বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

সেন্টমার্টিন রক্ষায় পদক্ষেপ, বাংলাদেশকে অভিনন্দন ডিক্যাপ্রিওর

  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২, ১২.২৭ পিএম
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে ‘সুরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চল’(মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া) ঘোষণা করায় বাংলাদেশের সরকার, সেন্টমার্টিনের স্থানীয় জনগণ ও এই দ্বীপের জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা এনজিওসমূহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হলিউড তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।

চমৎকার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দেবে এবং প্রবালের আবাসভূমি হয়ে উঠবে- আশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দ্বীপের সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় এখন মনোযোগ দেওয়া উচিত হবে সবার।

শুক্রবার সকাল ৯ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে ডিক্যাপ্রিও লেখেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন অসাধারণ জীববৈচিত্রে পরিপূর্ণ। ৬৭২ বর্গমাইলের এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ সীমানায় অবস্থিত এবং প্রবাল, ইন্দো-প্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক ডলফিন, বিপদাপন্ন তিমি হাঙরসহ বহুসংখ্যক সামুদ্রিক প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থল। এ কারণে সেন্টমার্টিনকে সংরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চল ঘোষণা করায় আমি বাংলাদেশের সরকার, স্থানীয় জনগণ ও এই পদক্ষেপের জন্য কাজ করা এনজিওসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘এখন, পরবর্তী পদক্ষেপ হলো দ্বীপের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ যতদূর সম্ভব ফিরিয়ে আনা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে, যেমন- সংরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চল সম্পর্কিত বিধিনিষেধ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো, সেসব বিধিনিষেধ ঠিকমতো পালন হচ্ছে কী না- তা যথাযথ নজরদারির আওতায় আনা, সেন্টমার্টিনের অভ্যন্তরীণ বর্জ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং ক্ষয়িষ্ণু প্রবাল প্রাচীর রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।’

Leonardo Dicaprio
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও

টাইটানিক তারকা ৪৭ বছর বয়সী ডিক্যাপ্রিও এরই মধ্যে নিজেকে পরিবেশবাদী হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাগরের বুকে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। প্রশাসনিকভাবে এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। সেখানে গ্রাম আছে সব মিলিয়ে নয়টি। স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার।

ব্লু ইকোনমি সমৃদ্ধকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৪) অর্জনের লক্ষ্যে গত ৭ জানুয়ারি সরকার বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’  ঘোষণা করে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। দ্বীপটিতে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল এককালে।

এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছিল সরকার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com