শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকরা সঠিক পন্থায় পাঠদান করছেন কি না সেটি নজরদারি করা হবে।
শনিবার (১২ মার্চ) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নতুন কারিকুলামের উপর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জুমে যুক্ত হন।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে পাইলটিং চালু হওয়া জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়ে এনসিটিবিতে একটি কর্মশালা হয়। সেখানে চারটি সেশনে নতুন কারিকুলামের বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। তার মধ্যে নতুন সিলেবাস আর পুরোনো সিলেবাসে পার্থক্য, আগের ও নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন, হাতে-কলমে শেখার কৌশল, শিক্ষার্থীদের গাইড নির্ভর না হওয়াসহ শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর আলোচনা করা হয়।
এ বিষয়ে কর্মশালায় উপস্থিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেসব উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হয়েছে, সেখানে শিক্ষকেরা কীভাবে শিক্ষক নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করবে, কার্যক্রম কীভাবে মনিটরিং করবে তার ধারণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরোনো ও নতুন কারিকুলাম কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিবিড়ভাবে শেখানো হয়েছে।
কর্মশালায় উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ছাড়া ২০৪১ সালের উন্নত দেশ বাস্তবায়ন সম্ভব না। আমাদের পাইলটিং শুরু হয়েছে। সেটাকে নিবিড়ভাবে আপনাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আপনারা কে কি করছেন সেটি মনিটরিং করা হবে। যার যা দায়িত্ব তা পালন করছেন কি না তাও দেখা হবে। জেলা-উপজেলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের খবর আসছে আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।