ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন ১৩ বছরের এক কিশোরী। কিন্তু থানাতেও যে বিপদ অপেক্ষা করছে, তা হয়তো জানা ছিল না তার। থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেলে নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করেন থানার স্টেশন ইনচার্জ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ললিতপুরে। বুধবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চার দুর্বৃত্ত ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। তবে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় সে। পরে এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেলে নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে থানার স্টেশন হাউস অফিসার আবারও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তিলকধারী সরোজ। নির্যাতিতা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত ওই পুলিশের কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নির্যাতিতা ওই কিশোরীর বাবার দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল চার ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী ভোপালে নিয়ে যায় এবং চারদিন ধরে ধর্ষণ করে। এরপরে তারা নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং থানার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
সেখান থেকে নির্যাতিতা কিশোরী থানার ভেতরে যায় এবং পুরো ঘটনাটি জানায়। পরে অভিযুক্ত স্টেশন ইনচার্জ তিলকধারী সরোজ সেসময় এক আত্মীয়ের সঙ্গে কিশোরীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এবং জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য পরদিন থানায় আসতে বলেন।
নির্যাতিতা কিশোরী পরদিন থানায় গেলে অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে একটি ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় নির্যাতিতার আত্মীয়ও থানায় উপস্থিত ছিলেন। ওই নারীর নামও এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে