স্টাফ রিপোর্টার
কে এই জসিম? বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার সিন্নিরচর গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে। জসিম দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, কদমতলী, শ্যামপুর, সূত্রাপুর, কোতয়ালী, মুগদা থানা এলাকাসহ ডিএমপির বিভিন্ন এলাকার নারী পাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীসহ নানাবিধ শতাধিক নারী -পুরুষ অপরাধীকে নিয়ে রাজধানীতে গড়ে তোলেছে বিশাল সিন্ডিকেট। জসিম নিজে র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায়কালে র্যাব-১০ এর হাতে ধরা পরে। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির শ্যামপুর থানায় র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-০৮, তারিখঃ ০৮/১২/২০২১ ইং এছাড়া জসিম সহ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানায় রয়েছে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা যাহার নং-১৮, তারিখঃ ২২/১১/২০২১ ইং। গত ১৭/১১/২০২১ ইং তারিখ ছদ্দনাম রুনা নামের এক মেয়েকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে গেন্ডারিয়া থানাধীন ৩১, সরাফতগঞ্জ চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে মেয়েটিকে নিয়ে যায় পরে কৌশলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ঘটনার বিষয় গেন্ডারিয়া থানাকে অবগত করলে পুলিশ তদন্তের পর এজাহার গ্রহণ করে জসিমগংদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
এছাড়াও ডিএমপির কোতয়ালী থানায় রয়েছে চুরির অভিযোগসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা নং-১৩, তারিখঃ ১০/০১/২০২২ইং একই থানায় রয়েছে সাধারণ ডায়েরী যাহার নং-৮৪৬। একাধিক মামলা থাকা পরেও থেমে নেই জসিম বাহিনীর অপরাধ কর্ম। জসিম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লুটপাট ও ডাকাতি সহ একাধিক অভিযোগও রয়েছে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলে। শ্যামপুর ও কোতয়ালী থানার মামলার বাদীগণ পৃথক ভাবে ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে জানান জসিম গণ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে মামলা উঠানোর জন্য বাদী ও অভিযোগকারীদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি নানাধরণের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। বাদীরা আরো বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে জসিম প্রকাশ্যে ঘুরেও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। গেন্ডারিয়া ও কোতয়ালী থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সাথে পৃথকভাবে আলাপ কালে তারা বলেন, এজাহার নামীয় আসামী জসিমসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।