বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১০ জনের মতো নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নয়াপল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্রের ব্যক্তিগত অফিসে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জোটের নেতাদের কার কি অবস্থা সেসব খোঁজ-খবর নেন গয়েশ্বর রায়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, আজকের বৈঠকের নিদিষ্ট কোনো আলোচ্য বিষয় ছিল না। মূলত দীর্ঘদিন ২০ দলীয় জোটের কোনো বৈঠক হয় না, তাই আজ গয়েশ্বর চন্দ্র জোটের নেতাদের তার অফিসে ডাকেন। সেখানে সবাইকে চা-নাস্তা খাওয়ান তিনি। মূলত এটা একটা চা চক্র ছিল। পাশাপাশি জোট নেতাদের প্রত্যেককে নিজ-নিজ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি (গয়েশ্বর)।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের আমরা ১০ জনের মতো নেতা উপস্থিত ছিলাম। গয়েশ্বর চন্দ্র দাদা আমাদের সবাইকে চা-নাস্তা খাইয়েছেন।’
‘আজকের বৈঠকে নিদিষ্ট কোনো আলোচ্য বিষয় ছিল না। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা, আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দাদা সবাইকে নিজ-নিজ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়েছেন,’ বলেন তিনি।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ২০ দলীয় জোটের এক নেতা বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে বৃহত্তর জোট গঠন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ নিয়ে ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করায় জোটের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দেয়। তাই আজ জোট নেতাদের মান-অভিমান ভাঙাতে গয়েশ্বর দাদা সবাইকে নিয়ে চা চক্র করেছেন। এর বাইরে কিছু না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এপর্যন্ত যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার কোনোটির বিষয়ে আগে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়নি। এবার সেটা হবে আমার মনে হয়। তারপরও যেহেতু ২০ দলীয় জোটের অধিকাংশ দলের সাংগঠনিক শক্তি নেই, তাই কেউ জোটে ছেড়েও যায় না।
বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— এলডিপির একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির অ্যাডভোকেট ফরাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা, এনডিপি কারী আবু তাহের প্রমুখ।