ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের নাটকীয়তা শেষ হচ্ছেই না। গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার ও চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ। ৩১ জানুয়ারি ছিল নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও কাউন্সিলরদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার শেখ হামিম হাসান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। যদিও গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই নির্বাচন ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সবাই মৌখিকভাবে জ্ঞাত ছিলেন।
নির্বাচন পেছানোর জন্য জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ ফোরাম কয়েকদিন আগেই চিঠি দিয়েছিল। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জোবায়েদুর রহমান রানার প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কবিরুল শিকদারও নির্বাচন পেছানোর পক্ষেই ছিল। সব পক্ষ এক হয়ে নির্বাচন পেছানোর বিরল নজির হলো এই ব্যাডমিন্টনের নির্বাচন। অন্যান্য নির্বাচনে দেখা গেছে এক পক্ষ চাইলেও আরেক পক্ষ চায় না। ফোরাম ও রানার উভয় প্যানেলই চেয়েছিল প্রত্যাহারের আগেই পেছানোর ঘোষণা আসুক। এতে তারা সমঝোতা ও দর কষাকষির সুযোগ পেতেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর পেছানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় সেই সুযোগ আর নেই ।
শুধু নির্বাচনের ভোটের দিনক্ষণ পিছিয়েছে। ফোরাম সমর্থিত প্যানেল চেষ্টা করছে তাদের ঐক্য অটুট রাখতে আর জোবায়েদুর রহমান রানার প্যানেলের লক্ষ্য ফোরামের সমর্থন আদায় করা। ১০২ ভোটের মধ্যে ৭০ ভোটই জেলা ও বিভাগের। ফলাফলের চাবিকাঠি ফোরামের হাতেই। ফোরাম নেতাদের অনেকেই কয়েকটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। সেই ফেডারেশনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খুব সফল হয়নি। ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদক কি ফোরামের না ফোরামমুক্ত সেটা দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়াঙ্গন।