সিএনএম প্রতিবেদকঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের প্রস্তাবকে যুদ্ধাপরাধের চেয়েও বড় অপরাধ বলছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলার রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি সমাবেশ করে।
সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সরব ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতার খেতাব বাতিল নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার বীরউত্তম খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান কেন্দ্রীয় নেতারাও।
নেতারা জানান, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে তার খেতাব কেড়ে নেয়া হয় সেদিনই প্রধানমন্ত্রীরও খেতাব কেড়ে নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা। ঘোষণা করা হয়, জিয়ার খেতাব বাতিল করলে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের। তারেক রহমানসহ বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম, সাতক্ষীরার ৩৪ জন নেতা-কর্মী ও পাবনার ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে সাজা দেওয়া এবং দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার।
সকাল থেকেই বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এ কর্মসূচির কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তীব্র যানজট তৈরি হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদতদাতা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের এ খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।