জেসন হোল্ডারের করা ইনিংসের শেষ বলটি এজ হয়ে ডিপ ফাইন লেগের দিকে দৌড়াচ্ছে। উইকেটের পিছনে মাথায় হাত নিকোলাস পুরানের। হেল্ডারের মুখে খানিক আক্ষেপের হাসি। তবে তৃপ্তি ঢেকুর যে ইংল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়ে সিরিজ জেতা গেছে। হঠাৎই যেন বুঝতে পারলেন পুরান। শেষ বলটি ব্যাটসম্যান সাকিব মাহমুদের ব্যাটে না লেগে সেটি যাওয়ার আগে লেগ স্টাম্পে হালকা চুমু দিয়ে গেছে। পড়ে গেছে বেল। ইতিহাসে জেসন হোল্ডার। আগের বলেই হ্যাটট্রিক করা এই ক্যারিবীয় পেলেন ডাবল হ্যাটট্রিকের স্বাদ।
ঘরের মাঠ বার্বাডোসের কিংস্টন ওভাল যেন দুহাত ভরে দিলো হোল্ডারকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম বোলার হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন এই পেসার। সব মিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই অর্জন হোল্ডারের। সঙ্গে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন তিনি। হোল্ডারের এমন অর্জনের দিনে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি ১৭ রানে হারে টি-টোয়েন্টর রাজা ইংলিশরা। এতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় স্বাগতিক উইন্ডিজের।
একে একে ক্রিস জর্ডান, স্যাম বিলিংস, আদিল রাশিদ ও সাকিব মাহমুদকে ফিরিয়ে ইতিহাসে হোল্ডার। ডাবল হ্যাটট্রিকের অর্জনে জায়গা করে নেন রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা ও কুরটিস ক্যাম্ফারের পাশে।
২-২ সমতায় দাঁড়িয়ে থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়। যেখানে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে। ব্রেন্ডন কিং ৩৪, কাইল মায়ের্স ৩১, রোমারিও শেফার্ড ৬, নিকোলাস পুরান ২১, কায়রন পোলার্ড অপরাজিত ৪১ ও রোভম্যান পাওয়েল অপরাজিত ৩৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ২টি করে উইকেট নেন।
১৮০ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে ১ বল হাতে থাকতেই হোল্ডারের ডাবল হ্যাটট্রিকে গুটিয়ে যায় সফরকারী ইংল্যান্ড। ১৬২ রানে অলআউট হয় তারা। এতে উইন্ডিজ ১৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। জেমস ভিন্স ৫৫, স্যাম বিলিংস ৪১, টম ব্যান্টন ১৬ ও অধিনায়ক মঈন আলি ১৪ রান করেন। হোল্ডার ২ ওভার ৫ বল করে মত্র ২৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন। এছাড়া আকিল হোসেন ৩০ রানে ৪ উইকেট দখল করেন।