রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি জানান, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ যথার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্যখাতের সব শাখায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগের ফলে সামগ্রিভাবে দেশের স্বাস্থ্যসূচকে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশের চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে। ফলে মানুষের গড় আয়ু যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে ‘মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার’।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জাতিসংঘ থেকে সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। মা ও শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার সব স্তরে এসব সেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আবদুল হামিদ প্রত্যাশা করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস