সিএনএম প্রতিনিধিঃ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুল মিয়া নামে এক বৃদ্ধ ৪ দিন ধরে পড়ে আছেন। চিকিৎসা শেষ হলেও তাকে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই। খোঁজ মিলছে না তার কোনো স্বজনের। এ অবস্থায় চিন্তায় পড়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, গত শনিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফুল মিয়াকে। ভর্তি করার পর থেকে তার কোনো স্বজনের দেখা পাননি চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিন ধরে তামাক সেবন করার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে তার সব ধরনের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তাকে ওষুধ খাওয়ালেই তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তিনি ওসমানী হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের ২৭ নম্বর বেডে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুপার এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ফুল মিয়া মানসিক রোগী। তিনি পথে পথে থাকেন। তার কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানকার একজন কাউন্সিলর তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিল্লাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফুল মিয়াকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, শুরু থেকেই কোনো স্বজন না থাকায় নিজেদের দায়িত্বে তারা চিকিৎসা করেছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিরাজুর রহমান মিরাজ বলেন, তাকে ভর্তির পর থেকেই আত্মীয়-স্বজন কাউকেই পাওয়া যায়নি। ফুল মিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত। তিনি নিজের কাপড় ঠিক রাখতে পারেন না। এমনকি বেডেই তিনি মলমূত্র ত্যাগ করেন। আমাদের সুইপার দিয়ে সবকিছু পরিষ্কার করানো হয়। তবে এখন তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে কেউ ওষুধ খাওয়ালে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে তার কারণে এখন ইউনিটের অন্যান্যদের সমস্যা হচ্ছে। কারণ তিনি বেডেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু তার কোনো আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যাচ্ছে না আর মানসিক রোগী তাকে যদি সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে দেওয়া যায় তাহলে তার একটি ঠিকানা হতো।
সিলেট সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নিবাশ রঞ্জন দাশের সঙ্গে বুধবার রাতে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।