বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

জ্বিন তাড়ানোর নামে সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষন

  • আপডেট সময় রবিবার, ২ মে, ২০২১, ১.৩০ পিএম
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
জিন তাড়ানোর নাম করে সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নারায়নগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ সাহেবপাড়া এলাকায় জ্বিন তাড়ানোর নামে সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষন করেন মাদ্রাসার শিক্ষক।
ভূক্তভোগী ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, ভিকটিম নিতান্তই গরিব মানুষ, স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের মাতা। এলাকার লোকাল গার্মেন্টেস-এ কাজ করে ছেলেকে নিয়া কোন রকমের দিন যাপন করিতেছে। তাহার আট বছরের ছেলে মাঝেমধ্যে মাঝরাতে ঘুমের ঘরে কান্নাকাটি করে ঘরের বাহিরে চলে যায়। ঘটনাটি পরিচিত এক মগিলাকে বললে তিনি সাহেব পাড়া এলাকায় এক মাদ্রাসার হুজুরের কাছে নিয়া যায়। ঐ হুজুর ভিকটিমের ছেলে ও তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে সমস্যার কথা শুনেন। ইমরান হুজুর বলেন মা-ছেলে দুজনের উপর বদজ্বিনের আসর রহিয়াছে। তখন ছেলেকে ঝার-ফুক দিয়ে পানি পড়া দেন এবং মাকেও পরে পানি পড়া দিবেন বলে অন্য আরেক দিন দেখা করতে বলেন। ভিকটিম সরল মনে বিশ্বাস করে পরবর্তিতে আবার তার বাসায় যান। মা ও ছেলের অবস্থা কেমন জানার পর হুজুর ভিকটিমকে তার রুমের চৌকির উপর শুয়ে থাকতে বলে ঝাড়-ফুক দেওয়া লাগবে।
ভিকটিম কান্নায় ভেঙ্গেপড়ে বলেন, চৌকির উপর তাকে শুয়াইয়া হুজুরের হাতে থাকা পানি আমার সারাশরীরে ছিটিয়ে দিলে সেখানেই শুয়ে পরি। পানি ছিটানোর পর আমি কোন প্রকারের নড়াচড়া পারতেছিলাম না। এ সুযোগে হুজুর আমাকে বিবস্ত্র করিয়া জোর-পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর পাশের রুমে থাকা আরো তিনজন লোক আসিয়া পর্যায়ক্রমে রুমে ডুকিয়া তাহারাও ধর্ষন করে। আমি ডাক-চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে। আমি লোকজনের নিকট বিস্তারিত বলি, একপর্যায়ে আমি বাসায় চলে আসি। মান-সম্মানের ভয়ে আমি গরীব অসহায় বিধায় আইনের আশ্রয় নিতে তাতক্ষনিক সাহস পাইনি। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ইমরান হুজুর ও আমার ভিডিও চিত্র ফেসবুক, ইউটিউব ও মিডিয়ায় প্রচার হতে দেখিয়া বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিষয়টি নিয়া আমার আপনজনদের সাথে বুঝ-পরামর্শ করে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আসামীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া ফতুল্লা থানায় গিয়ে ভিকটিম একটি এজাহার দ্বায়ের করেন।
ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানা এলাকায় না হওয়ায় পুলিশ তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যেয়ে ভিকটিমের লিখিত এজাহারটি দিতে বলেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com