ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও ‘খুব শক্তিশালী’ বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটে শান্তির জন্য মধ্যস্থতায় সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে চীন।
গত কয়েক মাস ধেরে পূর্ব ইউরোপের প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে চলমান এই সংকটে বেইজিং অত্যন্ত কৌশলী কূটনৈতিক পথে হেঁটেছে। গত মাসে দুই দেশের ‘সীমাহীন’ কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে ঘনিষ্ঠ মিত্র মস্কোর নিন্দা জানাতে অস্বীকার করে বেইজিং। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ‘আগ্রাসন’ হিসাবে বলতেও নারাজ চীন।
সোমবার এক বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ই বলেছেন, দুই দেশের মাঝে বন্ধুত্ব একেবারে ‘পাথরের মতো শক্ত’ এবং উভয়পক্ষের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে তিনি বলেছেন, চীন প্রয়োজনীয় মধ্যস্থতা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছিলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনায় চীনের মধ্যস্থতা করা উচিত। কারণ পশ্চিমা শক্তিধররা নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারে নাই।
বেইজিং বারবার বলেছে, এই সংকট সমাধানের জন্য ‘আলোচনার আহ্বান জানাতে গঠনমূলক ভূমিকা’ পালন করবে চীন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ অথবা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেয়নি দেশটি।
চীন ইউক্রেনে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠাবে বলেও মন্তব্য করেছেন ওয়াং ই। চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক’ হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, এই সম্পর্ক বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক।
সূত্র: এএফপি।