ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে ৮ লাখ টাকা খুইয়েছে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপদূতাবাস। অনলাইন জালিয়াতদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশের উপদূতাবাস এই টাকা খুইয়েছে। প্রতারণার এই বিষয় গড়িয়েছে কলকাতার আদালত পর্যন্ত, মামলা দায়ের করেছে দূতাবাস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে ‘হিটমেকার্স প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের মুম্বাই-ভিত্তিক একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। জনপ্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালকে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই প্রোডাকশন সংস্থার মাধ্যমে।
সেই সংস্থার বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসকে খোঁজ দিয়েছিলেন চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় নামের কলকাতার এক শিল্পী। শ্রেয়ার সঙ্গে অনুষ্ঠানের চুক্তির জন্য অগ্রিম আট লাখ টাকা পাঠানো হয় সংস্থাটির পরিচালক কৃষ্ণ শর্মার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরে শ্রেয়া ঘোষালের স্বাক্ষরযুক্ত একটি ই-মেইল আইডি থেকেও মেইল করে দূতাবাসকে নিশ্চিত করা হয়। সেই মেইলে শ্রেয়া ঘোষাল ‘ধন্যবাদ’ জানান বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে এলে শ্রেয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বাংলাদেশ উপদূতাবাস। এ সময় তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারে। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় কলকাতার শিল্পী চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু চিরন্তন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তিনিও ওই সংস্থার কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। উল্টো অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ওরফে প্রিন্স নামের অপর এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রিন্স পলাতক রয়েছেন। আর মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাস কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে এই প্রতারণা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দু’মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। ঈদের ছুটি থাকায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।