রাশিয়ার প্রায় দেড় হাজার সংবাদমাধ্যম ব্লক করে দিয়েছে ইউক্রেন। এসব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে রুশ প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে একে একে এসব সংবাদমাধ্যম ব্লক করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স-ইউক্রেন। ইউক্রেনের ন্যাশনাল পুলিশ বলছে, ‘আমরা আগ্রাসনকারীর মোট ১ হাজার ৫০০টি আউটলেট (সংবাদমাধ্যম) ব্লক করতে পেরেছি।’
ইউক্রেনীয় পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘ব্লক করে দেওয়া সংবাদমাধ্যম ও চ্যানেলগুলোর (ইউক্রেনে) প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ দর্শক ছিল। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধ ও ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ন্যায্যতা প্রদানকারী ৩ হাজার ১৭৮টি প্রকাশনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ইউক্রেনীয় ওয়েব ব্যবহারকারীদের দায়ের করা অভিযোগের পরই মূলত এসব আউটলেট ও প্রকাশনাগুলো ব্লক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইউক্রেনীয় সাইবার-পুলিশ স্টপ-রাশিয়া-চ্যানেল এবং স্টপ-ড্রাগস-বট নামে টেলিগ্রামে দু’টি চ্যানেল তৈরি করেছে এবং সেখানেই ইউক্রেনীয় ওয়েব ব্যবহারকারীরা অভিযোগ জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।