শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ব্যবসায়ীকে হত্যা: আসামিদের ধরার দাবিতে সড়ক অবরোধ ময়মনসিংহে বাস উল্টে হেলপার নিহত, আহত ১৯ মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্ত ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ চোরাই মোটরসাইকেলসহ মেকানিক গ্রেপ্তার ঈদের জামাতে আ’লীগ নেতাকে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলি/ ভাংচুর-লুটপাট সহ আহত একাধিক এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে দ্বিগুণ বাড়বে খরচ : মির্জা ফখরুল পুলিশের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্দোষরা শাস্তি পাবেন না থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

রিজেন্টের সাহেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২, ২.৩৪ পিএম
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে কেরানীগঞ্জের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) করতে অনিয়ম কিংবা কোভিড পরীক্ষা করে অবৈধভাবে অর্থ লুটপাটের মতো ঘটনার হোতা হলেন এই সাহেদ।

তদন্তে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয়ে ও জাল জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন ভুয়া নথিপত্রে ঋণের নামে এনআরবি ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পায় তদন্ত কর্মকর্তা। এসব বিষয়সহ আরও কিছু নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ জুলাই মামলা করেছিল দুদক। যার তদন্তের দায়িত্ব পালন করছেন উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর রিজেন্ট হাসপাতালের নামে হিসাব খোলা হয়। চলতি হিসাবটি খোলার সময় সাহেদের কোনো টাকা জমা হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি। ছিল না ঋণের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত জামানত। ঋণ বিতরণের আগে বা পরে যথাযথ তদারকিও করা হয়নি। অথচ হিসাব খোলার একদিন আগেই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ মঞ্জুরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এমনকি ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। কেবলমাত্র ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী এফডিআর করেছিলেন সাহেদ। পরে সাহেদ ঋণ পরিশোধ না করে ওই এফডিআর ক্লোজ করে ঋণ সমন্বয় করেন।

সূত্র আরও জানায়, সাহেদ স্বেচ্ছায় কখনও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংক থেকে দুই টার্মে ঋণ রিশিডিউলসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ দিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য কেটে রাখা হয়। তবে সুদসহ ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ আত্মসাতের অপরাধের প্রমাণ পায় দুদকের অনুসন্ধান টিম।

এছাড়া ফারমার্স ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক।

অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষা বাবদ ও করোনা চিকিৎসায় খরচ বাবদ ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও সাহেদ করিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দেয় দুদক।

মহামারির মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই  সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছ র‌্যাব। ওই বছরের ৬ ও ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান দপ্তরে র‌্যাবের অভিযানের পর থেকে তিনি লাপাত্তা ছিলেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com