামলা রয়েছে।
জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কয়েক মাস আগে থেকে হিটলু ও মালেকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুজন পৃথকভাবে দল গঠন করে।
এ অবস্থায় আব্দুল মালেকের গ্রুপের নবাব আলীকে শবে বরাতের রাতে অপহরণের চেষ্টা করে হিটলু ও তার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে তাদের বিরোধ আরও বেড়ে যায়। গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে হিটলু ও তার লোকজন আব্দুল মালেককে কুপিয়ে জখম করে। এতে হিটলুর ওপর ক্ষুব্ধ হয় আব্দুল মালেক, নবাব আলী ও তার লোকজন। পরে তাদের শতাধিক লোক সংঘবদ্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বেড়েরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তায় হিটলুকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় হিটলুর স্ত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে ১৯ এপ্রিল উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেড়েরবাড়ি গ্রামের নবাব আলীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিদের নানা হুমকিতে দুশ্চিন্তায় পড়ে আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না এমন অভিযোগে গত ২৭ এপ্রিল বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হিটলুর স্ত্রী।
এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর মামলাটি ধুনট থানা থেকে ২৮ এপ্রিল সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের দুই দিন পর হিটলুসহ মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।